রফিক উদ্দিন বাবুল, উখিয়া :
উখিয়ার জনগুরুত্বপূর্ণ নুরুল ইসলাম চৌধুরী সড়কটি খালের অব্যাহত ভাঙনে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। আতংকে রয়েছে খালের পাড়ে বসবাসরত ঘিলাতলী পাড়ার প্রায় শতাধিক বসতবাড়ি। স্থানীয়দের দাবি এ সড়ক রক্ষায় গাইড ওয়াল নির্মাণ করা না হলে বিলীন হয়ে যেতে পারে ফসলি জমি, ক্ষেত খামার ও জনবসতি। সরেজমিন ঘটনাস্থল ঘিলাতলী পাড়া খালের একাংশ ঘুরে দেখা যায় খাল ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে বহুতল ভবন, দোকানপাট ও বিভিন্ন প্রকার স্থাপনা। খালের একটি অংশে বসবাসরত পরিবারগুলোর ময়লা আর্বজনা, বাঁশঝাড় ও গণশৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে খালটি সংকুচিত হয়ে পড়েছে। খালের পাড়ে বসবাসরত নুর মোহাম্মদ সিকদার জানালেন, খালের উভয় পাশে এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি বিভিন্ন প্রকার স্থাপনা নির্মাণ করে দখলে নিয়েছে। তাছাড়া এ খালটি দীর্ঘদিন খনন করা হয়নি। উপরোন্তু খালের দু’পাশে বসবাসরত লোকজনের দখলের কারণে খালটি এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। প্রতি বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে খালে পানি দুকুলে উপচে শত শত বাড়িঘর, জমিজমা নষ্ট করে। তিনি বলেন, তৎকালীন সময়ে মরহুম নুরুল ইসলাম চৌধুরী বদন্যতায় খালের ভাঙ্গন রোধে একটি গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হলে তা এখন কোন কাজে আসছে না। স্থানীয় প্রবাসী ও সমাজ সর্দার ফিরোজ আহমদ বাদল জানান, খালের ভাঙনে তাদের বাড়িঘর রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, তার মতো অসংখ্য বাড়িঘর, ক্ষেত খামার, অদূর ভবিষ্যতে খালের গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
অধ্যাপক নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো জানান, তার বাড়িও খালের পাশে। তার দাবি নুরুল ইসলাম চৌধুরী সড়ক দিয়ে কুতুপালং, মধুরছড়া, লম্বাশিয়া, মাছকারিয়া, উপকূলের মাদারবনিয়াসহ বেশ কিছু গ্রামের মানুষ আসা যাওয়া করে থাকে। সড়কটি খালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেলে অসংখ্য মানুষ দুর্ভোগে পড়বে। তিনি অবিলম্বে এ সড়কটি একটি পূর্ণাঙ্গ সড়কে নির্মাণ করতে সড়কের পাশে গাইড ওয়াল নির্মাণ করার দাবি জানান। রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কার, সম্প্রসারণ ও টেকসই উন্নয়নের জন্য উপজেলা প্রশাসনের মাসিক সমন্বয় সভায় প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি বলেন, পরিপূর্ণ বরাদ্দ না পাওয়ার কারণে কাজ শুরু সম্ভব হচ্ছে না।