সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে টেকনাফ দমদমিয়া জাহাজ ঘাঁট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ এম ভি পারিজাত ও এম ভি রাজহংস ৬১০ জন পর্যটক যাত্রা দিয়েছে। এরপর থেকে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, কেয়ারি সিন্দাবাদসহ সর্বমোট ৭টি জাহাজ চলার কথা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান জানান, শুক্রবার সকালে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করতে জাহাজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত বিষয়টি তদারকি করবে।

এই বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এডিএম আবু সুফিয়ান জানান, শুক্রবার সকাল থেকে প্রথম দিনে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী দুটি জাহাজ চলাচল করবে। পর্যায়ক্রমে আবেদনকারী অন্যান্য জাহাজগুলোও চলবে।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচলকারী জাহাজমালিকদের সংগঠন সি-ক্রুজ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সভাপতি তোফায়েল আহমদ বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র পেয়েছি, শুক্রবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে আমাদের দুটি জাহাজ চলাচল শুরু করবে। শনিবার থেকে সাতটি জাহাজ চলবে।’

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘দ্বীপের পর্যটক ব্যবসায়ীরা পর্যটক না আসাতে এমনিতে লোকসানে রয়েছেন। পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরুর খবরে দ্বীপের সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা খুশি। আমরাও পর্যটকদের প্রবাল দ্বীপে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।’

এদিকে এই নৌপথে ১৬ বছর ধরে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নাফ নদীর বিভিন্ন জায়গায় বালুচর জেগে উঠার কারণে ১ নভেম্বর থেকে পর্যটক মৌসুমেও টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। দ্বীপবাসীর দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে ফের জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।