পটিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ
নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া :
অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে পটিয়া উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নে গ্রামীণ একটি ব্রীজ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
৩ নম্বর ওয়ার্ডের আদু চৌধুরী ব্রীজের তিন পাশে বর্তমানে বালুর বস্তা দিয়ে উন্নয়ন কাজ চলছে।
বর্ষা মৌসুম ছাড়াও যে কোন সময় জোয়ারের অতিরিক্ত পানিতে খালের পাড় ভেঙে আশপাশের বাড়ি-ঘর তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগ ওঠেছে, উন্নয়নের নামে বর্তমানে ব্রিজের তিন পাশে বালির বস্তা দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন কাজ চলছে। এই উন্নয়ন কাজের বালির বস্তা ছিঁড়ে পুনরায় খালে নেমে পড়বে। বিষয়টি আশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ হাশেমকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের আইশ্যাখালি খালটি জোয়ার-ভোটার একটি খাল। বর্ষা মৌসুম ছাড়াও প্রতি জোয়ার-ভাটাতে ব্রীজ এলাকাসহ আশপাশের এলাকা পানিতে ডুবে থাকে।
স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে ব্রীজের তিন পাড়ে বালুর বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধের কাজ চলছে। ব্রীজের উপর যাওয়া আশিয়া-নয়াহাট-মুরালী জনকল্যাণ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক চলাচল করে থাকেন। গুরুত্বপূর্ণ এমন একটি ব্রীজের তিন পাড়ে বালুর বস্তা দিয়ে অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজ চলছে। খালের পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে রয়েছে বেশ কিছু বসত ঘর। আশিয়া ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ ফোরক জানিয়েছেন, ব্রীজের পূর্ব-উত্তর পাড়ে তাদের বসত ঘর রয়েছে। খালের ভাঙনে তাদের অনেক ভূমি বিলীন হয়ে গেছে এবং আরো যাওয়ার পথে। এর মধ্যে তিন পাশে বালু দিয়ে ভাঙন রোধের বাঁধ দিলেও তাদের বসতঘরের পাশে না দেওয়ার কারণে ঝুঁকির মধ্যে জীবনযাপন করছেন। তারা উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ হাশেম জানিয়েছেন, আশিয়া-নয়াহাট-মুরালী জনকল্যাণ সড়কটি ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজ চলছে। আদু চৌধুরী ব্রীজের তিন পাশের কিছু অংশ ভেঙে যাওয়ার কারণে ভাঙন রোধে বালুর বস্তা দিয়ে উন্নয়ন কাজ চলছে। গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রীজটি পুনর্নির্মাণের জন্য ৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে আদু চৌধুরী ব্রীজটি আর ঝুঁকিপূর্ণ থাকবে না।