৪ ডিসেম্বর যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়

যৌথ প্রতিনিধি সভায় নেতাকর্মীদের ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক »

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা গ্রহণের ১০ বছর পর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড ময়দানে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ও স্থানীয় ইস্যু সম্পর্কে মুক্ত কণ্ঠে কথা বলবেন। তাই এই জনসভাকে সফল করে তোলার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এজন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। আমরা চাই পলোগ্রাউন্ডের জনসভা যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়।’

বুধবার সকালে নগরীর ইন্টারন্যাশনাল হলে (আইসিসি) আয়োজিত চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে যৌথ প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে সারাদেশে অরাজকতা সৃষ্টির যে পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে আমাদের মাঠে থাকতে হবে। এটাও মনে করি বর্তমানে কোভিড-১৯ পরবর্তী সময় এবং রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যে বৈশ্বিক অর্থনীতির মন্দা ও সংকট তৈরি হয়েছে তা মোকাবেলা করার জন্য প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের সমান দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের প্রত্যেককে দেশপ্রেমে প্রাণিত হয়ে রাজনীতি করতে হবে এবং সমাজকে ভালবাসতে হবে। এটাও সত্যি কথা যে, একটি অসৎ উদ্দেশ্যে দেশে অরাজকতা ও নাশকতার মাধ্যমে দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র অবশ্যই মোকাবেলা করতে হবে।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, চট্টগ্রামবাসী মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি। এই শক্তির প্রতি জাতির যে আস্থা ও ভরসা রয়েছে তা যেন ভুল প্রমাণিত না হয়। ষড়যন্ত্র এবং অপঘাত মোকাবেলায় চট্টগ্রামের মাটি বারবার প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেছে। এখন প্রয়োজন মানুষের ভালবাসাকে অর্জন করে রাজপথে থেকে অপশক্তিকে প্রতিহত করা। নেত্রীর সেই সমাবেশ যাতে জনসমুদ্রে রূপান্তর হয় চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের সকলস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আজ থেকে প্রত্যেক পাড়ায় মহল্লায় নেতাকর্মীদের মাঝে জাগরণ তুলতে হবে। সকলের মাঝে একটিই আওয়াজ তুলতে হবে, চলো চলো পলোগ্রাউন্ডে চলো, শেখ হাসিনার সমাবেশ সফল কর।’

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা প্রতিদিন যেভাবে ফেসবুকে নিজ দলের নেতাদের বিরুদ্ধে পোস্ট করে সেখানে বিএনপি-জামায়াত আর লাগে না। নিজেদের বদনামের জন্য নিজেরাই যথেষ্ট। এসব না করে যদি প্রতিদিন একটি করে সরকারের উন্নয়নের পোস্ট দেই তাহলেই জনগণের কাছে সরকারের উন্নয়ন চিত্র ফুটে উঠবে। আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের এ আহ্বান রাখব। আসুন আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করি।’

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘৪ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর চট্টলায় আসবেন। এই উপলক্ষে আজকের এই প্রস্তুতি সভা। এখানে কিছু কথা না বললেই নয়। বৈশ্বিক সংকটকে পুঁজি বিএনপি-জামায়াত টেনে হিঁচড়ে নেত্রীকে নামিয়ে ফেলবে বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। তাই ৪ ডিসেম্বর আমাদের সভা হচ্ছে এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে লালকার্ড।’

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় আয়োজিত এ যৌথ প্রতিনিধি সভায় নগরীসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতারা অংশগ্রহণ করেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দীন আহমেদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা, সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল প্রমুখ।