এমপি নজিবুল বশরের হস্তক্ষেপে সমঝোতা
নিজস্ব প্রতিনিধি, ফটিকছড়ি :
হাটহাজারীর পর ফটিকছড়ি উপজেলার আল-জামিয়া নছিরুল ইসলাম নাজিরহাট ‘নাজিরহাট বড় মাদ্রাসা’র মুহতামিম পদ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।চলমান পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার ফটিকছড়ি সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর এমপির আহবানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কক্ষে হেফাজতের দুইগ্রুপের সদস্যদের উপস্থিতিতে এক সমঝোতা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় সংসদ সদস্যের আহবানে উভয়পক্ষের সম্মতিতে নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার চলমান সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করা হবে এবং সমস্যা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষ কোন প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল বা আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হয় এমন কোন কার্যকলাপ করবেন না; করলে এই বিষয়ে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সমঝোতা হয়। সমঝোতালিপিতে মো. সলিমুল্লাহ ও মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমী সহ উভয়পক্ষের তিনজন করে সাক্ষী এই অংগীকারনামায় স্বাক্ষর করেন।এসময় ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আবু তৈয়ব, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সায়েদুল আরেফীন,নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র সিরাজদৌল্লা,ফটিকছড়ি থানার ওসি মো. বাবুল আক্তার উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, গত ২৮ মে আল-জামিয়া নছিরুল ইসলাম নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা মুহাম্মদ ইদ্রিছ ইন্তেকাল করলে মুহতামিমের পদটি শুন্য হয়। আল্লামা শফি গত ৭ জুন বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁর নিজ কার্যালয়ে মজলিশে শুরার সভা আহবান করেন। উক্ত সভায় উপস্থিত শুরা সদস্যগণের সর্বসম্মতিক্রমে মাওলানা মুহাম্মদ ছলিম উল্লাহকে নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মুহতামিম নিযুক্ত করা হয়। এ নিয়োগ অবৈধ বলে অগ্রাহ্য করে দায়িত্বরত নায়েবে মুহতামিম মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান কাসেমী আদালতের আশ্রয় নেন। কিন্তু আদালত দু’পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। পরে নবনিযুক্ত মুহতামিম মাওলানা ছলিম উল্লাহ মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, ৭২ মাসের বাসা ভাড়া বকেয়াসহ নানা অভিযোগে নায়েবে মুহতামিম মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমীকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দিয়ে দেন। এরপর থেকে মাওলানা ছলিম উল্লাহ এবং হাবিবুর রহমান কাসেমীর পক্ষে এলাকাবাসী বিভক্ত হয়ে পাল্টাপাল্টি প্রচার-অপপ্রচার প্রতিযোগিতা শুরু করে। তাই প্রশাসন নিরাপত্তার স্বার্থে নাজিরহাট এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি টহল বসিয়েছে।