সড়কে প্রাণ গেল বাবা-ছেলের

ছিটকে পড়া কনটেইনারের নিচে চাপা পড়লো রিকশা

সুপ্রভাত ডেস্ক »

চট্টগ্রাম নগরীতে চলন্ত লরি থেকে কনটেইনার ছিটকে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, কনটেইনারটি ছিটকে সড়কে একটি রিকশার ওপর পড়ে। এতে নিহত হয়েছেন রিকশার যাত্রী বাবা ও ছেলে।

বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে নগরীর ইপিজেড থানার স্টিলমিল বাজারের খালপাড় রোডের সামনে মূল সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন- মো. ইউনুছ মাঝি (৫৯) ও তার ছেলে আব্দুর রহিম (৩০)। তাদের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। নিহত ইউনুছ মাঝি খাদ্য বিভাগের অধীন চট্টগ্রামের সাইলো অপারেটিং জেটিতে কর্মরত ছিলেন।
কনটেইনার চাপা পড়ে রিকশা চালক মোরশেদ আলম (২৭) গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নগর পুলিশের বন্দর জোনের উপ কমিশনার শাকিলা সোলতানা জানান, পণ্যবোঝাই কনটেইনার নিয়ে একটি লরি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে নগরীর পতেঙ্গা থানার কাটগড় এলাকায় এসএপিএল কনটেইনার ডিপোতে যাচ্ছিল। লরি চালাচ্ছিলেন সাজ্জাদ হোসেন। দ্রুতগতিতে লরিটি এগিয়ে যাবার সময় স্টিলমিল বাজারের খালপাড় রোডের সামনে মূল সড়কে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচে একটি কনটেইনার ছিটকে পড়ে যায়।

‘ছিটকে পড়া কনটেইনারটির নিচে চাপা পড়ে সড়কে চলাচলরত একটি রিকশা। ওই রিকশার আরোহী ছিলেন ইউনুছ ও তার ছেলে আব্দুর রহিম। রিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। কনটেইনারের নিচে চাপা পড়া অবস্থায় মারা যান বাবা ও ছেলে। তবে রিকশা চালক মোবারক লাফিয়ে পড়ে প্রাণরক্ষা করলেও গুরুতর আহত হন।’

উপ পুলিশ কমিশনার শাকিলা আরও জানান, ঘটনার পর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এসময় সেখানে শত, শত উৎসুক জনতার ভিড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।

ফায়ার সার্ভিসের টিম বন্দরের সহায়তায় একটি শক্তিশালী ক্রেন দিয়ে কনটেইনারটি সরিয়ে নিয়ে দু’জনের লাশ উদ্ধার করে। তাদের স্থানীয় নৌবাহিনী হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে তিনি জানান।