১ কোটি টাকার ক্ষতি
নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্দনাইশ :
চন্দনাইশ উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ধোপাছড়ি বাজারে আগুনে পুড়ে গেছে ১৫টি দোকান। এতে ব্যবসায়ীরা প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির দাবি করেছেন। গত ২৬ এপ্রিল) সকাল ৭ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে প্রথমে বাজারের একটি দোকানে আগুন লাগে। এরপর আস্তে আস্তে আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম দিকে স্থানীয়রা সবাই আগুন নেভাতে এগিয়ে গেলেও গ্যাসের সিলিন্ডার থাকায় পিছু হটে। পরে প্রায় দু-তিন ঘণ্টায় স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নেভানো যায়।
আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানের মধ্যে ছিল ধোপাছড়ি বাজারের হারুনের টেইলারিংয়ের দোকান, রফিকের মুরগীর দোকান, জসিম উদ্দিনের মুরগী ও কসমেটিকস দোকান, রেজাউল করিমের মুদি মালামালের গোডাউন, আহমদ হোসেনের সার ও কীটনাশকের দোকান, সেলিমের স্টেশনারি দোকান, আবদুল করিমের সার ও কীটনাশকের দোকান, আবু হাসানের চায়ের দোকান, বাদশার মুদি ও পানের দোকান, নাইম উদ্দিনের মুরগীর দোকান, রশিদের চট, রশি ও ত্রিপলের দোকান, মোস্তাফিজুর রহমানের ধানের গোডাউন ও নুরুন্নবীর গ্যারেজের দোকানসহ প্রায় ১৪-১৫ টি দোকান।
ধোপাছড়ি বাজারের ব্যবসায়ী রেজাউল করিম, আহমদ হোসেন, মো. জসিম, মো. হারুন ও স্থানীয় মো. দিদারুল ইসলাম জানান, সকাল ৭ টার দিকে বাজারে আগুন লাগে।
এ সময় অনেক দোকানে গ্যাসের সিলিন্ডারও ছিলো। তাই জনগণ চেষ্টা করেও শুরুতে আগুন নেভাতে গিয়েও পিছু হটে। প্রায় দুই-তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও এরমধ্যে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তাদের দাবি, আগুন লাগার ঘটনায় এসব দোকানের অন্তত এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ধোপাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলম জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা পৌঁছানোর আগেই দু-তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ভারপ্রাপ্ত (ইনচার্জ) শাহ্ আলম খান জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।