নিজস্ব প্রতিনিধি, রাউজান »
রাউজান ফকির হাট কোরবানীর পশুর হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে মাক্স বিতরন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলকে করোনার ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রচারনা চালিয়েছেন রাউজান থানার ওসি আবদুল্ল্রাহ আল হারুন ।
১৫ জুলাই বিকালে রাউজান উপজেলা সদরের ফকির হাট বাজারের কোরবানীর পশুর হাট বসে রাউজান আদালত ভবন চত্বরে । কোরবানীর পশুর হাটে বিপুল পরিমাণ গরু ছাগল বিক্রয় করতে আনে বিক্রেতারা। রাউজানের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণ ক্রেতারা ও আসেন কোরবানীর জন্য গরু ও ছাগল ক্রয় করতে। আদালত ভবন চত্বরে কোরবানীর পশুর হাটে রাউজান থানার ওসি আবদুল্ল্রাহ আল হারুন, সেকেন্ড অফিসার অজয় দেব এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে মাক্স বিতরন করেন। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের হাতে হ্যান্ড স্যনিটেজার লাগিয়ে দেয় ।
এসময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন রাউজান পৌরসভার কাউন্সিলর আজাদ হোসেন, রাউজান প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিউল আলম।
কোরবানীর পশুর হাটে প্রবেশ মুখে পুলিশ মেটাল ডিরেক্টর দিয়ে তল্লাসী করে বাজারে প্রবেশ করাতে দেখা যায় । এছাড়া পুলিশের একটি দল ভবনের ছাদে দাড়িয়ে হাতে দুরবীন নিয়ে পশুর হাট পযবেক্ষন করতে দেখা যায় । বাজারে কেউ জাল টাকা নিয়ে বিক্রেতাদের সাথে প্রতরনা করা প্রতিরোধে পুলিশ জাল টাকা সনাক্ত করার জন্য পুলিশ পশুর হাটে মেশিন নিয়ে বসে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় । রাউজান থানার ওসি আবদুল্ল্রাহ আল হারুন বলেন, কোরবানীর পশু হাটে প্রবেশ করার সময়ে অনেক লোকের মুখে মাক্স দেখা যায়নি ।
যে সব লোকের মুখে মাক্স দেখা যায়নি আমরা তাদের মুখে মাক্স লাগিয়ে দিয়েছি । লোকজনের হাতে হ্যান্ড স্যনিটেজার লাগিয়ে দিয়েছি । বাজারে সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য প্রচারনা চালিয়েছি ।
ভবনের ছাদ থেকে দুরবিন দিয়ে বাজার পর্যবেক্ষন করছে পুলিশ। কোন ক্রেতা ও বিক্রেতা টাকা নিয়ে বাজারে আসতে ও বাজার থেকে গন্তব্যস্থলে যেতে পুলিশের সহায়তা চাইলে তাদের কে পুলিশ পাহাড়া দেওয়া হবে ।
গত বৃহস্পতিবার রাউজান আদালত ভবন চত্বরে কোরবানীর পশুর হাটে গরু ও ছাগল কেনাকাটা হয়েছে । কোরবানীর পশুর বাজারগুলোতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা হয়নি । বাজারের মধ্যে অনেক ক্রেতা ও বিক্রেতার মুখে মাক্স নেই ।