আয় থাকলে পৌরকর দিতে হবে : মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কোন ধরনের পৌরকর বৃদ্ধি করেনি। পূর্বের হারে কর আদায় করা হচ্ছে। শুধু করের আওতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কোন ভবন একতলা থেকে যদি পাঁচতলা হয় সেক্ষেত্রে ফ্ল্যাট ভাড়া দিলে তাহলে ওই বর্ধিত আয়ের কারণে করের আওতা বাড়বে।
গতকাল বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী টাইগারপাস অফিসের কনফারেন্স রুমে চসিকের কর বিভাগের কর্মকর্তা ও উপ কর কর্মকর্তাদের সভায় একথা বলেন।
মেয়র শহরের বিত্তবানদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা শহরে বাস করবেন, বহুতল ভবন বানিয়ে ভাড়া দেবেন অথচ পৌরকর চাইতে গেলে দেবেন না এ কেমন মানসিকতা! দেশে কোন ব্যক্তি আইনের ঊর্ধ্বে নন।
প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাােতমা চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সভায় রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম ১ লাখ ৯৭ হাজার হোল্ডিয়ের বিপরীতে ৮টি সার্কেলে মোট ১৬ জন কর কর্মকর্তা, ৫৫ জন লাইসেন্স ইন্সপেক্টর কর্মরত আছেন বলে মেয়রকে অবহিত করেন।
তিনি আরো জানান, নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬টি ওয়ার্ডের ১৪ শতাংশ ও বাকি ২৫টি ওয়ার্ডে ১৭ শতাংশ হারে পৌরকর আদায় হয়। প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, সর্বশেষ ২০১১ সালে কর পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের কাছে ১৬০ কোটি টাকা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৩৯ কোটি, রেল কর্তৃপক্ষের কাছে ৭৫ কোটি টাকা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৩৬ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। আর কর্ণফুলী মার্কেটে ৪ কোটি ৫ লাখ টাকা, এশিয়ান কটন মিলে ২৫ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। এরকম আরো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পৌরকর এখনো বকেয়া।
প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরকারি এসব প্রতিষ্ঠানের বকেয়া কর আদায়ে নতুন মেয়রের সহযোগিতা ও পদক্ষেপের পাশাপাশি ট্রেড লাইসেন্সের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের অভিযোাগের পরিপ্রেক্ষিতে উৎসে কর, আয়কর, ভ্যাট আদায়ের বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের সাথে আলাপ করে সমাধানের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেন। বিজ্ঞপ্তি