কফিল উদ্দিনের মত সৎ ও ত্যাগী নেতা বর্তমানে বিরল

স্মরণসভায় চসিক প্রশাসক

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নীতি, আদর্শ ও সততার প্রশ্নে আজীবন আপোষহীন দেশপ্রেমিক নেতা কফিল উদ্দিনের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। চট্টগ্রামের উন্নয়ন আন্দোলনের বলিষ্ট সংগঠক কফিল উদ্দিনের মত সৎ ও ত্যাগী নেতা বর্তমান সময়ে রাজনীতিতে খুবই বিরল। ৭১ এর মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী চলমান আন্দোলন-সংগ্রামে আমৃত্যু উচ্চকন্ঠ ছিলেন তিনি। সাধাসিধে ও সহজ-সরল জীবন যাপনে অভ্যস্ত কফিল উদ্দিন গণমানুষের অধিকার আদায়ের প্রশ্ন ছিলেন অত্যন্ত দৃঢ়চেতা সংগ্রামী নেতা। তিনি অন্তরে যা বিশ্বাস করতেন, তাই করতেন। বর্তমান সময়ে সমাজে তার মত গণমুখী রাজনীতিবিদের বড়ই অভাব।
নগরীর বাকলিয়ার মিয়ার বাপের বাড়ির মাঠে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরের যৌথ উদ্যোগে সংগঠনের মহানগর শাখার সাবেক সভাপতি, প্রাক্তন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. কফিল উদ্দিনের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী বাবুলের সভাপতিত্বে ও জেলার সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম মন্টু ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ।
প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার।
আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, ফজল আহমেদ, ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, বাদশা মিয়া, যুগ্ম সম্পদক সেলিম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ছৈয়দ আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেয়াকত হোসেন, অ্যাডভোকেট ইফতেখার রাসেল, আবদুল মালেক খান, শাহেদ মুরাদ শাকু, মো. জসীম উদ্দিন, হাজী সেলিম রহমান, ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বড়ুয়া, মনোয়ার জাহান মনি, অ্যাডভোকেট সৈকত দাশগুপ্ত, মো. নাজিম উদ্দিন, মঈনুল আলম খান, মো. সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, পংকজ রায়, মোজাম্মেল হক মানিক, নবী হোসেন, সালাউদ্দিন, ইয়াছির আরাফাত, মোস্তাফিজুর রহমান বিপ্লব, কাজী মুহাম্মদ রাজিশ ইমরান, ইঞ্জিনিয়ার ইয়াকুব মুন্না, রাজীব চন্দ, সাধন দাশ, আমিনুল ইসলাম আজাদ, মো ফয়সাল, ইসমে আজিম আসিফ, আমান উল্লাহ মানিক, মিজানুর রহমান সজীব, এস এম রাফি, ইমদাদুর রহমান রিয়াদ, রুবেল ধর, অপু দাশ প্রমুখ। পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন এম কফিল উদ্দিনের সন্তান মাওলানা ওয়াহেদ মুরাদ।
সভায় সম্প্রসারিত বাকলিয়া এক্সেস রোড বীর মুক্তিযোদ্ধা এম কফিল উদ্দিনের নামে নামকরণের জন্য চসিক’র প্রতি দাবি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি