আনোয়ারায় দেবর আর ভাসুরের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আনোয়ারা :

রাশেদা আকতার ২০০৮ সালে ১২ জুন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের শিলাইগড়া গ্রামের মোহাম্মদ ছৈয়দের পুত্র মোহাম্মদ সরোয়ারের সাথে। গত ২-৩ বছর আগে স্বামীকে আবারো বিয়ে করান তার শশুরবাড়ির লোকজন। সেই বউ আর ছেলেকে ঘরে তুলতে নানা ষড়যন্ত্র করতে থাকে পরিবারের সদস্যরা। এমনকি উচ্ছেদ করার জন্য অনেক সময় করেন মারধরও। কয়েকবছর আগে তাদের বিরুদ্ধে করেন আদালতে নারী ও শিশু আইনে মামলা। সম্প্রতি আবারো শুরু হয় এসব নিযার্তন। নিরুপায় হয়ে আনোয়ারা থানায় করেন একটি অভিযোগও। অবশেষে ভরসা করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদের কাছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এমনটাই জানান মোহাম্মদ সরোয়ারের প্রথম স্ত্রী রাশেদা আকতার (৩০)।গত বুধবার বিকালে আনোয়ারা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ বরাবরে আনোয়ারা উপজেলার শিলাইগড়া গ্রামের মোহাম্মদ ছৈয়দের পুত্র (ভাসুর) মো. সাহাব উদ্দিন, (দেবর) মো. জালাল উদ্দিন, পুত্রবধু নাহিদা আকতার ও লাকি আকতারকে অভিযোগ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দুই পুত্রবধু মোহাম্মদ সরোয়ারের প্রথম স্ত্রী রাশেদা আকতার এবং ওমান প্রবাসী জসিম উদ্দিনের স্ত্রী শাহীন আকতার।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৫ এপ্রিল ওমান প্রবাসী জসিম উদ্দিনের সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের ১ ছেলে ১ মেয়ে রয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে দেবর মো. জালাল উদ্দিন বলেন, এরা দুইজন যা অভিযোগ করেছে সব মিথ্যা ও বানোয়াট। যখন অভিযোগ করেছে বিচারের যা হবে তা হবে।স্থানীয় বারখাইন ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রিজুয়ানুল হক রহিম বলেন, চেয়ারম্যান নিয়েও এবিষয়ে একাধিক সালিশি বৈঠক হয়েছে।

 

এরা সালিশ বিচার কিছু মানতে চায় না। আনোয়ারা থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক আবুল ফয়েজ জুয়েল বলেন, দেবর ও ভাসুরের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম এবং আজ উভয়পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, দুইজন মহিলা একটি অভিযোগ নিয়ে এসেছিলো। বিষয়টি তদন্ত করে সমাধানের চেষ্টা করব।