Blog Page 2754

করেনা ভাইরাস : ৯৩০ শনাক্ত, মৃত ১৬

সুপ্রভাত ডেস্ক :

বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯৩০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে বাংলাদেশে ২০ হাজার ৯৯৫ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হলো।

করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। ১৮ই মার্চ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মারা গেলো ৩১৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ২৩৫ জন এবং এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে সুস্থ হলেন ৪,১১৭ জন।

মোট ৬,৭৮২ টি নমুনা পরীক্ষা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

সারাদেশে নমুনা পরীক্ষা করার ৪১টি কেন্দ্রের ৩২টি কেন্দ্রের পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনে ১০,০০০ নমুনা পরীক্ষার টার্গেট করা হলেও তা এখনও বাস্তবায়ন করা যায়নি।

কর্মকর্তারা বলেছেন, নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে লোকবলের সমস্যার কারণে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিলম্ব হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলেছেন, বাংলাদেশে এই পরীক্ষা শুরুর পর দুই মাসেও সংখ্যা বাড়াতে না পারলে সংক্রমণের সঠিক পরিস্থিতি বোঝা যাবে না।

পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বাঁশখালী ও টেকনাফে দুই আসামি নিহত

সংবাদদাতা, বাঁশখালী ও টেকনাফ :

বাঁশখালীর  বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে ২ মাদ্রাসা ছাত্র খুনের ঘটনায় পুলিশের সাথে সন্ত্রাসীদের ‘বন্দুক যুদ্ধে’  ১ আসামি নিহত হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টায়  এ ঘটনা ঘটে। এতে ওসিসহ ৮ পুলিশও আহত হয়েছে । নিহত নুরুল আনচার প্রকাশ কালু (৪০) ইলশা গ্রামের দলিলুর রহমানের পুত্র । তিনি মাদ্রাসা ছাত্র হত্যা মামলার প্রধান আসামি মদিনা ব্রিক ফিল্ডের মালিক নুরম্নল আবছারের ছোট ভাই এবং মামলার ৩ নম্বর আসামি।  তার বিরম্নদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে বাঁশখালীসহ বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলা রয়েছে। পুলিশ তার কাছ থেকে ১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৪টি কিরিচ উদ্ধার করেছে।

আহত ৮ পুলিশকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম মজুমদার, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. আজিজুল বারী, এস আই নাজমুল হক, এসআই মো. মুজিবুর রহমান, কনস্টেবল মো. শফিকুল ইসলাম, মো. রাসেল, ইয়ামিন আরাফাত, মেহেদী হাসান ।

জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে ৪০ জনের পুলিশদল বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে অভিযানে যান। পুলিশদল রাত ২টা নাগাদ ইলশা গ্রামে হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি মদিনা ব্রিক ফিল্ডের মালিক নুরুল আবছারের ব্রিক ফিল্ডে পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্রিক ফিল্ড থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এক পর্যায়ে গুলিবিনিময় বন্ধ হলে ব্রিক ফিল্ডের ভিতর থেকে হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি নুরুল আনচার প্রকাশ কালুর লাশ পাওয়া যায়। রাত ৩টা  থেকে ৪টা পর্যন্ত আহত পুলিশদের বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার রাসেদুল করিম বলেন ৬ পুলিশকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া গেলেও ওসি মো. রেজাউল করিম মজুমদার ও এসআই নাজমুল হক ছররা গুলিতে জখমের পরিমাণ বেশি।

বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে দুই ব্রিক ফিল্ডের মালিকদের দীর্ঘদিনের বিরোধে গত মঙ্গলবার (১২ মে) দিবাগত রাত ১০টায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয় দুই মাদ্রাসা ছাত্র মাওলানা মো. খালেদ বিন ওয়ালিদ (২৩) ও  মাওলানা হাফেজ ইব্রাহিম (২২)।

আহত বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল  করিম মজুমদার বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক পৃথক দুইটি মামলা হবে।

টেকনাফ

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী সন্ত্রাসী আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (২২) নিহত হয়েছে। নিহত যুবক টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেষখালীয়া পাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। জানা যায়, নিহত যুবক একজন দুর্ধষ সন্ত্রাসী ও হত্যাসহ অন্তত অর্ধডজন মামলার আসামি

শনিবার (১৬ মে) ভোর রাত ৩টার দিকে হত্যাসহ অর্ধডজনের বেশী মামলার পলাতক আসামি সন্ত্রাসী আরিফ দলবল নিয়ে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেষখালীয়া পাড়া মৎস্যঘাট এলাকায় অবস্থানের খবরে পুলিশ সেখানে অভিযানে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এসময় সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের গুলিবিনিময় হয়।

একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে আরিফের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস তিনি বলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেষখালীয়া পাড়া এলাকার সন্ত্রাসী আরিফের অবস্থানের খবর পেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশ আত্নরক্ষার্থে গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে আরিফের গুলিবিদ্ধ দেহ পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন এএসআই রামধন দাশ, সাইফুদ্দিন ও কনস্টেবল রমন দাশ। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।

 

নতুন করে আক্রান্ত ৬৮ জন

করোনা ভাইরাস

নিজস্ব প্রতিবেদক :

করোনায় দুই দিন ধরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সি’তিশীল রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ৬১ জন আক্রানেত্মর পর গতকাল শুক্রবার আক্রান্ত হয়েছে ৬৮ জন। এরমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ৫৮ জন ও বিভিন্ন উপজেলার ১০ জন রয়েছে। নগরীতে আক্রানেত্মর মধ্যে যথারীতি দামপাড়া পুলিশ সদস্য রয়েছে তিনজন। গতকাল চট্টগ্রামে ৬৮ জন শনাক্ত হওয়ায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৪৩ জন। এদের মধ্যে মারা গিয়েছে ৩১ জন ও সুস’ হয়ে বাড়ি গেছেন ১০১ জন।

এদিকে গতকাল চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের করোনা শনাক্ত হওয়া ৬৮ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ৫৮ জন ও উপজেলার ১০ জন। উপজেলার ১০ জনের মধ্যে হাটহাজারির তিনজন, আনোয়ারার দুজন, সীতাকুন্ডের তিনজন, বোয়ালখালীর একজন ও চন্দনাইশের একজন রয়েছেন।

সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার  চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৫৫টি নমুনার মধ্যে ২৫টি পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ২৫টি পজিটিভের মধ্যে চট্টগ্রামের ১৭টি ও অন্যজেলার আটটি। চট্টগ্রামের ১৭টির মধ্যে মহানগরীর ১৩টি ও উপজেলার চারটি (সীতাকুন্ড ও আনোয়ারার দুইজন করে চারজন)।  মহানগরীর ১৭টির মধ্যে হালিশহরের ৪৮ বছর বয়সী পুরম্নষ একজন ও ৫৫ বছর বয়সী নারী একজন, বিআইটিআডির ২৮ বছরের যুবক, অলংকার মোড়ের ৪২ বছরের পুরম্নষ,  ফৌজদারহাট ফকিরহাটের ২২ বছরের যুবক, মা ও শিশু হাসপাতালের ২০ বছরের নারী, দামপাড়া পুলিশ লাইনের পাঁচ সদস্য ( বয়স-৩৫,২৩, ৩৫, ৩২, ৩৯ বছর), ফিল্ড হাসপাতালের ১৭ বছরের যুবক, আগ্রাবাদ হাজী পাড়ার ২৯ বছরের যুবক ও দেওয়ানহাটের ৪৩ বছরের পুরম্নষ।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ১২৮টি নমুনার মধ্যে ৪৭ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ৪৭ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪৫ জন ও উপজেলার দুই জন। উপজেলার দুই জনের মধ্যে একজন সীতাকু-ের ও অপরজন বোয়ালখালীর।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৪ মে বৃহস্পতিবার ১০০টি নমুনার মধ্যে ১৭টি পজিটিভ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে চট্টগ্রামের চারটি ও ভিন্ন জেলার ৯টি। চট্টগ্রামের চারটি পজিটিভের মধ্যে হাটহাজারির তিনজন (সিটি প্যালেস এলাকার ১২ বছরের কিশোর, উপজেলা স্বাস’্য কমপেস্নক্সের ৪৫ বছর বয়সী পুরুষ ও ২৮ বছর বয়সী নারী ) এছাড়া চন্দনাইশ মোহাম্মদপুর এলাকার ৬০ বছরের বৃদ্ধ রয়েছেন। অপরদিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের ২১টি নমুনার মধ্যে সবগুলো নেগেটিভ পাওয়া গেছে।

এদিকে  নতুন করে ৬৮ জন করোনায় শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৬৪৩ জন।

 

করোনা হাসপাতাল সংকটেও হলিক্রিসেন্ট চালুতে গড়িমসি

করোনা চিকিৎসা #

চট্টগ্রামের স্বার্থে করোনা চিকিৎসার জন্য হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল চালু করা প্রয়োজন- চসিক মেয়র #

শুভ্রজিৎ বড়ুয়া :<

করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগে থেকে চট্টগ্রাম আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রস্থত রাখা হয়েছিল চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও বিআইটিআইডি হাসপাতাল। পাশাপাশি প্রস্থত রাখার কথা ছিল রেলওয়ে হাসপাতাল, বন্দর হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের হাসপাতালগুলো। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য দপ্তরের মাধ্যমে বিভাগীয় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবেলা কমিটি চট্টগ্রামের বেসরকারি ১২ টি হাসপাতাল প্রস্থত করে রাখার ঘোষণা দেয়।

তার পরিবর্তে বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাব মালিক সমিতি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালটি প্রস্থত করে দেয়। জনবল সংকটের কারণে হাসপাতাল চালু করা নিয়ে সরকারের সাথে দোটানা শুরু হয়। গত কয়েকদিন আক্রান্ত সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যস্ত জেনারেল হাসপাতাল ও বিআইটিআইডি হাসপাতালের আসন সংকট সৃষ্টি হয়। সে কারণে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকল করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি না করে বাসায় চিকিৎসা দেয়া শুরু করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবীরের কাছে। তিনি বলেন, হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালটি সম্পূর্ণভাবে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্রস্থত করা আছে। এটির জনবল সংকট নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছিল। এই সংকট নিরসনে আমরা স্বরাষ্ট্র সচিব মহোদয়কে আমাদের আবেদন জানিয়েছি। তিনি তা স্বাস্থ্য সচিব মহোদয়কে পাঠিয়েছেন। আবেদনটি গত সাতদিন আগে পাঠানো হয়েছে। আগামী সোমবারে এ বিষয়ে আমাদের আরেকটি সভা আছে।

বর্তমানে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও বিআইটিআইডি হাসপাতালে শয্যা সংকট সৃষ্টি  হয়েছে। পাশাপাশি এ সংকট দেখা দিচ্ছে ডা. বিদ্যুৎ বড়-য়ার ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তোলা চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালেও। এ সংকট নিরসনে অথবা নতুনভাবে আক্রান্ত হওয়া রোগীদের কোথায় রাখা হবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখন সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী অক্সিজেন সাপোর্টের প্রয়োজন না হলে আক্রান্তদের হসপিটালে ভর্তি করছি না। এরপরেও হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল চালু হওয়ার ব্যাপারে সরকারিভাবে নির্দেশনা না আসার আগে যদি সংকট হয় তাহলে আমরা চট্টগ্রামের ১২ টি হাসপাতাল পর্যায়ক্রমে অধিগ্রহণ করব। সেহেতু হাসপাতাল নিয়ে কোন প্রকার সংকট সৃষ্টি হবে না।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সুপ্রভাত বাংলাদেশের প্রতিবেদক কথা বলেন বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাব মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. লিয়াকাত আলী খান এর সাথে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য পরিচালক মহোদয়ের এ সিদ্ধান্তগুলো কোনোভাবে সঠিক ব্যবস্থাপনা নয়। আমরা বেসরকারি হাসপাতালগুলোর পড়্গ থেকে পরিত্যক্ত হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে সম্পূর্ণভাবে প্রস্থত করে দিয়েছি।

এটি চালু করতে যে বিলম্বটা হচ্ছে তা সম্পূর্ণভাবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। আর হাসপাতাল চালু না করে পর্যায়ক্রমে যে ১২ টি হাসপাতাল অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা বাস্তবায়নের কথা বলাটা কোনোভাবে ঠিক নয়।’

পারস্পরিক বিরোধ ও স্বার্থ রক্ষা সিদ্ধানেত্ম করোনা মোকাবেলা কতটুকু সমস্যার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমরা প্রথম থেকে স্বাস্থ্য পরিচালককে জানিয়েছি করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতালে প্রয়োজন। উনি ডেডিকেটেড হাসপাতাল প্রস্থত না করে শুধু আইসিইউ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

এখন আপনারাই চিন্তা করেন, কোন একটা হাসপাতালে আইসিইউতে যদি করোনা আক্রান্ত রোগী থাকে তাহলে অন্য রোগের অসুস্থরা সে হাসপাতালে কি যাবে? এটি খুব সাধারণ একটি বিষয়। আমরা প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে অন্যান্য রোগীদের সেবা দিচ্ছি। করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে অন্যান্য রোগীদের সেবা বন্ধ করে দেয়া কতটুকু যৌক্তিক?

এ সংকট নিরসনে কি করা প্রয়োজন জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে যদি সম্পূর্ণভাবে ডেডিকেটেড করে আমাদের কোন হাসপাতাল নেয়া  হয় তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

অর্ধেক নিবে বাকি অর্ধেক অন্যান্য রোগীদের জন্য রেখে দেয়ার মতো সিদ্ধান্ত  নিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

এছাড়া ডেডিকেটেডলি যেকোন প্রাইভেট হাসপাতাল নিলেও সরকারকে জনবল ব্যবস্থা করতে হবে। এখানে মূল সমস্যা হলো জনবল সংকট। সরকারিভাবে জনবল তৈরি করতে হবে। অন্যথায় শুধু হাসপাতালের ব্যবস্থা করে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে না।

ট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বির কাছে জানতে চাওয়া হয় করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা বিশেষায়িত হাসপাতালগুলো শয্যা শেষ হওয়ার পরে আক্রান্তদের কিভাবে চিকিৎসা প্রদান করবেন। তিনি বলেন, আমাদের কাছে ইতোমধ্যে ৭৬ জন ডাক্তার পাঠানো হয়েছে।

বর্তমানে আমরা সকল আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করাচ্ছি না। তাদের টেলিফোনের মাধ্যমে আমাদের চিকিৎসক টিম সেবা দিবেন। প্রয়োজন হলে হাসপাতালে তাদের নিয়ে আসা হবে। এছাড়া আমরা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের হাসপাতালগুলোকে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য পরবর্তী পর্যায়ে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী আছে। তাই আমরা পরবর্তীতে সিটি করপোরেশন হাসপাতালে আক্রান্তদের ভর্তি করাবো।

এছাড়া আমাদের হাতে রেলওয়ে হাসপাতাল ও বন্দর হাসপাতাল আছে। সেগুলোর জন্য আমাদের জনগণ প্রস্থত করতে হবে। এরমধ্যে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল জনবল চলে আসবে। তাই চিকিৎসা নিয়ে কোন প্রকার সংকট হবে না। সব কথার ঊর্ধ্বে, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের সকল সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তাই আমাদের মন্ত্রী মহোদয় ও ঊর্ধ্বতনদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হবে।

তবে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধীনে বিশেষায়িত হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল চালুর বিষয়ে কেন সময়  ক্ষেপণ করা হচ্ছে তা বোধগম্য হচ্ছে না বলে জানান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালে ১১টি আইসিইউ ও ৯টি এইচডিও সুবিধা রয়েছে।

এছাড়া ৮০টি সাধারণ বেড রয়েছে। শুধু জনবল সুবিধা দিয়ে এটি চালু করা। এতে করোনা রোগীরা একটি পৃথক হাসপাতাল পাবে, ফলে অন্যান্য রোগীরা করেনোর ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকবে। চট্টগ্রামের স্বার্থে দ্রুত এটি চালু করা প্রয়োজন।

সুস্থতার ছাড়পত্রে বাড়ি ফিরলেন আরো সাতজন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল থেকে সুস্থতার ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরলেন আরো সাতজন। এরমধ্যে জেনারেল হাসপাতাল থেকে পাঁচজন ও ফিল্ড হাসপাতাল থেকে দুজন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে তাদের ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে। ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ি ফেরা পাঁচ জনকে আগামী ১৪ দিন নিজ ঘরে আইসোলেশন থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট সুস্থতার সংখ্যা ১০১ জন।

ছাড়পত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন বিভাগের সমন্বয়ক ডা. আব্দুর রব। তিনি বলেন, আমরা পাঁচজন পজেটিভ কেসের রোগীকে ছাড়পত্র দিয়েছি। তাদের শারীরিক অবস্থা এখন ভালো। আমরা ক্লিনিক্যালি তাদের সুস্থ ঘোষণা দিয়েছি এবং তাদের আগামী ১৪ দিন হোম কোয়ারান্টিনে থাকার পরামর্শ দিয়েছি।

ছাড়পত্র পাওয়া নতুন পাঁচ জনের তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাড়পত্র পাওয়া চারজন চট্টগ্রাম সিটির বাসিন্দা। তারমধ্যে সাইফুল ইসলাম (২৮) ও মহিউদ্দিন (৩৮) দামপাড়া পুলিশ লাইনের বাসিন্দা। আর দুজন ১০ বছর বয়সী শিশু। একজনের নাম লামিয়া, হালিশহর এল বস্নকের বাসিন্দা এবং অন্যজন রাহিয়ান পাঁচলাইশের শুলকবহর এলাকার বাসিন্দা। অন্য একজন আব্দুল কাদের (৩৯) তিনি পিরোজপুরের বাসিন্দা।

সিভিল সার্জন সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামে আক্রানেত্মর সংখ্যা ৫৯৪। তারমধ্যে গতকাল সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন ৯৪ জন। এর পরবর্তীতে চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন দুইজন এবং চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন পাঁচজন। মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সংখ্যা ১০১। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩১ জন।

 

বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ পেল ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়

ফলোআপ: করোনা পরীক্ষায় দুই ল্যাবে দুই চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক :

করোনা পরীক্ষা পদ্ধতিতে কিছু সুপারিশ পেল চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়। করোনা পরীক্ষায় নগরীর দুই ল্যাবে দুই চিত্র দেখা দেয়ায়  তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছিল পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনার জন্য এবং কোনো ভুল  হচ্ছে কিনা দেখার জন্য। আর সেই আলোকে কমিটি ভেটেরিনারির ল্যাব পরিদর্শন করে এবং কিছু পরামর্শ দিয়ে যায়।

কি পরামর্শ দেয়া হলো জানতে চাইলে তিন সদস্যের কমিটির প্রধান ও ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ল্যাব প্রধান ডা. শাকিল আহমেদ বলেন, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনেক মেধাবী এবং তারা খুব পারদর্শী। খুবই আন্তরিতার সহিত তারা কাজ করছে। কিন’ এসব শিক্ষার্থী প্রফেশনাল নয়, তারা আগে কখনো এধরনের কাজ করেনি। তাই নমুনা থেকে পরীক্ষার ফলাফল তৈরি পর্যন্ত ধাপগুলো সাবধানতার সাথে অতিক্রম করতে বলা হয়েছে। একইসাথে যাতে একটি নমুনার সাথে আরেকটি নমুনার মিশ্রণ না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলেছি।

এবিষয়ে কথা হয় কমিটির অপর সদস্য এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের  সহকারী অধ্যাপক ডা.মোহাম্মদ আরিফুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন,‘ ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কেবিনেটে কাজ করে। আমরা বলেছি তাদের একটু স্পেস বাড়াতে। তবে এখনই তো স্পেস বাড়ানো সম্ভব নয়, তারপরও কিভাবে কাজগুলো করতে সহজ হবে সেই পদ্ধতি  দেখিয়ে দেয়া হয়েছে।’

তবে পরিদর্শন টিম পরিদর্শন করলেও কোনো নির্দেশনা এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানান ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা পরীক্ষা বিষয়ক প্রধান ও প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. জুনায়েদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, আমরা এখন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করছি। তাই এখন আর কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, বিশেষজ্ঞ কমিটির কোনো লিখিত পরামর্শ আমরা এখনো হাতে পাইনি।

এদিকে গত কয়েকদিন ধরে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পজিটিভ রিপোর্টের সংখ্যার হার কিছুটা কমে এসেছে। গত ১৪ মে তারিখে ১০০টি নমুনার মধ্যে ১৩টি পজিটিভ হয়েছে, ১৩ মে ৭১টি নমুনার মধ্যে ১৭টি পজিটিভ, ১২মে ৪৬টি নমুনার মধ্যে ২০টি পজিটিভ, ১১মে ৭০টি নমুনার মধ্যে ১৮টি পজিটিভ, ১০মে ৯৩টি নমুনার মধ্যে ২৬টি পজিটিভ, ৯মে ৯৭টি নমুনার মধ্যে ৫৩টি পজিটিভ , ৮মে ২৫টি নমুনার মধ্যে ৮টি পজিটিভ এবং ৭মে ৬১টি নমুনার মধ্যে ৪০টি পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিল। আর পজিটিভ নমুনা পাওয়ার হার তুলনামূলকভাবে বেশি পাওয়া যাওয়ায় গত ১০মে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার তিন সদস্যের একটি কমিটি করে তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার কথা বলে। অপরদিকে বিআইটিআইডি ল্যাবে করোনা পজিটিভের হার তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে।

 

চকরিয়ায় একদিনে ১৫ জনের করোনা শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :

কক্সবাজারের চকরিয়ায় একদিনে নতুন করে দুই শিশুসহ আরো ১৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫১ জনে।  শুক্রবার  সন্ধ্যার দিকে উপজেলার নতুন ১৫ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহবাজ।

এই পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলায় মোট ৫১ জন করোনা আক্রান্ত পাওয়া গেছে। তারমধ্যে ৯ জন সুস্থ হয়েছেন।

উপজেলা হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহবাজ বলেন, বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স থেকে বেশকিছু লোকের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছিল। শুক্রবার কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে প্রকাশিত রিপোর্টের মধ্যে দুই শিশুসহ নতুন ১৫ ব্যক্তির দেহে করোনা পজিটিভ আসে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বলেন, সামাজিক দূরত্ব না মেনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে যত্রতত্র ঘোরাঘুরি ও গণজামায়েত করার দায়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রাদুর্ভাবে দিন দিন আক্রান্ত রোগী সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।

 

নিম্নচাপে রূপ নিলো লঘুচাপটি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নিম্নচাপে রূপ নিলো সেই লঘুচাপ। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি গতকাল সকালে নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এর প্রভাবে গভীর বঙ্গোপসাগরে ঝড়ো হাওয়া বইছে এবং এটি ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দুই নম্বর বিশেষ বুলেটিনের তথ্যমতে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরো ঘনীভূত হচ্ছে। নিম্নচাপটি গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১৩৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা থেকে ১৩২৫ কিলোমিটার দড়্গিণে এবং পায়রা খেকে ১২৮৫ কিলোমিটার দড়্গিণে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে ঘনীভূত হচ্ছে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৪০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে বলে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে চলতি মাসের আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বঙ্গোপসাগরে এক বা একাধিক নিম্নচাপ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। এসব নিম্নচাপ থেকে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনাও বলা হয়েছে।  বছরের এসময়ে সাগরে নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়ে থাকে। এপ্রিল-মে ও সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম।

সহজে নমুনা দিতে পারবে নগরবাসী

আরো পাঁচ কেন্দ্র খোলার উদ্যোগ #

করোনার সামাজিক সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এখন আরা বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহ সম্ভব নয়: স্বাস্থ্য কর্মকর্তা #

ভূঁইয়া নজরুল :
করোনার লক্ষণ নিয়ে মারা যাওয়ার পর সংগ্রহ করা হচ্ছে নমুনা। আবার কোথাও দফায় দফায় ফোন করলেও কেউ নমুনা নিতে আসে না। কিংবা নমুনা দিতে গেলে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এধরনের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে নমুনা নিয়ে। এনিয়ে খোদ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি নমুনা দেয়ার পর রিপোর্ট পাওয়ার আগেই মারা গেছেন। তিনি যথাসময়ে নমুনাও দিতে পারেননি। অপরদিকে চট্টগ্রামের সংবাদকর্মী সাইফুল ইসলাম শিল্পী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তিন দিন পরও তার পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। পরবর্তীতে সংবাদকর্মীদের তদবিরে শুক্রবার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যদের।
নমুনা নিয়ে এই দুর্ভোগের কথা স্বীকার করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বীও। তিনি বলেন, লোকজনকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় নমুনা দিতে। অপরদিকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজনকে আসতে হয় নমুনা দিতে। এটা সত্যি কষ্টকর।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রব জানান, ‘আমাদের বহিঃবিভাগে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। তবে এজন্য অনেক মানুষের দীর্ঘ লাইন থাকে। এছাড়া আমাদের হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদেরও আমরা নমুনা সংগ্রহ করে থাকি।’
কিন্তু এই দুর্ভোগ তো আগে এতো ছিল না। হটলাইনে ফোন করলে ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি থেকে লোকজন এসে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যেতো। তাহলে এখন এই সমস্যা হচ্ছে কেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে বিআইটিআইডি ল্যাব প্রধান ডা. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘প্রথমদিকে লকডাউনে কড়াকড়ি ছিল সামাজিক সংক্রমণ ছিল না। তাই হটলাইনে ফোন করলে আমরা গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসতাম। কিন্তু এখন লকডাউন শিথিল, তাই আমরা লোকজনকে বলেছি ফ্লু কর্নারে গিয়ে নমুনা দিতে। সেই হিসেবে ফ্লু কর্নারে গিয়ে নমুনা দিতে গিয়ে দীর্ঘ লাইন হচ্ছে। আর এখন সামাজিক সংক্রমণ হয়ে যাওয়ায় রোগীর সংখ্যাও বেশি। এতে দুর্ভোগও বেশি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, বর্তমানে তিনটি (বিআইটিআইডি, চমেক ও জেনারেল হাসপাতাল) পয়েন্টে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এই নমুনা সংগ্রহের কেন্দ্র বাড়াতে হবে। তবেই মানুষের দুর্ভোগ কমবে।
ডা. শাকিল বলেন, ফ্লু কর্নারের ডাক্তার করোনার লক্ষণ পেলে নমুনা দেয়ার অনুমোদন দেবে। গড়ে সবাইকে তো নমুনা দিতে দেয়া হবে না।
নগরীতে নমুনা কেন্দ্র বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, ‘এজন্য আমরা সিটি কর্পোরেশনের সাথে কথা বলেছি। নগরীর চার প্রান্তে চারটি বুথ করার জন্য বলা হয়েছে। তারা হয়তো ব্র্যাকের সাথে সমন্বয়ে এসব বুথ চালু করতে পারে। ঢাকায়ও এভাবে বুথ চালু করা হয়েছে। তাহলে হয়তো দুর্ভোগ কমবে। সিটি কর্পোরেশনের চারটি বুথের সাথে আমাদের তিনটি বুথ থাকলে সাতটি পয়েন্টে নমুনা সংগ্রহ করা যাবে।
সিভিল সার্জনের এই বক্তব্যের বিষয়ে কথা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সাথে। তিনি চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসার জন্য যে দুটি হাসপাতাল রয়েছে সেগুলো রোগীতে প্রায় পরিপূর্ণ। অপরদিকে ফিল্ড হাসপাতালেও রোগী রয়েছে। এই অবস্থায় নমুনা দিতে ভোগান্তি থাকলে রোগীরা তো ঘরেই মারা যাবে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মারা যাওয়ার পর শনাক্ত হয়েছেন তিনি করোনায় ছিলেন। তিনি যদি আরো আগে নমুনা দিতে পারতেন এবং রিপোর্ট পেতেন তাহলে হয়তো চিকিৎসা নিতে পারতেন। একইভাবে চট্টগ্রাম মেডিক্যোলেও অনেক রোগী মারা যাওয়ার পর তাদের করোনা শনাক্ত হচ্ছেন। এ সমস্যা সমাধানে আমরা নগরীতে ব্র্যাকের সহায়তায় নমুনা কেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছি।
তিনি বলেন, ‘আমরা নগরীর চার প্রান্তের চারটি এবং শহরের মাঝখানে একটি- এই পাঁচটি বুথের চিন্তা করছি। সাথে বিদ্যমান তিনটি চালু থাকলে হয়তো নমুনা দুর্ভোগ থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাবে নগরবাসী।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষায় বিআইটিআইডির পাশাপাশি রয়েছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাব। এই তিনটি ল্যাব এখন প্রতিদিন গড়ে ৪০০ এর বেশি নমুনা পরীক্ষা করতে পারছে। অপরদিকে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার নমুনা যাচ্ছে কক্সবাজারে। তাই চট্টগ্রামে এখন আর নমুনা দিয়ে চার থেকে পাঁচ দিন অপেক্ষায় থাকতে হয় না। বর্তমানে সময়ের ব্যবধান কমে আসছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে এপর্যন্ত ৫৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩১ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৯৩ জন।

কর্মহীন মাইক্রো চালকদের খাদ্যসামগ্রী দিলেন মোছলেম উদ্দিন

কর্মহীন মাইক্রোচালকদের খাদ্যসামগ্রী প্রদান করছেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি

বহদ্দারহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্মুখ সড়কে করোনা দুর্যোগে কর্মহীন মাইক্রোবাস চালকদের মাঝে গত ১৪ মে সাংসদ ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
এ সময় তিনি করোনা ভাইরাস দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তিনি কৃষি ব্যবস্থা জোরদার করে দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ কার্যকর করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইছা প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি

এ মুহূর্তের সংবাদ

চমেক হাসপাতাল : হৃদরোগ চিকিৎসায় অবহেলা নয়

চট্টগ্রামে কাভার্ডভ্যানে অবৈধভাবে গ্যাস পরিবহনের সময় লিক

সাবেক এমপি নদভীর পিএস গ্রেপ্তার

সাবেক চেয়ারম্যানকে ধরে পুলিশে দিল বৈষম্যবিরোধীরা

বেঁচে যাওয়া টাকা ফেরত পাবেন ৪৯৭৮ হাজি

শিক্ষক নিয়োগে পুলিশ ভেরিফিকেশন পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন

সর্বশেষ

চমেক হাসপাতাল : হৃদরোগ চিকিৎসায় অবহেলা নয়

চট্টগ্রামে কাভার্ডভ্যানে অবৈধভাবে গ্যাস পরিবহনের সময় লিক

সাবেক এমপি নদভীর পিএস গ্রেপ্তার

সাবেক চেয়ারম্যানকে ধরে পুলিশে দিল বৈষম্যবিরোধীরা

বেঁচে যাওয়া টাকা ফেরত পাবেন ৪৯৭৮ হাজি

শিক্ষক নিয়োগে পুলিশ ভেরিফিকেশন পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন