করোনা রিপোর্ট পেতে পেতে মৃত্যুর নাগাল

আইসিইউর জন্য বাঁচানো গেল না আওয়ামী লীগ নেতা

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, সীতাকুণ্ড<

আইসিইউর জন্য শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সীতাকুণ্ডের আওয়ামী লীগ নেতা ও বাস্ত প্রকৌশলের স্বত্বাধিকারী ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহ আলমকে (৪৭)। শনিবার রাত ১১টায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সে পৌরসদরের মহাদেবপুর ওয়ার্ডের মরহুম ইসমাইল মিস্ত্রির কনিষ্ঠ সন্তান।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার বিকাল থেকে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকলে পরিবারের সদস্যরা তাকে নগরির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তির জন্য চেষ্টা চালায়। তার করোনা প্রতিবেদন না থাকার কারণে কোথাও ভর্তি নেওয়া হয়নি। শনিবার সকালে তার করোনা রির্পোট পজেটিভ  আসে।  বিআইটিআইডিতে আইসিইউ বেড না পেয়ে তাকে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও আইসিইউ খালি না থাকায়  বিকালে নগরীর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো  হয়। বিধিবাম এখানেও একই অবস্থা কোন আইসিইউ খালি নেই। অতপর একটি আইসিইউ বেড না পেয়ে মারা গেলেন ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম।

শাহ আলমের ভাইপো শোভন অভিযোগ করে বলেন,  জেনারেল হাসপাতালে শনিবার বিকাল থেকে আমার চাচার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়।  ডাক্তারদেরকে অনেক অনুরোধ করেছি অক্সিজেন দেওয়ার জন্য, সেখানে একটা অক্সিজেনের বোতল নিয়ে অনত্মত ৭/৮ জন রোগী টানাটানি করেন। শেষমেশ রাত ১১ টার দিকে অক্সিজেনের অভাবে আমার চাচার মৃত্যু হয়। তার স্ত্রী ও দুইটি ছেলে সন্তান আছে।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম ৪ আসনের  এমপি দিদারম্নল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুলস্নাহ আল বাকের ভূঁইয়া, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও  উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আল মামুন, পৌরসভার মেয়র বদিউল আলম. সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরী প্রমুখ।