মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তারা : হেদায়েতুল ইসলাম কর্মীবান্ধব সংগঠক

মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম হেদায়েতুল ইসলাম ছিলেন ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক ও চট্টগ্রামের এরশাদ বিরোধী যুব আন্দোলনের অন্যতম রূপকার। তিনি দলের একজন দায়িত্বশীল ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। দলের সব সংকটকালে তিনি সাহসী নেতৃত্ব দিয়েছেন। চট্টগ্রামে বিএনপিকে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করতে তার ভূমিকা ছিল অপরিসিম। রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হলে হেদায়েতুল ইসলামদের মতো নির্ভীক নেতার বড় বেশি প্রয়োজন। দলের প্রতি তার অবদান বিএনপি আজীবন স্মরণে রাখবে। মঙ্গলবার দুপুরে আন্দরকিল্লাস্থ কদম মোবারক মসজিদে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম হেদায়েতুল ইসলাম এর ২৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপির দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, মরহুম হেদায়েতুল ইসলাম একজন কর্মীবান্ধব দক্ষ সংগঠক ছিলেন। দলের দুঃসময়ে তিনি শুধু যুবদলই নয় বরং বিএনপি, ছাত্রদল, শ্রমিক দলকে সুসংগঠিক করতে আগ্রণী ভুমিকা পালন করেছেন। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামের যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যে ভূমিকা রেখেছেন তা যুগ যুগ ধরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে দলের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা আজ ২৮ বছরেও পুরণ করা সম্ভব হয়নি।
মরহুম হেদাযেতুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপি’র পক্ষ থেকে বাদে জোহর কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। পরে কদম মোবারক কবরস্থানে মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন কদম মোবারক শাহী মসজিদের খতিব মাওলানা ইকরাম হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সহ সভাপতি হারুন জামান, ইকবাল চৌধুরী, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, কামরুল ইসলাম, সিহাব উদ্দিন মুবিন, জিয়া উদ্দিন খালেদ, আবদুল বাতেন, মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, এ কে এম পেয়ারু, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি