নগরে নকল ওষুধের রমরমা ব্যবসা

সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা, ২ জন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক »

নগরীর মেহেদীবাগ এলাকার শহীদ মির্জা লেন এর নূর ভিলা নামক ভবনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে নকল ও অনুমোদনহীন ওষুধসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় নকল ওষুধ রাখার দায়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. আহসানুল কবির (৫৬) এবং সুলতানা রাজিয়া (৩৫)।

অভিযানে জব্দ করা নকল ওষুধের মধ্যে রয়েছে নার্ভ ডিএক্স, ফেয়ার সোপ, ভিরোজেল, ভিরোকন, ভিএইচ লোশন, ইউনি বাইন, ইউনি ডি ত্রি, জে ওয়ানসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল ওষুধ। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫ লাখ টাকা।

বুধবার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও পুলিশের সহায়তায় চট্টগ্রাম কাট্টলী সার্কেলের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

অভিযানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স ছাড়া এজেন্ট পরিচালনা করা, লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ মজুদ ও সরবরাহ, নকল ও ভেজাল ওষুধ মজুদ, দামের তারতম্যের মতো গুরুতর অপরাধ পরিলক্ষিত হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে লাইসেন্স ছাড়া কোম্পানির এজেন্সি পরিচালনা, নকল ও ভেজাল ওষুধ মজুদ ও সরবরাহ এবং আভিযানিক টিমের সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অপরাধে মো. আহসানুল কবিরকে দোষী সাব্যস্ত করে ওষুধ ও কসমেটিকস আইন, ২০২৩ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় যথাক্রমে মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং রাজিয়া সুলতানা নামে এক মহিলাকে একই আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মোট দুই লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দেওয়া হয়। এ সময় রাজিয়া সুলতানা জরিমানা পরিশোধ না করায় সাজা পরোয়ানামূলে তাকে চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, দুই অপরাধীই স্বীকার করেছে যে, তারা নকল ও ভেজাল ওষুধ বিক্রয় ও বিপণন এর সাথে জড়িত। পাশাপাশি জব্দকৃত সমস্ত ওষুধ জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়াও এই অবৈধ ওষুধের সম্ভাব্য বিপণন বন্ধে দোকানসমূহে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হবে এবং যে সকল চিকিৎসক এসব নকল, ভেজাল ও অনুমোদনহীন ওষুধ প্রেসক্রাইব করছেন তাদের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, নকল-ভেজাল, আন-রেজিস্ট্রার্ড ওষুধ এবং অবৈধ ওষুধের বিক্রি ও মজুত বন্ধের অভিযান কঠোরভাবে পরিচালনা করা হবে এবং এর সাথে আর কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।