নিজস্ব প্রতিনিধি, ফটিকছড়ি »
ফটিকছড়ি উপজেলার কৃষকদের মাঝে আমন আবাদে ব্যস্ততা বেড়েছে । জমি প্রস্তুত করতে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষরা। জমিতে পানি সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ, বীজ উঠানো, ও প্রস্তুতকৃত জমিতে চারা রোপণ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে কৃষকরা। কেউ বা জমিতে হাল চাষ দিচ্ছেন। কেউ জমির আইলে কোদাল পাড়া কিংবা জৈব সার বিতরণ কাজে ব্যস্ত।উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে এবার ২১ হাজার ৯ শত ৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
যা গেল বছর ছিল ২১ হাজার ৮ শত হেক্টর জমিতে। কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, ইতোমধ্যে উপজেলায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির ধান রোপণ শেষ হয়েছে। বেশ কয়েকটি জাতের ধান আবাদ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। সরেজমিনে উপজেলার সুন্দরপুর,পাইন্দং,কাঞ্চন নগর, হারুয়ালছড়ি,সুয়াবিল,দাঁতমারা,নারায়ণহাট, ভুজপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের আমন ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষকরা দলবেঁধে বীজতলা থেকে চারা তুলে আমন রোপণ করছেন। অনেকে আবার জমিতে হাল দিয়ে চারা রোপণের জন্য প্রস্তুত করছেন। উপজেলার মাইজভান্ডার এলাকার কৃষক হাসান জানান, এবার ৪ বিঘা জমিতে আমন আবাদ করব। এর মধ্যে দুই একর জমিতে আমন রোপণ করেছি। বাকি জমিতে কয়েক দিনের মধ্যে রোপণ করব। এবারও আমনের ন্যায্য দাম পাব বলে আশা করছি। নারায়ণহাট চাঁদপুর গ্রামের কৃষক আলতাফ জানান, এবার সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় আমনের বীজতলা তৈরিতে একটু বেগ পেতে হয়েছে। যার জন্য আমন আবাদে একটু দেরি হচ্ছে।
দাঁতমারা ইউনিয়নের চাষী নুরুল আলম জানান, শ্রমিকের অভাবে সঠিক সময়ে আমনের চারা রোপণ করতে পারছি না। লকডাউনের কারণে বাহির থেকে শ্রমিকরা আসতে পারছে না। ফলে স্থানীয় শ্রমিকদেরকে বাড়তি মজুরী দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লিটন দেবনাথ জানান, মৌসুমের শুরুতে উপজেলায় ৮০০ কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।চলতি মৌসুমে ২১,৯৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব জমিতে ব্রি-৪৯, ব্রি-৯৫ সহ বেশ কয়েকটি জাতের ধান রোপণ করা হচ্ছে।