নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকার একটি বাড়ি থেকে গাড়ি চোর সিন্ডিকেটের ৮ জন সদস্যকে আটক করেছে উখিয়া থানা পুলিশ।
এর মধ্যে ৬ জন পুরুষ ও ২ জন নারী সদস্য রয়েছে। পরে তাদের দেখানো মতে উখিয়ার রতœাপালং ইউনিয়নের আরেকটি জায়গা থেকে একটি গাড়ি জব্দ করে। সূত্র জানায়, শামসু নামের একজন প্রাইভেট কার (প্রোভক্স) চালক ২ জন যাত্রীসহ গত ৩১ মে ঢাকা থেকে কক্সবাজার আসছিলেন। পথিমধ্যে ঘটে বিপত্তি। যাত্রীরাই এখন দেখা যায় ভিন্ন জগতের। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই চালক শামসুর মুখ ও হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয়।
নির্ধারিত অবস্থানে থাকা সংঘবদ্ধ চক্রের আরো কয়েকজন সদস্য যোগ দেয়। সবাই মিলে চালককে উখিয়ার একটি পাহাড়ে নিয়ে আটকে রাখে।
চালক শামসুর মাধ্যমে ঢাকার গাড়ির মালিকের কাছে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
টাকা না পেলে ড্রাইভারকে মেরে ফেলবে, গাড়ি অন্যত্র বিক্রি করে দিবে বলে হুমকি দেয়।
তখন গাড়ির মালিক ৯৯৯ এর সাহায্য নেয় এবং ৯৯৯ উখিয়া থানাকে অপহরণের বিষয়টি জানায়।
উখিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ, উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এর নেতৃত্বে
৩ টি চৌকস টিম সম্ভাব্য ৩ টি জায়গায় একটানা অভিযান পরিচালনা করে।
অবশেষে উখিয়া হলদিয়া পালংয়ের পাহাড়ি এলাকার একটি বাড়ি থেকে চালককে উদ্ধার ও অপহরণ চক্রের ৮ জন সদস্যকে আটক করে।
পরে তাদের দেখানো মতে উখিয়ার রতœাপালং ইউনিয়নের আরেকটি জায়গা থেকে গাড়িটি জব্দ করে। কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে আটককৃতরা স্বীকার করে যে, তারা প্রায় সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভাড়া গাড়ি কক্সবাজারে এনে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি করে।
এছাড়া তারা মাদক, চোরাকারবারিও করে থাকে। দেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের মাদকের সিন্ডিকেট রয়েছে। আটককৃতদের ৪ জনের নামে বিজ্ঞ আদালতে হত্যা, ডাকাতি ও মাদক আইনে পূর্বে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময়ে জেলে থাকার সুবাদে বিভিন্ন জেলার লোকজনের সাথে পরিচয় ঘটে এবং তারা জেল থেকে বের হয়ে মাদক ও অপহরণের এই সিন্ডিকেট গঠন করে।
এসপি জানান, ৯৯৯ এর ফোন কলে পুলিশের অভিযানে একজন মানুষের জীবন বাঁচালো। উদ্ধার হলো গাড়ি। সেইসঙ্গে অনেক বড় একটি অপরাধীচক্র শনাক্ত হলো।
এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান এসপি মো. হাসানুজ্জামান।