রাউজান উপজেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় এমপি ফজলে করিম
নিজস্ব প্রতিনিধি, রাউজান :
“ধর্ম নিয়ে যারা ব্যবসা করে তাদের কোন ক্ষমা নেই। রাউজানে কোন ধর্ম ব্যবসায়ীর স্থান হবে না। শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের এই ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।”গত ২১ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টায় রাউজান উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভার শুরুতে কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে তীব্র নিন্দাপ্রস্তাব উপস্থাপনকালে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় তিনি আরো বলেন মুজিব শতবর্ষে আমরা রাউজানে বঙ্গবন্ধুর ১শটি ম্যুরাল স্থাপন করেছি। এসব ম্যুরাল সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য তিনি স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এছাড়াও বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাস্টার দা সূর্যসেনের ম্যুরালে পাহারাদার জোরদার করার জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল।বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতীশ দর্শী চাকমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, পৌর প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ, হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মো. কামরুল আজম, থানা পুলিশ পরিদর্শক কাজী মাসুদসহ আরো অনেকেই।সভায় পাহাড়তলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রোকন উদ্দিনের প্রস্তাবে হাফেজ বজলুল রহমান সড়কের স্ব স্ব কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে গাড়ি ভাড়া পুনর্নির্ধারণের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন । সড়কে দূর্ঘটনা রোধে নছিমন-করিমন ও ব্যাটারিচালিত রিক্সা চলাচল করতে পারবে না। হেলমেটবিহীন ও দুইজনের বেশি মোটর সাইকেলে চলাচল করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে রাউজানের প্রতিটি ইউনিয়নে একশ করে সড়ক সৌরবাতি স্থাপন করা হবে বলে জানান সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।সভায় প্রতিটি ইউনিয়নে ২টি করে ও পৌরসভার ২২ টিসহ সর্বমোট ৫০ টি নির্মাণাধীন গৃহের তদারকি করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহ্বানে সাড়া দিয়ে সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ব্যক্তিগতভাবে ৫০ জন গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন উদ্যোগ গ্রহণ করেন।