সিডিএ প্রকল্প কাজের অগ্রগতি জানালেন চেয়ারম্যান

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেন সিডিএ কার্যালয়ে- সুপ্রভাত

দেড় বছর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দায়িত্ব গ্রহণের দেড় বছর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ। তিনি গত বছরের ২৫ এপ্রিল থেকে দুই বছরের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান। দায়িত্ব গ্রহণের ১৮ মাসেও তিনি মিডিয়ার সঙ্গে কোনো মতবিনিময় সভা করেননি।
গতকাল শনিবার দুপুরে সম্মেলনকক্ষে সিডিএ’র চলমান প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি বিষয়ে সংবাদকর্মীদের কাছে উপস্থাপন করেন ।
এসময় জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর সিডিএ’র চলমান প্রকল্পগুলোকে সামনের দিকে নিয়েছি। দেশের চলমান কোভিড পরিস্থিতির কারণে প্রকল্পগুলোতে সরকারি অর্থায়ন কমে গেলেও সিডিএ’র প্রকল্পগুলো এগিয়ে চলছে। এরমধ্যে আউটার রিং রোডের ৯২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চাক্তাই থেকে কালুরঘাট রোডে ২৫ শতাংশ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ৩৮ শতাংশ, জলাবদ্ধতা প্রকল্পে ৫০ শতাংশ, ডিটি-বায়েজিদ সংযোগ সড়কে ৮১ শতাংশ, বাকলিয়া এক্সেস রোডে ৮৩ শতাংশ, সল্টগোলা এলাকায় বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পে ৯৭ শতাংশ, সিডিএ স্কয়ার প্রকল্পে ৪৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। অনন্যা আবাসিক এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণের কাজ এগিয়ে চলছে।
মিডিয়ার সাথে কথা বলা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে অফিস আদেশ প্রসঙ্গে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, যাতে তথ্যের মধ্যে কোনো অমিল না থাকে সেজন্য একটি প্রান্ত থেকে তথ্য পাওয়া নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন থেকে প্রকৌশল বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী, সংস্থাপন বিষয়ে সচিব এবং অথরাইজড বিষয়ে চিফ টাউন প্ল্যানার কথা বলবেন।
তিনি আরও বলেন, সিডিএতে নতুন করে চারজন বোর্ড সদস্য এবং আরো চারজন অথরাইজড অফিসার নিয়োগ দেয়া হবে।
নতুন মাস্টারপ্ল্যান তৈরির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা আরও একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের জন্য কাজ করছি। এই প্ল্যানটি তৈরি করতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলা হবে।
এদিকে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবু হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম বলেন, আমরা প্রকল্পের আওতায় কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে এবং নগরবাসী দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবে। ইতিমধ্যে খালের উভয়পাড়ে উচ্ছেদ অভিযান হয়েছে এবং আরো কিছু স্থাপনা উচ্ছেদে কাজ করা হবে।
অপরদিকে রেগুলেটরগুলো বসানোর কাজ শেষ হলে জোয়ারের পানির কারণে জলাবদ্ধতা দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহীনুল ইসলাম খান, ভারপ্রাপ্ত সচিব সাইফুল আলম এবং সিডিএ’র বোর্ড সদস্যগণ।