নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া »
মিউনিসিপাল গভর্নেন্স অ্যান্ড সার্ভিসেস প্রজেক্ট এমজিএসপির অধীনে গেল অর্থবছরের ৭৬ কোটি টাকার সঙ্গে নতুন ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের ৯০ কোটিসহ চকরিয়া পৌরসভায় চলমান ১শ৬৬ কোটি টাকার মেগাউন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি কার্যক্রম পরিদর্শনে এসেছেন প্রকল্প পরিচালক শেখ মুজাক্কা জাহের। গত মঙ্গলবার তিনি মেয়র আলমগীর চৌধুরীকে সাথে নিয়ে সারাদিন চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।
এসময় চলমান উন্নয়নকাজের গুনগতমান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রকল্প পরিচালক। বর্তমানে বিশ^ব্যাংকের এমজিএসপি প্রকল্পের অধীনে ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দে চকরিয়া পৌরসভার একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের সুচনা করা হয়েছে। নতুন প্রকল্পের মধ্যে আছে চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে আরসিসি সড়ক নির্মাণ, আধুনিকমানের ড্রেইন, কালভার্ট নির্মাণ, সড়কের উভয়পাশে লাইটিং বাতি স্থাপন, শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিকমানের শিশু পার্ক নির্মাণ, সকলধরণের অনুষ্ঠান আয়োজনে উন্নতমানের একটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ প্রকল্প। উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এদিন বিকালে চকরিয়া পৌরসভার হলরুমে তিনি পৌরসভার মেয়র কাউন্সিলর, প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।
অনুষ্টিত সভায় প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে প্রতিবেদন তুলে ধরেন চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী। সভায় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার সচিব মাসউদ মোর্শেদ, পৌরসভার প্যানেল মেয়র বশিরুল আইয়ুব, ১নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর মছুদুল হক মধু, ৫নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ফোরকানুল ইসলাম তিতু, ৭নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর রাজিয়া সোলতানা খুকুমণি, কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম, পৌরসভার প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মৃণল বাবু, উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফিকুর রহমান, মিউনিসিপাল প্রকল্পের স্থানীয় প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান। মতবিনিময় সভা শেষে চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, বিশ^ব্যাংকের এমজিএসপি প্রকল্পের অধীনে গেল অর্থবছরের ৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ছোট-বড় ৩১টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন শেষ হয়েছে। এসব উন্নয়ন কাজে সন্তোষ্ট হয়ে এমজিএসপি প্রকল্পের নীতিনির্ধারক মহল নতুন অর্থবছরে উন্নয়নে ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে টেন্ডারের মাধ্যমে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসমুহ ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দে চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে আরসিসি সড়ক নির্মাণ, আধুনিকমানের ড্রেইন, কালভার্ট নির্মাণ, সলিট ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্ট, পানি সরবরাহ, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, সড়কের উভয়পাশে লাইটিং বাতি স্থাপন, ছোট্ট শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিকমানের শিশু পার্ক নির্মাণ, সকলধরণের অনুষ্ঠান আয়োজনে উন্নতমানের একটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। করোনাকালীন সময়ে উন্নয়ন কাজ কিছুদিন বন্ধ থাকলেও বেশিরভাগ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে চলছে।
চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, চকরিয়া পৌরসভার চলমান মেগাউন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি কার্যক্রম পরিদর্শনে এসেছে প্রকল্প পরিচালক শেখ মুজাক্কা জাহের উন্নয়নকাজের গুনগতমান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি দ্রুতসময়ের মধ্যে বাস্তবায়নধীন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজসমুহ স্বচ্ছতার মাধ্যমে সমাপ্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন। আশা করি ধারাবাহিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজসমুহ সমাপ্ত হলে শতভাগ নাগরিক সেবা পেতে শুরু করবে চকরিয়া পৌরবাসী।