কোহলির বিরুদ্ধে লয়েডের গুরুতর অভিযোগ

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
ক্রিকেট মাঠে বরাবরই আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকেন বিরাট কোহলি। খেলার মাঝে আম্পায়ারদের দেয়া সিদ্ধান্ত পছন্দমতো না হলে মাঠেই তাদের প্রতি ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ককে অনেকবার অসন্তোষ জানাতে দেখা গেছে। কিন্তু এর জন্য কখনো শাস্তি পাননি তিনি। এবার এ বিষয় উল্লেখ করে অভিযোগ তুলেছেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ডেভিড লয়েড।
ইংল্যান্ড বনাম ভারত সিরিজের শুরু থেকেই বারবার আলোচনায় উঠে এসেছে পিচ ইস্যু এবং আম্পায়ারিং। সেসব বিষয় নিয়ে সবসময় খোলামেলা মতামত রেখেছেন কোহলি। তবে মাঠের মাঝে অনেকবারই আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তকে অশ্রদ্ধা করেছেন তিনি।
এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ডেইলি মেইলে নিজের কলামে লয়েড লিখেছেন, কোহলি বলেছে যে ডেভিড মালানের লো ক্যাচ নেয়ার সময় সফট সিগন্যালকে আউট দিতে ইংল্যান্ড নাকি আম্পায়ারকে চাপে রাখছিল। কিন্তু প্রথম কথা হল, সফট সিগন্যালের উদ্দেশ্যই ছিল অনফিল্ড আম্পায়ারদের ওপর আরো কর্তৃত্বের সুবিধা দেয়া। আহমেদাবাদে নিতিন মেননের ওপর ইংল্যান্ড দল চাপ দিয়েছে কিনা জানি না। তবে আমার কাছে একটা বিষয় পরিষ্কার, কোহলি পুরো সফর জুড়েই আম্পায়ারদের অশ্রদ্ধা করেছে ও তাদের চাপে রাখার কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরো লিখেছেন, ভারতের বিপক্ষে এই সিরিজে মাঠেই একাধিকবার আম্পায়ারের সঙ্গে কোহলির ঝগড়াঝাটি হওয়ার উপক্রম হয়েছে। যা রীতিমত শাস্তিযোগ্য। মঙ্গলবারই তো ভারতীয় ইনিংসের শেষের দিকে এমনটা আরো একবার হল। মাঠে কোনোভাবেই প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারের সঙ্গে ঝামেলা করা যায় না। নখদাঁতহীন আইসিসি আসলে ওদের ব্যাপারে এসব কিছুই করবে না।
এদিকে কোহলিকে একহাত নিয়ে লয়েড লেখেন, আম্পায়ারদের পূর্ণ কর্তৃত্ব নিয়ে ম্যাচ পরিচালনা করতে দেয়া উচিত। দরকার হলে লাল কার্ড ও হলুদ কার্ডের প্রচলন করা যেতে পারে যেন তাদের হাতে পুরো ক্ষমতা থাকে। আজকাল আম্পায়ারদের ক্ষমতাহীন মনে হচ্ছে। কোহলির উচিত আরো সতর্ক থাকা, কারণ ওর কথাবার্তা ও আচার-আচরণ বাকিদের ওপর সবসময় প্রভাব ফেলে।
লয়েড যোগ করেন, স্লো ওভার রেটের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা। ২০০৩ সালে যখন টি-২০ ক্রিকেট চালু করা হয়, তখন সেটা ছিল কম সময়ের খেলা। কিন্তু এখন ম্যাচ শেষ করতে ৪ ঘন্টার বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। এর ফলে সম্প্রচারকারী চ্যানেল পরের বার বেঁকে বসতে পারে। কারণ তারা তো জানেই না কখন ম্যাচ শেষ হবে। এতে সম্প্রচারের সূচি অদল বদল করতে হয়। আইসিসি দুই দলকেই স্লো ওভার রেটের জন্য জরিমানা করেছে। তবে ক্রিকেটারদের এতে কিছুই যায় আসে না। ওদের কত টাকা জরিমানা করা হচ্ছে, জরিমানার টাকা কে মেটাচ্ছে, আমরা কিছুই জানি না।