তেজ গোল্ড ধান চাষে পটিয়ায় কৃষকের সাফল্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া :

হাইব্রিড জাতের তেজ গোল্ড ধান চাষে পটিয়ায় এক কৃষকের সাফল্য এসেছে। রবিবার দুপুরে পটিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমান তেজ গোল্ডের পাকা ধান কাটা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন। চলতি মওসুমে কৃষক যাতে স্বল্প খরচে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারে সে জন্য কম্বাইন হারভেষ্টার মেশিনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই মেশিনের মাধ্যমে তেজ গোল্ড ধান কেটা, মাড়াই ও বস্তাবন্দি করা হয়। পটিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে সাংবাদিক আবেদ আমিরী নতুনজাতের এই ধান চাষ করে এলাকার কৃষকের মাঝে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। কম্বাইন হারভেষ্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটার সময় কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা উত্তম মজুমদার, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খায়ের আহমদ, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা টিটন কুমার দে।

জানা গেছে, চলতি মওসুমে পটিয়া ও পার্শ্ববর্তী কর্ণফুলী উপজেলায় নতুনজাতের তেজ গোল্ড ধান চাষ হয়েছে ২৭৫ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে পটিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে সাংবাদিক আবেদ আমিরী ৬০ শতক জমিতে চাষ করেন। প্রথমবারের মত চাষ করা তেজ গোল্ড ধান চাষে ব্যাপক সফলতা এসেছে। এই ধানটি পটিয়া উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী কর্ণফুলী উপজেলার ২২ ইউনিয়নের অন্তত ২ হাজার ৫শ কৃষক এবার চাষা করেছে।

পটিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমান জানিয়েছেন, তেজ গোল্ড ধান চাষ করে এবার ব্যাপক সফলতা এসেছে। স্বল্প খরচে ধান কাটার জন্য কৃষকের জন্য জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী একটি মিনি কম্বাইন হারভেষ্টার প্রদান করেছেন। এই হারভেষ্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা, মাড়াই ও বস্তাবন্দি করা যায়। চলতি মওসুমে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। প্রাকৃতিক দুযোর্গ না হওয়ার কারণে ধানের অবস্থা এখনো ভালো রয়েছে। প্রায় ধানে ৯০% সোনালী রং এসেছে। প্রাকৃতিক দুযোর্গ না হলে সব কৃষকরা কোন ক্ষতি ছাড়াই ধান ঘরে তুলতে পারবে।