নিজস্ব প্রতিবেদক »
বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে শিল্পোন্নত করার যে উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয় তার কাক্সিক্ষত প্রতিফলন হচ্ছে না। এখানকার শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা শেষে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। অথচ তারা বিশ্বের নামিদামি প্রতিষ্ঠানে কাজ করে মেধার পরিচয় রাখছে। ’
গত রোরবার নগরের আগ্রাবাদস্থ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট), চট্টগ্রম চেম্বার ও বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্সের মধ্যে সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
বুয়েট উপাচার্য আরও বলেন, ‘আমরা বিপুল অংকের অর্থের বিনিময়ে বাইরে থেকে সফটওয়্যার আমদানি করছি যা আমাদের ছাত্ররাই বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হয়ে তৈরি করছে। তাই আগামীর স্মার্ট ও প্রযুক্তিনির্ভর দেশ গড়তে হলে এদের ধরে রাখতে হবে। গবেষণা ক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নিতে এবং ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে আমরা যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করছি।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এম এ লতিফ।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে শিক্ষা ক্ষেত্রে শক্তিশালী এবং একটি শিল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রণয়ন করেন। ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে আমাদের শিক্ষা, প্রকৌশল ও শিল্প খাতকে একীভূত করা প্রয়োজন। দেশের মেধা পাচাররোধে মোটিভেশনাল কার্যক্রম বৃদ্ধির মাধ্যমে গবেষণামূলক কর্মকা-ের সুযোগ বাড়াতে হবে।’
এ সমঝোতা স্মারকে বুয়েটের পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, চট্টগ্রাম চেম্বারের পক্ষে সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্স (বিসিই)’র পক্ষে ট্রেজারার সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর স্বাক্ষর করেন।
এ সময় বুয়েটের গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার বুয়েটের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। এতে চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদ, চেম্বার পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন, উইম্যান চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি আবিদা মোস্তফা, পিএইচপি মোটরস’র এমডি মো. আকতার পারভেজ বক্তব্য রাখেন।