অগ্রাধিকার পেল জেএসসি ও এসএসসির প্রধান বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বর

আজ প্রকাশিত হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল

ভূঁইয়া নজরুল :
অবশেষে আজ শনিবার ফলাফল পাচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা। সবাই পাশ করলেও গ্রেডিং পদ্ধতিতে পরিবর্তন থাকছে। থাকছে পূর্বের মতো জিপিএ-৫ এবং ‘এ’, ‘এ মাইনাস’ সহ বিভিন্ন গ্রেডও। যেহেতু সবাই পাশ তাই কোনো ফেল থাকছে না অর্থাৎ পাশের হার শতভাগ।
তাহলে গ্রেডিং কিভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর নারায়ান চন্দ্র নাথ বলেন, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে জাতীয় পরামর্শক কমিটির নির্দেশনার আলোকে এই গ্রেডিং তৈরি করা হয়েছে।’
কিন্তু অনিয়মিত, প্রাইভেট কিংবা এক বা দুই বিষয়ে যেসব পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে তাদের ফলাফল কিভাবে তৈরি করা হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জাতীয় পরামর্শক কমিটি আমাদের অনেকগুলো সূত্র দিয়েছে, সেসব সূত্রের আলোকে ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। আর এতে ফলাফলের গুণগত মান যাতে ঠিক থাকে তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারিত হবে। এক্ষেত্রে এসএসসি থেকে ৭৫ নম্বর এবং জেএসসি থেকে ২৫ নম্বর নেয়া হয়েছে। কিন্তু জেএসসির কোনো বিষয় এইচএসসিতে নেই, আবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনেকে এইচএসসিতে এসে মানবিক কিংবা ব্যবসায় বিভাগে ভর্তি হয়েছে। তাদের ফলাফল কিভাবে তৈরি করা হয়েছে? এধরনের প্রশ্নের উত্তর জানতে কথা হয় ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদের সাথে। তিনি বলেন, জাতীয় পরামর্শক কমিটি যেভাবে পরামর্শ দিয়েছে সেভাবেই ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। সারাদেশে একই পদ্ধতিতে ফলাফল তৈরি করা হয়।
কিন্তু বিষয় ভিত্তিক গ্রেডিং পয়েন্ট কিভাবে তৈরি করা হয়েছে এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে বলতে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে কথা হয় যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্রের সাথে। তিনি দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পরীক্ষার ফলাফল তৈরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এইচএসসির অনেক বিষয় এসএসসি কিংবা জেএসসিতে ছিল না। তাহলে ফলাফল কিভাবে তৈরি হয়েছে? আমরা এক্ষেত্রে প্রধান বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়েছি। আর এর আলোকেই বাকি বিষয়গুলোর ফলাফল তৈরি করা হয়েছে।’
ফলাফল নিয়ে বিভিন্ন বোর্ডের কর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফলাফল তৈরি নিয়ে বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ের দক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে একটি গাইড লাইন দিয়েছে। সেই গাইড লাইনের আলোকে ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। এখানে একক কোনো গাইড লাইন ছিল না, যদি এমন হয় তাহলে এমন হবে, এমন হলে তেমন হবে টাইপের অনেকগুলো নির্দেশনার আলোকে তৈরি হয়েছে ফলাফল।
উল্লেখ্য, গত বছরের এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাকালীন দুর্যোগের কারণে পরীক্ষা বাতিল হয় পরবর্তীতে গত বছরের শেষে ফরম পূরণ করা সকল শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ করা হয়। কিন্তু উত্তীর্ণ করার পরও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত ক্যারিয়ারের স্বার্থে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশ করছে শিক্ষাবোর্ডগুলো। আজ সকাল ১১টায় শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে (িি.িনরংব-পঃম.মড়া.নফ) এই ফলাফল পাওয়া যাবে। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ রোল নম্বর এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ ইআইএন নম্বর দিয়ে ফলাফল সংগ্রহ করতে পারবে।