ঘটনার বর্ণনা দিলেন ফিরে আসা জেলেরা

বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »

বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার নাজিরার টেক পয়েন্টে ট্রলার ডুবির ঘটনায় সাগরে বিভীষিকাময় ২ ঘণ্টা ভেসে থাকার বর্ণনা দিয়েছেন উদ্ধার হওয়া ৮ জেলে।

শুক্রবার দুপুরে নাজিরারটেক পয়েন্টে ট্রলার ডুবি ঘটনা ঘটলেও দীর্ঘ ২ ঘণ্টা সাগরে ভেসে থাকার পর জেলেদের উদ্ধার করে স্থানীয় জেলে ও কোস্টগার্ড। উদ্ধার জেলেদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়েছে কোস্টগার্ড। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে ১১ জন জেলে।

জানা গেছে, লঘুচাপের কারণে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। আবহাওয়ার অফিস থেকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করে। যার প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। তাই গভীর সাগর থেকে মাছ শিকার না করে উপকূলে ফিরছিলেন ১৯ মাঝিমাল্লা নিয়ে কক্সবাজারের খুরুশকুল লামাজিপাড়ার জাকের সওদাগরের এফবি মায়ের দোয়া ট্রলার। কিন্তু ফেরার পথে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে নাজিরারটেক পয়েন্টে বিশাল ঢেউয়ের আঘাতে উল্টে যায় ট্রলারটি।

এরপর জেলেরা সাগরে ভাসতে থাকে। ১টি লাইফ জ্যাকেট ধরে ২ ঘণ্টা ভাসছিলো ৪ জেলে আর ১টি ড্রাম ধরে ভাসছিলো আরও ৪ জন জেলে। পরে সাগর থেকে ফিরে আসা অন্য ট্রলারের জেলেদের সাহায্যে উদ্ধার করা হয় এই ৮ জেলেকে। পরে কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে গিয়ে ৮ জেলেকে দ্রুত উপকূলে নিয়ে আসে।

শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এসব ঘটনার বর্ণনা দেন উদ্ধার হওয়া জেলেরা। উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন মোহাম্মদ আলম, রাশেদ, ফরিদ, হাফেজ, বখতিয়ার, আবুল হোসেন, আবুল কাশেম ও মাত আলম। তারা সবাই কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল পূর্ব হামজার ডেইল এলাকার বাসিন্দা।
ঘটনার পরপর নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে নাজিরারটেক মোহনায় যায় স্বজন। নিখোঁজরা ফিরবেন এই অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন উপকূলে।
নিখোঁজ হওয়া জেলে হামিদুল হকের মামা হেলাল বলেন, হামিদুল হকের খোঁজে নাজিরারটেক উপকূলে এসেছি। কিন্তু সন্ধ্যা ৬টায় পর্যন্ত কোন খবর পাওয়া যায়নি। অপেক্ষা করছি কখন ফিরবে।

উদ্ধার ৮ জেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় কোস্টগার্ড কার্যালয়ে। এদের মধ্যে ১ জনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক হওয়ায় ভর্তি করা হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। আর নিখোঁজ বাকি জেলেদের উদ্ধার কাজ করছে স্থানীয় জেলেসহ কোস্টগার্ড। আর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পুলিশ, কোস্টগার্ড ও জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।