সাকিব বোলিংটা ভালো না করলে বাদই পড়ে যেতেন!

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক

‘সাকিব যদি ভালো বোলার না হতো, তাহলে সাফল্য পাওয়ার আগেই ব্যাটার হিসেবে বাদ পড়ে যেতো’- গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এমন উক্তি-ই করেছেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ হয়ে আসা অস্ট্রেলিয়ান কোচ জেমি সিডন্স। খবর বাংলাট্রিবিউন’র।
সিডন্স এক যুগ আগে চার বছরের জন্য কোচ হয়েছিলেন। তার অধীনে কাজ করা চার ক্রিকেটার আছেন বর্তমান দলে। সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা এক যুগ আগে সিডন্সের তত্ত্বাবধানেই তৈরি হয়েছিলেন। এখন তারা অভিজ্ঞ এবং পরিণত। তবে অস্ট্রেলিয়ান এই কোচ এত সহজে তাদের গড়ে তুলতে পারেননি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা, ধারাবাহিকভাবে সেরা পারফরম্যান্সের অভাব! সেটি প্রকট আকার ছিল ওই সময়টাতেই। সাকিব,তামিম,মুশফিকরা কেউই ধারাবাহিক ভাবে পারফরম্যান্স করতে পারছিলেন না। তবু তাদের ওপরই আস্থা রেখেছিলেন তখনকার এই হেড কোচ। বর্তমানে ব্যাটিং কোচ হয়ে আসা এই কোচ শনিবার জানালেন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। সাকিব নাকি বোলিংটা ভালো করতে না পারলে বাদই পড়ে যেতেন। এক প্রশ্নের জবাবে সিডন্স বলেছেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে তামিম, সাকিব, মুশফিক, রিয়াদ সবাই তাদের শুরুতে ধারাবাহিক ছিল না। আমরা তাদের ক্যারিয়ারের যেকোনও পর্যায়ে বাদ দিয়ে দিতে পারতাম। সাকিব যদি ভালো বোলার না হতো, তাহলে সে সাফল্য পাওয়ার আগে ব্যাটার হিসেবে বাদ পড়ে যেত। তবে সে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছে। কারণ, ব্যাটার হিসেবে তার সামর্থ্য ছিল।’
দ্বিতীয় দফায় সিনিয়রদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে সিডন্স বলেছেন, ‘সিনিয়রদের সঙ্গে আমার কাজটা মূলত ফুটওয়ার্ক নিয়ে। তামিম তার সামনের পা আরও সোজা করতে চায়। এসব বিষয় খুব শিগগিরই হয় না। তবে আমরা দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করছি।’
আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে তামিমের রান ৩৬.৬০ গড়ে ৭ হাজার ৬৮৬। কিন্তু অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাওয়ার পর তার ব্যাট সেভাবে হাসছে না। ১৭ ম্যাচে ২৯.৭০ গড়ে রান এসেছে ৫০৫। সিডন্স মনে করেন, ফুটওয়ার্কের কাজটা ঠিকঠাক মতো করতে পারলে তামিমের কাছ থেকে আরও অনেক কিছু পাওয়ার আছে, ‘সে (তামিম) যদি আরও ৩-৪ বছর খেলতে চায়, তার সামনের পা আরেকটু সোজা করতে হবে। তাহলে সে আরও সাফল্য পাবে। তামিম যদি লেগবিফোর উইকেট না হয়, তাকে আউট করা খুবই কঠিন। সে আরও অনেক রান করতে পারবে। আমি দেখতে পাচ্ছি, তামিমের সেরা ক্রিকেট এখনও সামনে পড়ে আছে।’
তামিম-সাকিবদের নিয়ে সিডন্সের অনেক কষ্ট করতে হলেও তরুণদের নিয়ে অতটা কষ্ট করতে হবে না বলে মনে করেন সিডন্স। তার মতে সাকিব-তামিম-মুশফিকরা যেভাবে সুযোগ পেয়েছেন, তরুণদের বেলাতেও সেই সুযোগটা দিতে চান, ‘আমাদের এখন কিছু প্রতিভাবান সুপারস্টার রয়েছে। আফিফ, মিরাজ ও লিটন। তারা কোয়ালিটি, ক্ল্যাসি এবং মাথা ঠা-া রাখতে পারে এমন ক্রিকেটার। যে প্রতিভা দেখছি, তাতে আমার ওপর থেকে চাপ অনেকটাই কমে গেছে। বড় ম্যাচে পারফর্ম করার মতো যোগ্যতা এদের আছে। তাদের ওপর বাড়তি চাপ না দিয়ে যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া উচিত। আমার কোনও সন্দেহ নেই তারা নতুন সাকিব-তামিম হবে।’