১০৩ রানেই শেষ তামিমরা

রুবেল-সুমনের দুর্দান্ত বোলিং

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ থাকল ১০৪ মিনিট। প্রথম ইনিংস তবু শেষ নির্ধারিত সময় সোয়া ৫ টাতেই। তামিম একাদশ গুটিয়ে গেল যে ২৩.১ ওভারেই! নতুন বলে আগুন ঝরালেন রুবেল হোসেন। পরে উইকেট শিকারে যোগ দিলেন আরেক পেসার সুমন খান এবং দুই স্পিনারও।
মাহমুদউল্লাহ একাদশের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সঙ্গে নিজেদের বাজে শটের মহড়া মিলিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল তামিম একাদশের ব্যাটিং। খবর বিডিনিউজের।
প্রেসিডেন্ট’স কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে গতকাল মঙ্গলবার তামিম একাদশকে ১০৩ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে মাহমুদউল্লাহ একাদশ। প্রথম স্পেলে ৩ উইকেট নেওয়ার পর আর বোলিং পাননি রুবেল। তরুণ পেসার সুমনও নিয়েছেন ৩ উইকেট।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এদিন উইকেটে বাউন্স ছিল বেশ। কিছু বল আবার নিচুও হয়েছে। বৃষ্টিতে লম্বা সময় খেলা বন্ধ থাকার পর ম্যাচ নেমে আসে ৪৭ ওভারে। আকাশ ছিল মেঘলা। গতি ও আগ্রাসন মিলিয়ে নতুন বলে রুবেল ছিলেন দুর্দান্ত।
তবে স্কোরকার্ড যেমন দেখাচ্ছে, এতটা বাজে নয় উইকেট, রুবেল ছাড়া অন্যদের বোলিংও ছিল না এত ভয়ঙ্কর। তামিমদের ব্যাটিং ব্যর্থতার দায়ই বেশি।
উইকেট পতনের শুরু অধিনায়ক তামিমকে দিয়ে। দুই তামিমের আলোচিত জুটি টিকেছে মোটে ৯ বল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রুবেলের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হন তামিম ইকবাল।
বৃষ্টি বিরতির পর তানজিদ হাসান তামিম খেলছিলেন দুর্দান্ত। প্রতিভার জানান দেওয়া চমৎকার কয়েকটি শট খেলেছেন ১৯ বছর বয়সী বাঁহাতি ওপেনার। তবে তার ১৭ বলে ২৭ রানের ইনিংস শেষ হয়েছে আলগা শটে। রুবেলের লেগ স্টাম্পে থাকা বল তুলে দিয়েছেন মিড উইকেটের হাতে।
নতুন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুনের আউট ছিল আরও দৃষ্টিকটু। রুবেলের ওই ওভারেই লেগ স্টাম্পের বাইরের বল মিঠুনের ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ যায় শর্ট কাভারে।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে পড়েছে উইকেট। তিনে নামা এনামুল হক শুরুতে টাইমিং পেতে ভুগছিলেন।
সুমন আক্রমণে আসার পর কিছু শট খেলে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু সুমনের বলেই আপার কাট করে ধরা পড়েছেন তিনি থার্ড ম্যানে।
সুমন এর আগেই ফিরিয়েছেন শাহাদাত হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেনকে। দুজনই আউট হয়েছেন বাড়তি লাফানো বলে, তবে বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে দায়ও ছিল তাদেরই।
লোয়ার-মিডল অর্ডারে মেহেদি হাসান ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু অল্পতেই শেষ হয়েছে দুজনের চেষ্টা।
বাবা হওয়ার পর খুব একটা অনুশীলন না করেই খেলতে নেমে মিতব্যয়ী বোলিংয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ নিয়েছেন ২ উইকেট। লেগ স্পিনার বিপ্লব খুব ভালো বোলিং না করলেও ৩ ওভারে পেয়ে গেছেন ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
তামিম একাদশ: ২৩.১ ওভারে ১০৩ (তামিম ২, তানজিদ ২৭, এনামুল ২৫, মিঠুন ০, শাহাদাত ১, মোসাদ্দেক ৫, সাইফ উদ্দিন ১২, মেহেদি ১৯, তাইজুল ১, শরিফুল ৪, মুস্তাফিজ ০; ইবাদত ৬-০-৩৬-০, রুবেল ৫-০-১৬-৩, সুমন ৫-০-৩১-৩, মিরাজ ৪.১-২-২-২, আমিনুল ৩-০-১৭-২)।