নাঈম-মৃত্যুঞ্জয়ের ফিফটি, সুমন-মুরাদের দুর্দান্ত বোলিং

প্রেসিডেন্ট’স কাপ

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
প্রেসিডেন্ট’স কাপ ওয়ানডে টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা লাল বলেও ধরে রাখলেন সুমন খান। এই পেসারের পাশাপাশি বল হাতে জ্বলে উঠলেন তরুণ বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদও। তাদের বোলিং সামলে দারুণ ব্যাটিং উপহার দিলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ, ফিফটি এলো মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির ব্যাট থেকেও। খবর বিডিনিউজের।
হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ব্যাটে-বলে লড়াই জমল বেশ। দিনের বেশির ভাগ সময়টা ছিল ‘বি’ টিমের ব্যাটসম্যানদের নিয়ন্ত্রণে। পরে দারুণ দাপটে ঘুরে দাঁড়ায় ‘এ’ টিমের বোলাররা। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল মঙ্গলবার টিম ‘বি’ ৮০ ওভারে অলআউট হয় ২৬৬ রানে। ওপেনার নাঈম শেখের ব্যাট থেকে এসেছে ৮৩ রান। চোট নিয়ে লম্বা সময় বাইরে থাকার পর গ্রেফ ব্যাটসম্যান হিসেবে ম্যাচ খেলতে নেমে অলরাউন্ডার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি করেছেন ৫৮। ‘এ’ টিমের হাসান মুরাদ ৪ উইকেট নিয়েছেন ৩৫ রানে, সুমনের ৪ শিকার ৫৪ রানে। ব্যাটিং উইকেটে ‘বি’ টিমকে দারুণ শুরু এনে দেন নাঈম ও পারভেজ হোসেন ইমন। ‘এ’ টিমের তিন পেসার মুকিদুল ইসলাম, সুমন ও শফিকুল ইসলাম বোলিং খারাপ করেননি। তবে ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে উইকেটে থিতু হয়ে যান নাঈম ও পারভেজ। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য পরে দুই পাশ থেকে আক্রমণে আনা হয় অফ স্পিন। অধিনায়ক আফিফ হোসেন নিজে এক প্রান্তে এসে আরেক প্রান্তে আনেন শামীম হোসেনকে। লাভ হয়নি তাতেও। লাঞ্চের মিনিট পাঁচেক আগে এই জুটি ভাঙেন বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসান। তার জোরের ওপর করা নিচু হয়ে যাওয়া বলে ৩৫ রানে এলবিডব্লিউ হন পারভেজ। লাঞ্চের পর বাঁহাতি পেসার শফিকুলের শর্ট বলে পুল করে ছক্কায় ফিফটি স্পর্শ করেন নাঈম। দারুণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু ৮৩ রানে আউট হয়ে যান মুরাদের বলে। তার ১২৯ বলের ইনিংসে চার ১১টি, ছক্কা ২টি। তিনে নেমে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ধুঁকেছেন বেশ। ৫৬ বলে ৬ রান করে তিনিও ফেরেন মুরাদের স্পিনে।
চতুর্থ উইকেটে তৌহিদ হৃদয় ও মৃত্যুঞ্জয় গড়েন শতরানের জুটি। দুজনই বেশ সাবলীল ব্যাট করছিলেন। তবে কেউই টিকতে পারেননি শেষ পর্যন্ত। ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৫৮ করে মৃত্যুঞ্জয় বিদায় নেন শফিকুলের বলে। ৪২ রান করা তৌহিদকে থামান সুমন। এই দুজনের পর ‘বি’ টিমের ব্যাটিং লাইন আপে ছিল না কোনো স্বীকৃত ব্যাটসম্যান। সুমন ও মুরাদের দারুণ বোলিংয়ে নামে ধস। ২৩ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। শেষ ৬ ব্যাটসম্যানের কেউ দুঅঙ্ক ছুঁতে পারেনি। সুমন ও মুরাদের পাশাপাশি খারাপ বল করেননি মুকিদুল ও শফিকুল। মুকিদুল ছিলেন বেশ আগ্রাসী। উইকেট যদিও পাননি তিনি। বাঁহাতি স্পিনার রকিবুলের লাইন-লেংথ ছিল একটু অধরাবাহিক। ম্যাচ অনুশীলনের অংশ হিসেবে এরপর আগামী শনিবার একদিনের ম্যাচ খেলবে এইচপির ক্রিকেটাররা।
টিম ‘এ’ ১ম ইনিংস: ৮০ ওভারে ৪০৬/৭
টিম ‘বি’ ১ম ইনিংস: ৮০ ওভারে ২৬৬ (নাঈম ৮৩, পারভেজ ৩৫, মাহিদুল ৬, হৃদয় ৪২, মৃত্যুঞ্জয় ৫৮, রিশাদ ৫, তানভির ৮, শরিফুল ০, রেজাউর ১, নোমান ১*, শাহিন ২; মুকিদুল ৮-২-১৮-০, সুমন ১৬-৩-৫৪-৪, শফিকুল ১২-৩-৪৩-১, শামীম ৫-০-১৭-০, আফিফ ১১-৫-১৬-০, রকিবুল ১২-১-৫১-১, মুরাদ ১২-৪-৩৫-৪, শাহাদাত ৩-০-১০-০, মাহমুদুল ১-০-২-০)।