Blog Page 2743

মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষায় সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিয়ে এগুচ্ছে সরকার : তথ্যমন্ত্রী

বাসস :

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খেটে খাওয়া মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় সুচিন্তিত ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এগুচ্ছে সরকার। তিনি আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন।

‘বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুহার ইউরোপ, আমেরিকার চেয়ে কম তো বটেই, প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তানের চেয়েও কম এবং পরম সৃষ্টিকর্তার দয়া ও বিশ্বে করোনার প্রাদুর্ভাবের পরই এমনকি করোনাভাইরাস বাংলাদেশে আসার আগেই প্রধানমন্ত্রীর নানা দূরদর্শী পদক্ষেপই এর কারণ’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, কোনো মানুষই যাতে মারা না যায় এবং আক্রান্ত না হয়, সেই লক্ষ্য নিয়েই আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
‘লকডাউন খুলে দিয়ে সরকার ভুল করেছে’- বিএনপি’র এ মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভী এবং আরো কোনো কোনো নেতার বক্তব্যে মনে হয়, তাদের পরামর্শ যদি ইউরোপ-আমেরিকা শুনতো, তাহলে তারাও এই বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতো। তাদের কথায় মনে হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চেয়েও বিএনপি নেতারা স্বাস্থ্য বিষয়ে বেশি জ্ঞান রাখেন। তারা এ ধরনের হাস্যকর কথা বলেছেন।’

ড. হাছান বলেন, যেখানে স্পেন-ইতালিতে এখনো প্রতিদিন প্রায় ২ শ’র মতো মানুষ মারা যাচ্ছে, সেখানে তারা লকডাউন শিথিল করেছে। ভারতে প্রতিদিন একশ’র বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে, সেখানেও অনেক জায়গায় লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। এ সবই করা হচ্ছে মানুষের জীবিকা রক্ষার জন্য। বাংলাদেশেও মানুষের জীবনের পাশাপাশি জীবিকা রক্ষার জন্যই নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী আওয়ামী লীগের ‘আমরা করোনার থেকেও শক্তিশালী’- এ মন্তব্যকে কটাক্ষ করার জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের সাধারণ সম্পাদক এ কথাটি প্রতীকী অর্থে বলেছিলেন। অর্থাৎ সম্মিলিতভাবে যাতে আমরা সবাই জাতি-ধর্ম-বর্ণ-দল-মত নির্বিশেষে এই করোনা মোকাবেলা করি সেই অর্থেই কথাটি বলেছিলেন। সেই কথার অর্থ না বোঝা তাদের ভাষাজ্ঞানের অভাব। আমি আশা করবো, বিএনপি নেতারা এ কথার সঠিক অর্থ বুঝবেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন ‘বিএনপি নেতারা শুধু সমালোচনা করছেন, কিন্তু পৃথিবীর দিকে তাকাচ্ছেন না, কারণ তাদের এই সমালোচনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারের কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।’

তিনি বলেন, আজকের এই পরিণতিতে পৃথিবীর প্রায় সব দেশে সমস্ত দল একযোগে সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে জনগণকে রক্ষার জন্য। এমনকি ভারতেও প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ তাদের নেতৃতাধীন জোট সরকারের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সেই কাজটি বিএনপি করেনি, করতে পারেনি, কারণ তারা সেই সংস্কৃতিটি লালন করেনা বরং তারা ‘পলিটিক্স অব ডিনায়াল’ আর ‘পলিটিক্স অব কনফ্রনটেশন’-এ বিশ্বাস করে। হাছান মাহমুদ আক্ষেপ করে বলেন, আমরা আশা করেছিলাম মানুষের এই দুর্যোগের সময় তারা তাদের চিরাচরিত ‘না বলার রাজনীতি আর সাংঘর্ষিক রাজনীতি’ থেকে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু‘ দুঃখজনক হলেও সত্য তারা বেরিয়ে আসতে পারেনি।
করোনা মোকাবেবলায় মানুষের জন্য সরকারের বিভিন্ন সহায়তা কর্মসূচির বিবরণ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষকে সরকারি সহায়তার আওতায় আনা হয়েছে। আজকে প্রধানমন্ত্রী আরো ৫০ লাখ পরিবারকে এককালীন ২ হাজার ৫শ’ টাকা করে সরাসরি পৌঁছে দেয়ার কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন। এগুলো যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

করাচির মন্দিরে আফ্রিদির ত্রাণ বিতরণ

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
পাকিস্তানের একটি হিন্দু মন্দিরে গিয়ে দুঃস্থদের খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করলেন প্রাক্তন পাক অলরাউন্ডার শাহিদ আফ্রিদি। যার জন্য প্রাক্তন ক্রিকেটারকে কুর্নিশ জানাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের জেরে সমস্যায় পড়েছেন দুঃস্থ মানুষেরা। দু’বেলা-দু’মুঠো অন্নের জোগান করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে দুঃস্থ-গরিব পরিবারগুলি। এমন দুর্দিনে তারা যাতে অভুক্ত না থাকেন, তার জন্য অনেকদিন আগে থেকেই উদ্যোগ নিয়েছেন আফ্রিদি ও তার সংগঠন। পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে তার ফাউন্ডেশন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাচ্ছে আফ্রিদিকে।
সম্প্রতি একটি হিন্দু মন্দিরে যান তিনি। সেখানেও খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করেন। যার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে আফ্রিদি লেখেন, ‘আমরা একসঙ্গে সঙ্কটে পড়েছি। তাই ঐক্যবদ্ধভাবেই লড়তে হবে। একতাই আমাদের শক্তি। খাবার দিতে শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে গিয়েছিলাম।’ পাক স্কোয়াশ তারকা জাহাঙ্গির খানকেও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন আফ্রিদি।
এই মহৎ কাজে যে সমস্ত খাবারের ব্র্যান্ড তার পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন আফ্রিদি। এখনও পর্যন্ত ২২ হাজার পরিবারের কাছে রেশন পৌঁছে দিতে পেরে খুশি তিনি।
খবর : ঢাকাটাইমস’র।

থ্যালাসেমিয়া ও রক্তের অসুখে করোনা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?

সুপ্রভাত ডেস্ক :
কোভিড-১৯-এর ভয়ানক দাপটে অন্যান্য অসুখের কথা আমরা প্রায় ভুলতে বসেছি। আর তারই মারাত্মক ফল পেতে হচ্ছে হাতেনাতে। অন্যান্য ক্রনিক অসুখে আক্রান্তরা করোনা সংক্রমণের ভয়ে নিজেদের চিকিৎসার জন্যে চিকিৎসকের কাছে যেতে ভয় পাচ্ছেন। এর ফলে তাদের অসুখ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়া-সহ নানা ক্রনিক রক্তের অসুখের রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক ভাবে কিছুটা কম হওয়ায় এদের কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের প্রবণতা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি।
থ্যালাসেমিয়া অসুখটা ঠিক কী?
থ্যালাসেমিয়া মূলত একটি বংশগত অসুখ। এই রোগে রক্তের হিমগ্লোবিন তৈরি করে এমন দুটি জিন অস্বাভাবিক থাকে। এই অস্বাভাবিকতার রকম ফেরে আলফা থ্যালাসেমিয়া মেজর, বিটা থ্যালাসেমিয়া মেজর, থ্যালাসেমিয়া মাইনর ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের থ্যালাসেমিয়া দেখা যায়। আমাদের রাজ্য তথা দেশে থ্যালাসেমিয়া বলতে বিটা থ্যালাসেমিয়া মেজরই বোঝায়। এদেশে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, মহারাষ্ট্রে এই সমস্যার প্রকোপ বেশি। ভারতে প্রতি ঘণ্টায় এক জন করে থ্যালাসেমিয়া-যুক্ত শিশু জন্ম নিচ্ছে। থ্যালাসেমিয়া ট্রেটরা আসলে এই রোগের বাহক বা ক্যারিয়ার। দু’টি জিনের একটি খারাপ থাকায় এদের শরীরে কোন রোগলক্ষণ থাকে না কিন্তু পরবর্তী প্রজন্মে এরা রোগটিকে বয়ে নিয়ে যায়। থ্যালাসেমিয়া-সহ রক্তের অসুখের রোগীদের কাছে করোনা অত্যন্ত বিপজ্জনক।
থ্যালাসেমিয়া মাইনর বা থ্যালাসেমিয়া ইন্টারমিডিয়া রোগীদের আসলে খুবই মৃদু ধরনের থ্যালাসেমিয়া থাকে। সে জন্য যেখানে থ্যালাসেমিয়া মেজর রোগীদের মাসে এক থেকে তিন বার রক্ত নিতে হয় সেখানে থ্যালাসেমিয়া মাইনরে প্রতি এক বছর বা দুই বছর অন্তর রক্ত নিতে হয় বা অনেক সময় রক্ত না নিলেও চলে। যে কোনও থ্যালাসেমিয়াতেই অ্যানিমিয়া থাকে। এছাড়া লিভার, কিডনি বা হার্টে আয়রন জমে বলে চিকিৎসকদের সঙ্গে এদের নিয়মিত যোগাযোগ রাখাও প্রয়োজন হয়।
হার্টের অসুখ, ডায়াবিটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতোই থ্যালাসেমিয়া-সহ রক্তের অসুখের রোগীদের কাছে করোনা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এদের সংক্রমনের ঝুঁকি বেশি। তাই এই বিশ্ব মহামারির সময় নিয়ম মেনে বাড়িতে থাকতে হবে। বাজার-দোকানে যাওয়া একেবারে মানা। সাবান দিয়ে হাত ধোয়া বা মাস্ক পরার মতো সাধারন নিয়ম মানতেই হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলে চরম বিপদের ঝুঁকি থাকে।
রক্তের রোগীদের কোভিড-১৯ এর উপসর্গ
থ্যালাসেমিয়া-সহ ক্রনিক রক্তের অসুখে অনেক সময় করোনার প্রচলিত উপসর্গ নাও থাকতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আর পাঁচ জনের মতোই জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট দিয়ে রোগের লক্ষণ শুরু হয়। কিন্তু রক্তের অসুখে সামান্য দুর্বলতা, গা ম্যাজম্যাজ আর তার পরেই শুরু হয় প্রবল শ্বাসকষ্ট। তাই কোনও রকম শারীরিক অসুস্থতা বোধ করলেই দ্রুত সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করতে হবে। এখন বেশির ভাগ গ্রামের হেলথ সেন্টারে থ্যালাসেমিয়া ও অন্যান্য রক্তের অসুখের কাউন্সিলর আছে।
রক্ত নেওয়ার দরকারে দেরি নয়
থ্যালাসেমিয়া ও হিমোফিলিয়া-সহ ক্রনিক রক্তের অসুখ থাকলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর রক্ত নেওয়ার দরকার হয়। ব্লাড ট্রান্সফিউশনের নির্ধারিত সময় পনেরো-কুড়ি দিন পর্যন্ত পেছিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে জরুরি ভিত্তিতে রক্তের দরকার হলে নিকটবর্তী হাসপাতালে যেতে হবে। যে কোনও শারীরিক অসুবিধের সম্মুখীন হলে তা গোপন না করে বাড়িতে জানিয়ে অবশ্যই হেমাটোলজিস্টের পরামর্শে সঠিক চিকিৎসার সাহায্য নিলেই অসুখ অনেকটা সামাল দেওয়া যাবে।
খবর : আনন্দবাজার’র।

জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান আর নেই

বিবিসি বাংলা »

বাংলাদেশের খ্যাতিমান শিক্ষক, লেখক জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ঢাকার সম্মিলিতি সামরিক হাসপাতালে মারা গেছেন তিনি বেশ কিছুদিন ধরে হার্ট কিডনির জটিলতা কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন

অধ্যাপক আনিসুজ্জামান শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন কিন্তু সাহিত্যগবেষণা, লেখালেখি সাংগঠনিক কার্যক্রমের জন্য তাঁর ভূমিকা ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে উল্লেখ করা হয়েছে

আনিসুজ্জামানের রচিত সম্পাদিত বহু বাংলা ইংরেজি বই, শিল্পসংস্কৃতি ইতিহাসের বিবেচনায় খুবই গুরুত্ব বহন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলছিলেন সমাজ, সংস্কৃতি রাজনীতি ভাবনার ক্ষেত্রে চেতনার বাতিঘরের ভূমিকা পালন করেছেন তিনি

একজন শিক্ষক,একজন সমাজমনস্ক মানুষ, প্রগতিশীল চিন্তার অধিকারী একজন অনন্য সাধারণ মানুষ হিসেবে তাকে আমরা সব সময় বিবেচনা করি,” বলছিলেন মি.হোসেন

১৯৬১ সালের রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠানে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯৬৭ সালে একটি খবর ছাপা হয়রবীন্দ্রনাথের গান পাকিস্তানের জাতীয় ভাবাদর্শের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে বেতার টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রচার হ্রাস করতে বলা হয়। এর প্রতিবাদে বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বিবৃতিতে আনিসুজ্জামান স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন এবং সেটা বিভিন্ন কাগজে ছাপতে দেন

লেখক গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলছিলেন সেই সময় থেকেই আনিসুজ্জামান তাঁর ভূমিকার জন্য মধ্যবিত্ত বাঙালির সংস্কৃতির আন্দোলনের অগ্রগণ্য পথিকৃৎ হয়ে দাঁড়ান

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলছিলেনদেশের প্রতিটি সংকটকালে তাঁর বক্তব্য, মন্তব্য এবং ভূমিকা দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করেছে

আনিসুজ্জামান ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই ফেব্রুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ৪৭এর দেশভাগের পর তাঁর পরিবার প্রথমে বাংলাদেশের খুলনাতে আসেন। পরে ঢাকায় স্থায়ী হন। ১৯৫৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা সাহিত্যে অনার্স ১৯৫৭ সালে এম.. পাস করেনএরপর মাত্র ২২ বছর বয়সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন

আনিসুজ্জামান ছিলেন সমাজের চেতনার বাতিঘর

১৯৬৯ সালের জুন মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের রিডার হিসেবে যোগ দেন। অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলছিলেন বাংলা একাডেমির বাংলা বানান রীতির অভিধানসহ যেকোন প্রকল্পে তাঁর অবদান ছিল সীমাহীন

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনসংগ্রামে অবদান রেখেছেন . আনিসুজ্জামান। ১৯৭১ সালে মুজিব নগর সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ছিলেন তিনি

১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান বাংলা ভাষায় অনুবাদের যে কমিটি ছিল সেটার নেতৃত্বে ছিলেন তিনি

এছাড়া ১৯৯১ সালে গঠিত গণ আদালতের একজন অভিযোগকারী ছিলেন তিনি। মহিউদ্দিন আহমেদ বলছিলেন তখনকার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া মোটেই সহজ কাজ ছিলো না

তিনি বলছিলেনবাংলা ভাষার উপর দখল থাকার ব্যাপার না, পুরো বাংলাদেশের স্পিরিটটা, মানুষের আশাআকাঙ্ক্ষা, সংবিধানে ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দের তাৎপর্য, উৎপত্তি বোঝার মত যে ক্ষমতা থাকা দরকার সেটার অভাব মেটাতে পেরেছিলেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান

শিক্ষা, শিল্পসাহিত্য, সাংগঠনিক ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ,একুশে পদক সহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন

তিনি শিল্পকলা বিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকাযামিনীএবং বাংলা মাসিকপত্রকালি কলম‘-এর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন

 

১৪ দিন ছুটি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন

সুপ্রভাত ডেস্ক :

চলমান সাধারণ ছুটি আরো ১৪ দিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন নির্দেশনা মানা সাপেক্ষে সপ্তম দফায় আগামী ১৭ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে সাপ্তাহিক, শবে কদর ও ঈদের ছুটি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সপ্তম দফায় ছুটি বাড়িয়ে আদেশটি জারি করা হয়। আদেশে বলা হয়, কারোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সরকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১৬ মে’র পর শর্তসাপেক্ষে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ১৭ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি থাকবে। সাধারণ ছুটির সঙ্গে ২১ মে’র শবে কদরের ছুটি, ২২, ২৩, ২৯ ও ৩০ মে’র সাপ্তাহিক ছুটি এবং ২৪, ২৫ ও ২৬ মে’র ঈদের ছুটি যুক্ত হবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, ছুটিতে ঈদের আগের চারদিন ও পরের দুদিন অর্থাৎ সাতদিন সাধারণ পরিবহন চলাচলে খুব কঠোরতা থাকবে। লরি, কাভার্ড ভ্যানের মতো অতি জরুরি পরিবহন ছাড়া অন্য সব যানবাহন চলাচলে কঠোরতা থাকবে। আর যে যেখানে আছেন, সবাই সেখানেই ঈদ করবেন।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর তা বাড়িয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। তৃতীয় দফায় ছুটি বাড়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত, চতুর্থ দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর ৫ মে ও সর্বশেষ ছুটি ১৬ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।

এর আগে গেল ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। পরে দফায় দফায় ছুটি বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়।

নগদ অর্থ সহায়তার কর্মসূচি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

বাসস :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন।
প্রতি পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ প্রদানে ইতোমধ্যেই সাড়ে ১২ শ’কোটি টাকা ছাড় করেছে সরকার। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিনা খরচে প্রত্যেক পরিবারের হাতে ঈদের আগেই এই টাকা পৌঁছে দেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ‘এ অর্থ প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য। আমরা হয়তো অনেক বেশি দিতে পারবো না। কিন্তু কেউ যাতে বঞ্চিত না হয়, সবাই যাতে সামান্য হলেও সহায়তা পায় আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

একই সঙ্গে অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের ২০১৯ সালের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাষ্টের আওতায় প্রতি বছর প্রায় ২ কোটি ৪ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি এবং উপবৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে।

তিনি একইসঙ্গে সুইচ চেপে দুটি কর্মসূচির উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটাই হলো আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ। কারো কাছে যেতে হবেনা, ধর্না দিতে হবেনা, বলতে হবেনা, কিন্তু সবার কাছে টাকা হেঁটে পৌঁছে যাবে। মানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পৌঁছে যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের জীবনে প্রয়োজন অনেক বেশি। মানুষদের ক্ষুধার জ্বালা আমরা বুঝি। এ জন্য অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’
করোনাভাইরাসকে অদৃশ্য শক্তি আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘এমন একটি অদৃশ্য শক্তির মোকাবেলা কোনো দেশই করতে পারছে না। কত শক্তিশালী দেশকেও আমরা দেখেছি, এই করোনাভাইরাস শক্তির কাছে সারেন্ডার করছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লাভ হয়েছে প্রকৃতির। জলবায়ু পরিবর্তনে পরিবেশ-প্রতিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। প্রকৃতি তার আপন গতিতে ফিরে যাচ্ছে। এটি একটি অদ্ভুত ব্যাপার, এ ধরনের ঘটনা পৃথিবীতে আর কখনও ঘটেনি। অনেক মহামারি ও দুর্ভিক্ষের কাহিনি আমরা জানি। কিন্তু এবারের বিষয়টা ভিন্ন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল। ৮ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিলাম। আমাদের দুর্ভাগ্য, এমন সময় একটি অদৃশ্য শক্তির আঘাত, যার ফলে সমগ্র বিশ্ব একেবারে থমকে গেছে। সারা বিশ্ব অর্থনৈতিকভাবে আক্রান্ত।’
জানা গেছে, বিকাশ, নগদ, রকেট ও শিওরক্যাশের মাধ্যমে পরিবারগুলোর কাছে টাকা পৌঁছে যাবে। মোট ৫০ লাখ পরিবারের কাছে টাকা পাঠানোর কাজের মধ্যে বিকাশের ভাগে রয়েছে ১৫ লাখের দায়িত্ব। সবচেয়ে বেশি ১৭ লাখ পরিবারের কাছে টাকা পাঠাবে নগদ। বাকি ১৮ লাখ পরিবারের কাছে পৌঁছাবে রকেট ও শিওরক্যাশ।
উদ্যোগটির সঙ্গে জড়িত রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ। আর পরিবার চিহ্নিত করা হয়েছে স্থানীয় সরকার অর্থাৎ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের সাহায্যে।
তালিকায় রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোল্ট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকসহ পরিবহন শ্রমিক, হকারসহ নানা পেশার মানুষকে রাখা হয়েছে।

সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সহায়তায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী বর্তমানে যেসব সহায়তা পাচ্ছে, এ তালিকায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তালিকার কাজ শেষ করা হয়েছে ৭ মে। অবশ্য এখনও যাচাইয়ের কাজ চলছে।
শেখ হাসিনা এ সম্পর্কে বলেন, তাঁর সরকার সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রে দ্বৈততা পরিহারের চেষ্টা করেছে এবং আসন্ন ঈদ ও রমজানকে উপলক্ষ্য করেই এই সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
তিনি একেবারে বেকার ঘরে বসে না থেকে করোনার জন্য সাবধানতা অবলম্বন করে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কিছু কিছু কাজ-কর্ম করার জন্য মেহেনতি মানুষকে পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশে তখন মঙ্গা থাকে না, দরিদ্র থাকে না, এটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। ’
কোভিড-১৯ এর বিস্তাররোধে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন,‘অন্যান্য দেশে যেভাবে করোনা আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে এবং মানুষ মারা যাচ্ছে সে তুলনায় আমরা কিন্তু অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।’

ভিডিও কনফারেন্স সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড.আহমদ কায়কাউস।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সংযুক্ত হয়ে শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দিপু মনি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, গণভবন প্রান্তে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, পিএমও এবং গণভবনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে বরগুণা, শরিয়তপুর, সুনামগঞ্জ এবং লালমনিরহাটের উপকারভোগী জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

 

 

২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪১ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত, ১৪ জনের মৃত্যু

ল্যাবে চলছে করোনা পরীক্সা

সুপ্রভাত ডেস্ক :

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ হাজার ৪১ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

আর এ সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৪ জন।

এ নিয়ে বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৮,৮৬৩ জন। আর এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ২৮৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬৬ জন। ফলে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩,৩৬১ জন।  নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ১১ ও নারী ৩ জন। এবংএর মধ্যে ঢাকায় নয়জন ওচট্টগ্রামে ৫ জন।  গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৩৯২ টি নমুনা পরীক্ষা করে রোগী শনাক্তের এসব ফলাফল পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৪১টি প্রতিষ্ঠানে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনে ১০,০০০ নমুনা পরীক্ষার টার্গেট করা হলেও তা এখনও বাস্তবায়ন করা যায়নি।

কর্মকর্তারা বলেছেন, নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে লোকবলের সমস্যার কারণে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিলম্ব হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলেছেন, বাংলাদেশে এই পরীক্ষা শুরুর পর দুই মাসেও এর সংখ্যা বাড়াতে না পারলে সংক্রমণের সঠিক পরিস্থিতি বোঝা যাবে না।

বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস রোগী শনাক্তের কথা জানানো হয় ৮ই মার্চ। তবে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর কথা ঘোষণা করা হয় ১৮ই মার্চ।

কর্ণফুলীতে গার্মেন্টস কর্মী করোনা আক্রান্ত ৫ পরিবার লকডাউন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আনোয়ারা :

কর্ণফুলী উপজেলার চরলড়্গ্যা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে একজন নারীর (৩২) দেহে কোভিড-১৯ সনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় দুজন রোগীর শরীরে করোনার আক্রান্ত হলো।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নোমান হোসেন। রাতেই ৫ বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন। বুধবার বিআইটিআইডিতে ২৩১টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৯টি পজেটিভ আসে রাতে। এর মধ্যে বিবাহিত ওই নারীও করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগী শনাক্ত হন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করোনা রোগী শনাক্ত হওয়া নারী স্থানীয় সৈন্যারটেকের ডিভাইন ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন। গত কয়েকদিন আগে তিনি অসুস্থ অনুভব করলে নগরীর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। ওখানেই তার নমুনা সংগ্রহ করে বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়। রাতেই প্রশাসন রোগির বাড়িসহ ৫ বাড়ি লকডাউন করে।

কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, রাতেই শনাক্ত হওয়া রোগীর বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। রোগির অবস্থা ভালো তাই তিনি নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তার সাথে থাকা ৪জনের মধ্যে একজনকে নমুনা পরীক্ষার জন্য পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। রোগীর বাড়িসহ ৫টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলকে নিরাপদে থাকতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়িতেই অবস্থান করতে হবে। অপরিচিতদের সঙ্গ এড়িয়ে চলার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

 

 

বিএনপি থেকে এসে আওয়ামী লীগ বনে চাল চুরি, অবশেষে ধরা

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, মিরসরাই :

এক সময় করতো বিএনপির রাজনীতি। রয়েছে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে খুনের অভিযোগ। ২০১২ সালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের হাতে ফুল দিয়ে বনে যান আওয়ামী লীগ নেতা।

অবশেষে সরকারি ৬০ বস্তা মজুদকৃত চালসহ র‌্যাবের জালে ধরা পড়ল নুরুজ্জমান। ঘটনাটি ঘটেছে মিরসরাই উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নে।

আটককৃতরা হলো আওয়ামী লীগ বনে যাওয়া দক্ষিণ ওয়াহেদপুর এলাকার হাফিজুর রহমানের পুত্র ও ৯ নম্বর ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুজ্জামান নুরু (৩৮) ও তার সহযোগী। জাকির হোসেনের পুত্র আলা উদ্দিন (২৮)।

বুধবার  রাত সাড়ে ৯টার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ছোটকমলদহ দক্ষিণ ওয়াহেদপুর গ্রামের একটি গোডাউন থেকে চালগুলো উদ্ধার করা করে র‌্যাব-৭ এর একটি দল। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এই বিষয়ে র‌্যাব ৭ এর (ফেনী) ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মো. নুরুজ্জামান বলেন, সরকারি চাল মজুদ রাখার সাথে জড়িত নুরুজ্জামান ও তার সহযোগী আলা উদ্দিনের আটক করা হয়েছে। এরপর নুরুজ্জামানের বাড়ির সামনে অবস্থিত গোডাউন থেকে ৬০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত চালের পরিমাণ ১৫৮৩ কেজি।

তিনি আরো বলেন, কিছু চালের বস্তায় সরকারি দপ্তরের সিল রয়েছে।  বেশিরভাগ চালের বস্তা পরিবর্তন করে আগুনে পুড়িয়ে ফেলেছে বলে স্বীকার করেন আটককৃত নুরুজ্জামান। চালগুলো কোথায় থেকে আনা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

চালকদের সাথে আঁতাত করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচল করা বিভিন্ন গাড়ি থেকে রড, সয়াবিন  তেল, ডাল, চিনি সহ বিভিন্ন পণ্য লুট করে বলে  জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে আটকৃকতরা।

স্থানীয়রা জানান, এক সময় নুরুজ্জামান বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। ২০১২ সালে স’ানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের হাতে ফুল দিয়ে সে আওয়ামী লীগে যোগদান করে।

এ বিষয়ে মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, চাল উদ্ধার ও আটকের বিষয় শুনেছি। তবে র‌্যাব আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু বলেনি।

করোনা ভাইরাস সম্ভবত কখনই যাবে না : ডব্লিউএইচও

সুপ্রভাত ডেস্ক :

করোনা ভাইরাসকে সম্ভবত কখনই বিদায় করা যাবে না এবং বিশ্বের জনগণকে এর সঙ্গেই বসবাস করা শিখতে হবে।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু) বুধবার এই হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছে।
করোনা মোকাবেলায় জারি করা নিষেধাজ্ঞা অনেক দেশের তুলে নেয়ার প্রেক্ষাপটে হু বলছে, একে সম্ভবত পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হবে না।

জেনেভায় এক ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে হু’র পরিচালক মাইকেল রায়ান বলেন, ভাইরাসটি নতুন এবং এটি প্রথমবারের মতো মানুষের মাঝে ছড়িয়েছে। আমরা কখন জয়ী হবো তা বলা খুবই কঠিন।
তিনি আরো বলেন, এই ভাইরাস হতে পারে অন্য ভাইরাস রূপে আমাদের মাঝে ছড়াবে, যা কোনদিনই যাবে না।
এ ক্ষেত্রে তিনি এইচআইভি’র প্রসঙ্গ টেনে বলেন, যেমন এইচআইভি যাচ্ছে না। কিন্তু আমাদেরকে এর সাথেই বসবাস করতে হচ্ছে।
এদিকে দেশে দেশে নিষেধাজ্ঞা শিথিল প্রসঙ্গে হু সতর্ক করে বলছে, এর ফলে দ্বিতীয় দফায় ভাইরাসটি যে ছড়াবে না তার কোন নিশ্চয়তা দেয়া যাচ্ছে না।
হু’র প্রধান টেডরস এডহানম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ নিতে পারে। কিন্তু আমাদের সুপারিশ হলো সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা অবলম্বন।
এদিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আরো অনেক সময় অপেক্ষা করতে হবে বলেও সতর্ক করেন রায়ান।

এ মুহূর্তের সংবাদ

শের-শায়েরি ও কয়েকজন শায়ের

নগরায়নের ফলে বাড়বে পরিবেশ ঝুঁকি

তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুলকে ট্যাগ করে যা বললেন সারজিস

গুমের ঘটনায় সেনা সদস্যের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির

টেলিকম নীতিমালায় সরকারের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তে বিএনপির উদ্বেগ

সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার

সর্বশেষ

শের-শায়েরি ও কয়েকজন শায়ের

নগরায়নের ফলে বাড়বে পরিবেশ ঝুঁকি

মনে হয় যেন নতুন বই নিয়ে শাটলে ঝুলছি

আবদুল্লাহ আল মামুন : মঞ্চের মহারথি মানবিক চিত্রশিল্পী

ছড়া ও কবিতা

নাটকে অভিনয় নিয়ে আপাতত এখনো ভাবছি না সাবিলা নূর

ঋতুপর্ণাদের সামনে ব্রাজিল বিশ্বকাপেরও হাতছানি

এ মুহূর্তের সংবাদ

শের-শায়েরি ও কয়েকজন শায়ের

এ মুহূর্তের সংবাদ

নগরায়নের ফলে বাড়বে পরিবেশ ঝুঁকি

শিল্প-সাহিত্য

মনে হয় যেন নতুন বই নিয়ে শাটলে ঝুলছি