ধর্ম নিয়ে রাজনীতি মানুষের মাঝে বিভেদ তৈরি করে

চবিতে ড. মুনতাসির মামুন

চবি প্রতিনিধি »

আমরা আওয়ামী লীগ সমর্থন করি অসাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে। আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িকতার সাথে আপস করলে আমরা কষ্ট পাই। একটি দেশ ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে কখনোই উন্নত হতে পারে না। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি মানুষের মাঝে বিভেদ তৈরি করে। বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় সফলতা বাঙালির মতো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা। রেসকোর্সের সেই জ্বালাময়ী ভাষণ ঐক্যবদ্ধ করার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে।

গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন চবির বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. মুনতাসির মামুন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের রাজনীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য আপস করা। একটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে একনিষ্ঠভাবে লড়াই করার শক্তি অনেক রাজনৈতিক নেতার নেই। কিন্তু এতো রাজনীতিবিদদের ভিড়ে একজন ছিলেন ব্যাতিক্রম। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু একমাত্র ব্যাক্তি যার জীবনে আপস নেই। তিনি বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের মুক্তির জন্য সকল নির্যাতন সহ্য করেছেন। কিন্তু দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যের প্রতি অবিচল ছিলেন।
মুনতাসীর মামুন বলেন, আজকে সর্বত্র বঙ্গবন্ধুর চর্চা হচ্ছে। এটা দেখে যেমন ভালো লাগে আবার আফসোসও লাগে। কারণ বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর চর্চা হয় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে, ভালোবাসা থেকে নয়। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে চবির একটি অনুষদও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতো না। ক্ষমতায় আসার আগে কখনো করেনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে এবং দেশের মানুষকে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধিতে রাখতে আজীবন লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন। স্বাধীনতার পর অল্প সময়ের মধ্যে তিনি দেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে পেয়েছিলেন অকুন্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা। তাইতো বিশ্বের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম বিশ্ব নেতা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সানসাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাফিয়া গাজী রহমান, চবি কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও ‘খোকা থেকে বঙ্গবন্ধুথ চলচ্চিত্রের তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. হানিফ সিদ্দিকী।