প্রবেশপথে নামেই কড়াকড়ি!

সরেজমিন: নতুনপাড়া পুলিশ চেকপোস্ট

মোহাম্মদ রফিক
নগরের প্রবেশ পথগুলোয় রোববার সন্ধ্যা থেকে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি সেখানে দায়িত্ব পালন করছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশও। ঈদকে সামনে রেখে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহর থেকে লোকজন যাতে নগরে ঢুকতে ও বেরুতে না পারে সেজন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগর ট্রাফিক বিভাগ (উত্তর) এর উপকমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
কিন্তুসোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নগরের অন্যতম প্রবেশপথ নতুনপাড়া সেতুর চেকপোস্টে অবস্থান করে পুলিশের কড়াকড়ি নজরদারির চিত্র দেখা যায়নি। অনেকটা বিনা বাধায় বিভিন্ন ব্যক্তিগত গাড়িতে লোকজন পরিবার নিয়ে শহরে ঢুকতে ও বেরুতে দেখা যায়। এসময় ওই চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করেন ট্রাফিক পুলিশের এএসআই পিন্টু, এসআই মিরাজ এবং বায়েজিদ বোস্তামী থানার এসআই হেলালসহ চার-পাঁচজন কনস্টেবল।
দেখা গেছে, বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাস্তার এক পাশে একটি টুল ও কিছু চেয়ার নিয়ে তারা বসে থাকেন। এক ঘণ্টার ব্যবধানে পরিবার নিয়ে অন্তত ৩০টি প্রাইভেটকার, জিপ, স্টেশন ওয়াগন ও মাইক্রোবাস এবং সিএনজি অটোরিকশাসহ বিভিন্ন গাড়ি শহর থেকে বিনা বাধায় বেরিয়ে যায়।
এসময় দেখা গেছে, চট্টমেট্রো-১১-৩৪৮৭, চট্টমেট্রো ১১-২০৭৮ নম্বরের জিপ গাড়ি, চট্টমেট্রো১২-০৪৭০ নম্বরের প্রাইভেট কার, ১৩-০৫৪৭ নম্বরের কালো প্রাইভেট কার, চট্টমেট্রো ১৩-৭৫৭৬ নম্বরের স্টেশন ওয়াগন গাড়ি, চট্টমেট্রো-চ-৫১-২৭২৭ নম্বরের মাইক্রবাস, কালো স্টিকার যুক্ত চট্টমেট্রো গ-১১-৪৫৪৮ প্রাইভেট কার শহর থেকে বেরিয়ে গেছে।
বেলা ১১টা ১০ মিনিটে চেকপোস্টে আসেন বায়েজিদ থানার ওসি প্রিটন সরকার। ওসি আসার সাথে সাথে দায়িত্ব পালনরত সব পুলিশ সদস্য বসা অবস্থা থেকে উঠে যান। দুইজন কনস্টেবল এবার ছুটে যান রাস্তায়। তারা রাস্তায় আড়াআড়ি করে রাখা ব্যারিয়ার গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সংকুচিত করে দেন।
জানতে চাইলে বায়েজিদ থানার এসআই হেলাল দাবি করেন, সকাল থেকে দায়িত্ব পালন করছি। পরিবার-পরিজন নিয়ে কিংবা কোন ব্যক্তিকে বিনা প্রয়োজনে শহরে ঢুকতে বা বেরুতে দেওয়া হচ্ছে না। একই কথা বলেন ট্রাফিক উত্তর বিভাগের পুলিশ সাজেন্ট মিরাজ। তাদের দাবি, দায়িত্ব পালনে কোন গাফিলতি হচ্ছে না।
রোববার নগরে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে বিজ্ঞপ্তি দেয় সিএমপি। সিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনা ভাইরাসের বিস্তার ও সংক্রমণ রোধে ১৭ মে সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নগরের সব প্রবেশপথে ঢোকা ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। জরুরি সেবা ও রপ্তানি পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণের আওতামুক্ত থাকবে।
দেড় মাস আগেও একই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল সিএমপি। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কার্যকারিতা ছিল না। ফলে নগরে অবাধে মানুষ ঢুকেছেন এবং বের হয়েছেন।
জানতে চাইলে বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি প্রিটন সরকার বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যা থেকে নতুনপাড়া প্রবেশপথে পুলিশের খুব কড়াকড়ি নজরদারি চলছে। আমি নিজে সরেজমিন প্রত্যক্ষ করেছি। তবে প্রচ- গরম পড়ার কারণে দায়িত্ব পালনে মাঠে থাকা পুলিশ সদস্যরা কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন।’