আদালতের নির্দেশনা ভেঙে মণ্ডপের ‘নো এন্ট্রি জোনে’ সৃজিত-মিথিলা

সুপ্রভাত ডেস্ক  :

করোনাভাইরাস মহামারী সংক্রমণ রোধে পশ্চিমবঙ্গের পূজা ম-পের দর্শনার্থীদের প্রবেশে কলকাতা হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ‘নো এন্ট্রি জোনে’ অঞ্জলি দিয়ে আইনি জটিলতার মুখে পড়তে পারেন কলকাতার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি ও ঢাকার অভিনয়শিল্পী রাফিয়াথ রশীদ মিথিলা।

শনিবার সকালে কলকাতার নিউ আলিপুরের সুরুচি সঙ্ঘের পূজায় অঞ্জলি দেওয়ায় এ তারকা দম্পতি আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে পারেন বলে এক খবরে জানিয়েছেন আনন্দবাজার পত্রিকা।

সৃজিত-মিথিলার সঙ্গে একই ম-পে টালিগঞ্জের আরেক অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান ও তার স্বামী নিখিল জৈনও হাই কোর্টের নির্ধারিত ‘নো এন্ট্রি জোনে’ অঞ্জলি দিয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানিয়েছে পত্রিকাটি।

এ বিষয়ে সৃজিত মুখার্জি ও মিথিলার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কলকাতা হাই কোর্ট পশ্চিমবঙ্গের সব পূজা ম-প ‘দর্শকশূন্য’ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পূজার উদ্যোক্তা ছাড়া ‘বহিরাগত দর্শকদের’ জন্য ‘নো এন্ট্রি জোনে’ প্রবেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এর মধ্যেই তারকাদের ‘নো এন্ট্রি জোনে’ প্রবেশ করে অঞ্জলি দেওয়ায় বিতর্ক চলছে কলকাতায়।

অন্যদিকে, সঙ্ঘের সদস্য হিসেবে সৃজিত ও নুসরাত ‘নো এন্ট্রি জোনে’ প্রবেশ করেছেন বলে তার ঘনিষ্টরা দাবি করলেও বাইরের বাসিন্দা নিখিল জৈন ও বাংলাদেশের নাগরিক মিথিলার তাতে প্রবেশ করতে পারেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার।

রাজ্যের আরেক সংসদ সদস্য সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে একাথিক ম-পে ঘুরে অঞ্জলি দেওয়ার অভিযোগের কথা জানিয়েছে পত্রিকা।

তাকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে কি না তা নিশ্চিত না হওয়া গেলেও এ অভিযোগের বিপরীতে বক্তব্যে স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবেই তিনি ম-পে অঞ্জলি দিয়েছেন বলে জানান মহুয়া।