সিনেমার সবাইকে ‘নেতৃত্ব’ দেবেন নায়ক আলমগীর

সুপ্রভাত ডেস্ক »

চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)-তে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯টি সংগঠন আছে। এই সংগঠনগুলোকে একসঙ্গে বলা যায় ‘চলচ্চিত্র পরিবার’। আগে এই পরিবারে ১৮টি সংগঠন ছিল। কিছুদিন আগে ১৯তম সংগঠন হিসেবে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি যুক্ত হয়।

এই চলচ্চিত্র পরিবারের নেতৃত্বের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে জেষ্ঠ্য অভিনেতা আলমগীরের কাঁধে। সম্প্রতি গঠিত আহ্বাক কমিটিতে প্রধান আহবায়ক হিসেবে তাকে বেছে নেওয়া হয়। বুধবার (৯ মার্চ) চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির কার্যালয়ে সব সংগঠনের নেতাদের অনুমতিক্রমে এই আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

নেতৃত্ব প্রসঙ্গে আলমগীর বলেন, চলচ্চিত্রের অবস্থা ভালো না। দ্রুত আমাদের এই পরিস্থিতি থেকে উঠে আসতে হবে। সব সংগঠনকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকলে কাজের কাজ কিছু হবে না। সব সংগঠনকে নিয়ে একসঙ্গে পথ চলতে চাই। দায়িত্ব পেয়েছি, সেই দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে চাই।

কমিটির যুগ্ম আহবায়ক হয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র গ্রাহক সংস্থার সভাপতি আব্দুল লতিফ বাচ্চু, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক খোরশেদ আলম খসরু, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ।

সোহানুর রহমান সোহান বলেন, আমাদের সিনিয়র শিল্পী নেই তেমন। আলমগীর সাহেব আমাদের অভিভাবক। তিনি পথ দেখাবেন। তার নেতৃত্বে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায় চলচ্চিত্র পরিবার। সংগঠনগুলোকে এক ছাদের নিয়ে আসার বিকল্প ছিল না।

এতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চলচ্চিত্র গ্রাহক সংস্থার মহাসচিব আসাদুজ্জামান মজনু এবং চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির অর্থসচিব মো. সালাহউদ্দিন, সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করবেন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক মো. সামসুল আলম, চলচ্চিত্র পরিচালক বদিউল আলম খোকন।

উপদেষ্টা হিসেবে চলচ্চিত্র পরিবারের সঙ্গে আছেন চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, চলচ্চিত্র পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, শাহ আলম কিরণ ও মুশফিকুর রহমান গুলজার। এছাড়া এই সমন্বিত জোটের কার্যনির্বাহী সদস্য পদে থাকছেন থাকছেন বিভিন্ন সংগঠনের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি।

আহবায়ক কমিটি জানিয়েছে, শিগগিরই মিটিংয়ে বসবেন তারা। সেখানে দেশের সিনেমা হল পরিস্থিতি, সিনেমার নানারকম সংকট সমাধানে আলোচনা করবেন। সেই মোতাবেক আগামীর কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হবে।

চলচ্চিত্র পরিবারের জন্ম ২০১৭ সালে। তখন যৌথ প্রযোজনা ও বিদেশি সিনেমা আমদানিতে অনিয়মের প্রতিবাদের প্রেক্ষাপটে পথচলা শুরু করে এই পরিবার। তখন এটির নেতৃত্বে ছিলেন চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক।