মুস্তাফিজ টেস্ট না খেলায় হতাশ ডোনাল্ড

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। টেস্টের প্রতি তার অনীহা আছে। তাই লাল বলের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই ফিজ। তবে মুস্তাফিজ যে টেস্ট খেলছেন না, তাতে হতাশ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নয়া বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড।
ডোনাল্ড জানান, মুস্তাফিজ টেস্ট খেলছে না, এটি দুঃখজনক। যেকোন দলকে একাই ধসিয়ে দেয়ার সামথর্য আছে ফিজের। খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।
২০১৫ সালের জুলাইয়ে চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় মুস্তাফিজের। তার আগে টি-২০ ও ওয়ানডে অভিষেক হয়ে যায় তার।
অভিষেক টেস্টের ইনিংসে ৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। এরপর টেস্টে ক্রিকেটে উইকেট শিকারে ধারাবাহিক পারফরমেন্স ছিলো তার। তবে ২০২১ সালে এসে টেস্ট ক্রিকেট থেকে দূরে সরে যান ফিজ। প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে টেস্ট খেলছেন না এই বাঁ-হাতি পেসার।
এখন পর্যন্ত ১৪ টেস্টে ৩০ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। কোন ইনিংসে ৫ বা তার বেশি উইকেট এবং ম্যাচে ১০ উইকেট নিতে পারেননি তিনি। ইনিংসে তার সেরা বোলিং ৩৭ রানে ৪। আর ম্যাচে সেরা বোলিং ৬৬ রানে ৫ উইকেট।
পরিসংখ্যান বলছে, ওয়ানডে বা টি-২০তে যতটা ভয়ংকর মুস্তাফিজ, টেস্টে ওভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ৭১ ওয়ানডেতে ১৩১ উইকেট এবং ৬৩ টি-২০তে ৮৭ উইকেট রয়েছে ফিজের।
তবে মুস্তাফিজের টেস্ট না খেলাটা হতাশ করেছে ডোনাল্ডকে। ক্রিকবাজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড বলেন, ‘আমরা শরিফুল, তাসকিন এবং এবাদতকে (টেস্ট ফরম্যাটে) পেয়েছি। হ্যাঁ টেস্ট দলের অংশ নন মুস্তাফিজ। আমি আপনাকে আগেই বলেছি, এটা দুঃখের বিষয় যে, মুস্তাফিজ আর টেস্ট ক্রিকেট খেলছেন না।’
তিনি আরও বলেন, আজকাল খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত পছন্দ আছে। তারা একটি ফরম্যাটে পারদর্শী হতে পারে এবং আমি মনে করি অন্য সবকিছুর সাথে টি-২০ প্রতিযোগিতা যা খেলোয়াড়দের খেলতে এবং বিপুল অর্থ অর্থোপার্জনের জন্য উৎসাহিত করে।
মুস্তাফিজের প্রশংসা করেছেন ডোনাল্ড। ২০১৬ সালেই মুস্তাফিজকে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার হিসেবে অভিহিত করেছিলেন তিনি। ফিজ বলেন, আমি মুস্তাফিজের বিশাল ভক্ত এবং আমি ২০১৬ সালে বলেছিলাম, সাদা বলের ক্রিকেটে যে কোনও ব্যাটিং লাইন আপকে সমস্যায় ফেলার জন্য ভয়ংকর কৌশল আছে তার। তাকে সহজে অনুমান করা যাবে না।
আমি ফিজের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। আমার মনে হয়, আমরা আড্ডায় বসতে যাচ্ছি, তাহলে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ নিয়ে আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে। বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে এ নিয়ে কখনো আলোচনা হয়েছে কি-না জানি না। আমাদের কি ধরনের আক্রমণ করা দরকার বলে, আপনি মনে করেন?
ডোনাল্ড আরো বলেন, প্রতিটি মানুষের আলাদা দক্ষতা এবং দলে আলাদা ভূমিকা রযেছে। সঠিক পদ্ধতিটাকে আমরা একসাথে এগিয়ে নিবো। সাদা বল ও টেস্ট ম্যাচই আমাদের ক্রিকেটের পরিচয়। এটি অনেক বেশি বোঝার এবং এটি এমন একটি সিস্টেমে এগিয়ে নেয়া, যেটি বাংলাদেশি বোলারদের একটি ভাল ইউনিটে পরিণত করবে।