বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকার রাষ্ট্রটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সেখান থেকে উদ্ধারের জন্য বিএনপির ২৭ দফা। বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ, এ রূপরেখায় তারা কিছুই ভুল বের করতে পারেনি, যেটা নিয়ে তারা বিরোধিতা করবে। তারেক রহমানের দেওয়া রূপরেখা নিয়ে আওয়ামী লীগ যে বিরোধিতা করবে, তার কিছুই এখানে দেওয়া হয়নি। তবে আওয়ামী লীগ এটাকে বলছে, বিএনপির স্ট্যান্টবাজি। এই রূপরেখার ওপর তারা কোনো বক্তব্য দিতেও সক্ষম হয়নি। এই রূপরেখা এমন একটি রূপরেখা, যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। দেশে-বিদেশে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মনের প্রত্যাশার প্রতিফলন এ রূপরেখার মাধ্যমে ঘটেছে।
তিনি গতকাল বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’—
শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভার প্রাপ্ত আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।
সভায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র নেই, রাজ্য হয়ে গেছে। বাংলাদেশ যে গভীর গর্তেও মধ্যে পড়েছে, সেই গর্ত থেকে দেশকে উদ্ধার করে রাষ্ট্র মেরামত করতে হবে। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের প্রতিটি কাঠামো ভেঙে ফেলেছে। এ জন্য রাষ্ট্র মেরামত করতে হবে। বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ বিএনপির সঙ্গে রাস্তায় নেমেছে এ স্বৈরাচার সরকারের পতনের জন্য।
প্রধান বক্তা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, গণতন্ত্রের জন্য, অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম। কিন্তু রাষ্ট্র সে কথা রাখেনি। এই রাষ্ট্র এখন মানুষের সমস্ত মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। তাই এ সরকারকে পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই।
মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, দেশ আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, এ থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের পতন ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ১০ দফা সরকার হঠানোর দফা আর ২৭ দফা রাষ্ট্র গঠনের রূপরেখা। আজ দেশে সুশাসন নেই। সব কিছু পাচার হয়ে গেছে। এ অবস্থা থেকে উদ্ধারের জন্য নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিকল্প নেই।
আবুল হাসেম বক্কর বলেন, মাফিয়ার কাছ থেকে দেশ উদ্ধার করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আবু সুফিয়ান বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ধ্বংস করে করে ফেলেছে। তাই রাষ্ট্র মেরামতে ২৭ দফা রূপরেখার বিকল্প নেই।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চবি শিক্ষক অধ্যাপক এস এম নছরুল কদির, চমেক ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, কৃষিবিদ অধ্যাপক আহসানুল হক, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক, ড্যাবের সাবেক সভাপতি ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর, শিক্ষক নেতা এম এ ছাফা চৌধুরী, জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ, ব্যবসায়ী নেতা জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, অ্যাডভোকেট জহুরুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার ওসমান, অ্যাডভোকেট মুফিজুল হক, অধ্যাপক ডা. আব্বাস উদ্দীন ও অ্যাডভোকেট কায়সার হামিদ। বিজ্ঞপ্তি