স্বার্থান্বেষী মহল গৃহকর নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে : মেয়র

৪১ ওয়ার্ড কার্যালয়ে আপিল বোর্ডের কার্যক্রম নিষ্পত্তি হবে

‘নগরবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তাই নগবাসীর কাছে দায়বদ্ধতা রয়েছে। কোন বিষয় নিয়ে নাগরিকদের সাথে দূরত্ব কাম্য হতে পারেনা। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল গৃহকর নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।২০১৭-২০১৮ সালে গৃহকর মূল্যায়নে ব্যাপক অসঙ্গতি হয়েছে। সেই অসঙ্গতি আপিলের মাধ্যমে সংশোধন করা যাবে। ইতোমধ্যে অনেক নাগরিক আপিল করেছেন তাদের কর সহনীয় পর্যায়ে ধার্য করা হয়েছে এবং তারাও সন্তুষ্ট হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বলতে হচ্ছে কিছু লোক হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সিটি করপোরেশন ও নাগরিকদের মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছেন।’

সোমবার সকালে নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে সিটি করপোরেশনের ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের কাউন্সিলরদের সাথে গৃহকর বিষয়ে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কাপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী একথা বলেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। আরো বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম, মো. মোবারক আলী, ড. নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, মো. শহিদুল আলম, অধ্যাপক মো. ইসমাইল, নাজমুল হক ডিউক, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, সলিমুল্লাহ বাচ্চু, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, মো. ইলিয়াছ, শৈবাল দাশ সুমন, সচিব খালেদ মাহমুদ।

আরও উপস্থিত ছিলেন হাজী নুরুল হক, ছালেহ আহমদ চৌধুরী, আবদুল বারেক, আবদুল মান্নান, জহর লাল হাজারী, কাজী নুরুল আমিন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, পুলক খাস্তগীর, আবদুস সালাম মাসুম, আশরাফুল আলম, আতাউল্লাহ চৌধুরী, মোর্শেদ আলী, মো. এসরারুল হক, মো. শফিকুল ইসলাম, নুর মোস্তফা টিনু, সংরক্ষিত কাউন্সিলর লুৎফুন নেছা দোভাস বেবী, স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমর প্রমুখ।

মেয়র আরো বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধি হলেও সরকারের আইন মেনেই আমাদের চলতে হয়। আইনের বাইরে যাওয়ার পথ রুদ্ধ। আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে ঘর ভাড়ার ওপর কর নির্ধারণ করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আয়তনের ওপর গৃহকর নির্ধারণ করার আইনগত ভিত্তি নেই। কর আদায়কারীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো আমলে নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই চাকুরিচ্যুতিসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, ৬টি কর অঞ্চলে পাশাপাশি এখন থেকে ৪১টি ওয়ার্ড কার্যালয়ে কাউন্সিলরদের উপস্থতিতে আপিল বোর্ডের কার্যক্রম নিষ্পত্তি করা হবে। ওয়ার্ড কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কার্যক্রম শুরুর দুই দিন পূর্বে এলাকায় মাইকিং ও পেপারে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সকলকে অবহিত করা হবে। নাগরিকগণ নিজ ওয়ার্ডে উপস্থিত হয়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন এবং কাউন্সিলরগণ তাদের বক্তব্য শুনে অসঙ্গতি দূর করে যুক্তিসংগত ও সহনীয় পর্যায়ে কর ধার্যের সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন। তিনি গৃহকর নিয়ে নগরবাসীর সাথে সিটি করপোরেশনের ভুল বুঝাবুঝির অবসান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিজ্ঞপ্তি