সাতকানিয়ায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মানববন্ধন

রাজাকার কমান্ডারের নাতি স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি

নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতকানিয়া »

সাতকানিয়া উপজেলার রাজাকার কমান্ডার আবদুল মোনাফ কোম্পানীর নাতী উত্তর সাতকানিয়া সাংগঠনিক থানা শাখার স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি এরফানুর রহমান সুমন এর বিরুদ্ধে সাতকানিয়ার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে গতকাল ১৯ জুলাই দুপুরে উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নের রাজমহল কমিউনিটি সেন্টারের সামনে চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কের উপর মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এরফানুর রহমান সুমনকে উত্তর সাতকানিয়া সাংগঠনিক থানা শাখার স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি করার প্রতিবাদে ও অনতিবিলম্বে পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগকে রাজাকার ও হাইব্রিডমুক্ত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা শেখ হাসিনার প্রতি আজকের মানববন্ধন থেকে আকুল আবেদন জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল কাদের হত্যার আসামী, অ্যাডভোকেট আহমদ হোসেন মোক্তার, দৌয়াড়ি বৈদ্য ও যুব রক্ষিত হত্যার আসামী রাজাকার কমান্ডার আবদুল মোনাফ কোম্পানির নাতি হলেন এরফানুর রহমান সুমন। এ কুখ্যাতি পরিচয় গোপন রেখে তিনি বিশাল অংকের লেনদেনের মাধ্যমে উত্তর সাতকানিয়া সাংগঠনিক থানা শাখার স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি হয়েছেন।
শুধু তাই নয়, সুমনের দাদা কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডার আবদুল মোনাফ কোম্পানী ১৯৭১ সালে উপজেলার কাটগড় বিওসি মোড় এলাকা যখন হানাদারমুক্ত হয় তখন মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করলে এ রাজাকার কমান্ডার মোনাফ কোম্পানি মুক্তিযোদ্ধাদের হামলা করে পতাকা পুড়িয়ে দেন। মোনাফ কোম্পানি এলাকায় স্থাপন করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধা টর্চার সেল। গত ইউপি নির্বাচনে এলডিপি প্রার্থী ভুট্টোর প্রস্তাবকারী রাজাকার পুত্র সুমনের চাচা মাহফুজুর রহমান। কালিয়াইশ ইউনিয়ন বিএনপির উপদেষ্টা ও পৃষ্ঠপোষক হলেন বর্তমান হাইব্রীড স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি এরফানুর রহমান সুমনের পিতা মোস্তাফিজুর রহমান।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বক্তা বলেন, রাজাকার বংশধর, নারী ধর্ষণকারী, ইয়াবা সেবনকারী সুমনকে কিভাবে, কি কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করে মুজিব আদর্শের সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি করা হল। মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান রাশেদ হোসাইন রুবেল, আবুল হোসেন কালিয়াইশী, আবদুল গফুর মুক্তা, এরফান উদ্দিন তালুকদার, সামশুল ইসলাম, মীর আহমদ ও হাবিব চৌধুরী।