পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় সমাবর্তন কাল

চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল পাচ্ছেন ১৪ শিক্ষার্থী

smart

নিজস্ব প্রতিবেদক »

দ্বিতীয়বারের মতো পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি আয়োজন করছে সমাবর্তন অনুষ্ঠান। এবারের সমার্বতনে ১৪ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল ও ১৩ জন শিক্ষার্থীকে ফাউন্ডার গোল্ড মেডেল প্রদান করা হবে। নগরীর টাইগারপাস এলাকায় অবস্থিত নেভি কনভেনশন সেন্টারে আগামীকাল শনিবার এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়টির অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নূরুল আনোয়ার।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৬ নভেম্বর শনিবার দুপুর ১২টায় নগরীর টাইগারপাস এলাকায় নেভি কনভেনশন সেন্টারে পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমেদ কায়কাউস। বিশেষ অতিথি থাকবেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা একেএম এনামুল হক শামীম। অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান তাহমিনা খাতুন।

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নূরুল আনোয়ার বলেন, ‘দ্বিতীয় সমাবর্তনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়া ৫ হাজার ৬৪৯ জন শিক্ষার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিগ্রি প্রদান করা হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ১ হাজার ৫১৭ জন শিক্ষার্থী।’

তিনি বলেন, ‘পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা একেএম এনামুল হক শামীমের নেতৃত্বে ২০১৩ সালের ১৭ মে মাত্র ৬ জন শিক্ষক, ৪ জন কর্মকর্তা, ১ জন কর্মচারী এবং ৬টি প্রোগ্রামে ৬৯ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটি। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ১৭০ জন শিক্ষক, ৫৩৩৬ জন শিক্ষার্থী ও ১৯০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। এছাড়া ৪টি অনুষদের অধীনে ১০টি বিভাগের ১৩টি প্রোগ্রাম নিয়ে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বিকাশের অনন্য প্রতিষ্ঠান পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এরই মধ্যে গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য অনবদ্য শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সমন্বিত কাজের সাক্ষর হিসেবে ইতোমধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা স্মারক করেছে। উচ্চশিক্ষায় উৎকর্ষ অর্জনে এ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এর মধ্যেই দুটি আন্তর্জাতিক গবেষণা কনফারেন্সের আয়োজন করেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। ২৬ নভেম্বর দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ইতিমধ্যে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা এবং গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক জুয়েল দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য অধ্যাপক ড. এম মজিবুর রহমান, এহসানুল হক রিজন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. গনেশ চন্দ্র রায়, সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার মফজল আহমদ, রেজিস্ট্রার মো. ওবায়দুর রহমান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. সেলিম হোসেন।