যে কাজে সুখী হওয়া যায় তাতেই সাফল্য আসে

ইডিইউতে জিপি সিইও ইয়াসির আজমান

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেছেন, মেধাবী ও দক্ষ কর্মী অনেকেই হয়, কিন্তু নেতৃত্বের আসনে তিনিই থাকেন, যার মাঝে মেধা-দক্ষতার পাশাপাশি রয়েছে সততা, স্বচ্ছতা ও স্বকীয়তা। যে কাজে মানসিকভাবে সুখী হওয়া যায়, তাতেই সাফল্য আসে।

৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউ) এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এ প্রথম চট্টগ্রামের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি হয়ে এলেন তিনি। ‘এন ইভিনিং উইথ ইয়াসির আজমান এন্ড সাঈদ আল নোমান’ শীর্ষক কথোপকথনধর্মী এ আলোচনায় নানা ধরনের প্রশ্ন করা হয় তাকে। কর্মজীবন, ইন্ডাাস্ট্রির বিভিন্ন বিষয়সহ নানা প্রসঙ্গে তিনি তার জীবনদর্শন ও পছন্দ-অপছন্দ জানান। এছাড়া, শিক্ষার্থীরাও এসময় তাকে বেশ কিছু প্রশ্ন করে।

গ্রামীণফোনের মতো প্রতিষ্ঠানের শীর্ষে পৌঁছাতে হলে কি প্রস্তুতি নিতে হবে- এক শিক্ষার্থীর এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইডিইউর শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যেই অনেক ধাপ এগিয়ে আছে। প্রথমত, আজকের দিন নিয়ে ভাবতে হবে। আজ কি করছো, তার উপর নির্ভর করছে তুমি কাল কি হবে। তাই, আজকের দিনের কাজটা ঠিকমতো করাটাই হচ্ছে মূল। এসময় তিনি আরো বলেন, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে নানা ধরনের কাজ করছে। গ্রামীণফোনের কর্মীবাহিনীর অন্যতম অংশীদার ইডিইউর শিক্ষার্থীরা। আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ে তারা মেধার স্বাক্ষর রাখছে।

ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমানও এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, পারস্পরিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে গ্রামীণফোন ও ইডিইউ। চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানে গড়ে তুলছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি, যা গ্রামীণফোনের দক্ষ জনবলের চাহিদা মেটাচ্ছে। ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে আরো বেশি সম্পৃক্ত হতে পারে গ্রামীণফোন। তাদের কর্মঅভিজ্ঞতা শেয়ার করার মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। এতে আমরাও এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা সম্পর্কে আরো ভালোভাবে বুঝতে ও সেভাবেই শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে পারবো। উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যকার এ সম্পর্ক বাংলাদেশের ইতিহাসে পারস্পরিক সহযোগিতার মাইলফলক হয়ে উঠবে, এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

বিকেলে ইডিইউ ক্যাম্পাস এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কার্যক্রম তাকে ঘুরিয়ে দেখানো হয়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইডিইউর উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান। তিনি ইয়াসির আজমানের হাতে ইডিইউর পক্ষে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন। বিজ্ঞপ্তি