সুপ্রভাতের প্রতিবেদনে নগরবাসীর স্বস্তি

default

নিজস্ব প্রতিবেদক »

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাবেক প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি শাহীনুল ইসলাম খান সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করেছেন, ‘ইদানিং এত আনন্দের কথা আর শোনা হয় না। চারদিকে হতাশা আর হারানোর গল্প। সিআরবি’কে হারাতে হচ্ছে না- এটা আমার মনকে যে কী পরিমাণ আনন্দ দিয়েছে বলে বোঝাতে পারব না।’ এ একটি মন্তব্য থেকে বোঝা যায় সিআরবিতে হাসপাতাল হচ্ছে না জেনে মানুষ কেমন স্বস্তি পেয়েছে। ‘রক্ষা পাচ্ছে সিআরবি’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি গতকাল সুপ্রভাত বাংলাদেশে প্রকাশিত হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়। একইসাথে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নিজেদের স্বস্তির অভিব্যক্তি প্রকাশ করে।
সিআরবি রক্ষা পাচ্ছে এই আনন্দ গতকাল দিনভর বইছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তবে কেউ কেউ আবার সরে আসার শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন। দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে আবারো সিআরবিতেই হাসপাতাল গড়ে তোলা হয় কিনা। তবে এই শঙ্কা নেই বলে জানান সিআরবি রক্ষা আন্দোলন কমিটির সভাপতি ড. অনুপম সেন। তিনি বলেন,‘ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই সংসদীয় কমিটি বিকল্প নাম প্রস্তাবনায় রেখেছে। আর প্রধানমন্ত্রী তা অনুমোদন দেবেন।’

ড. অনুপম সেন আরো বলেন,‘ সিআরবিতে হাজারো রকমের গাছ গাছালি রয়েছে। চট্টগ্রামে এমন অনেক স্থান ছিল। কিন্তু অপরিকল্পিত নগরায়নে তা হারিয়ে গেছে। আমরা সিআরবিকে হারাতে চাই না। আর পরিবেশ রক্ষায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও সিআরবির গুরুত্ব অনুধাবন করার পর তা রক্ষা করেছেন।’
এদিকে সিআরবি রক্ষা পাচ্ছে এই সংবাদ জানার পর বিভিন্ন স্তরের মানুষ ফেসবুকে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য, সিআরবিতে একটি হাসপাতাল করার জন্য ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষকে জায়গা বরাদ্দ দেয় রেলওয়ে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। মাঠ পর্যায়ে তারা কাজও শুরু করেছিল। কিন্তু চট্টগ্রামের রাজনীতিক নেতৃবৃন্দ, পরিবেশবাদী সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ সিআরবি রক্ষায় আন্দোলন শুরু করে। সিআরবিতে প্রতিদিন বিকেলে অবস্থান কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনে রূপ নেয়। গত মঙ্গলবার সংসদ ভবনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় সিআরবির পরিবর্তে কুমিরায় রেলওয়ের ১৩ একর জায়গায় হাসপাতাল করার জন্য বিকল্প স্থান প্রস্তাবনা করা হয়। এই প্রস্তাবনা যাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে, প্রধানমন্ত্রী তা অনুমোদন দিলে রক্ষা পাবে সিআরবি।