মটকাভাঙা-সোনালী বাজার
পাঁচ কি.মি.র বেহাল দশা
এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :
পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কাজীর মার্কেট থেকে মটকাভাঙা-সোনালী বাজার পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। প্রায় দুই যুগ ধরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি জনগুরুত্বপুর্ণ এ সড়কটি। এতে করে এলাকার প্রায় ৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। এসব জনগনের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।জানা যায়, বিগত ১৯৯৯ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর রাস্তাতে ব্রিক সলিনের কাজ করে। রাস্তাটি বিলীন হয়ে যায় নির্মাণের এক বছর পর। এরপর থেকে সংস্কার হয়নি সড়কটির। প্রায় দুই যুগের কাছাকাছি সময়েও সংস্কার বঞ্চিত এ সড়কটি।সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহেলার কারনে বর্তমানে রাস্তাটির ইটগুলি রাস্তার দু’ধারে ছিটিয়ে ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে। রাস্তাটির অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পথে। স্থানীয় সুত্র জানায়, মটকাভাঙা- সোনালী বাজার এ সড়ক দিয়ে দক্ষিণ মগনামা ও আশপাশের গ্রামের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশার লোকজন যাতায়াত করে থাকে। দীর্ঘ বিশ বছর ধরে রাস্তার সংষ্কার কাজ না হওয়ায় এলাকার শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। শুষ্ক মৌসুমে কোন রকম হাঁটতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে হেঁটে যাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। ব্যবসায়ী জাফর আলম, নুরুল আমিন জানায়, সড়কে এক সময় ছোট খাট যানবাহন চলছিল। বর্তমানে যানবাহন চলা বন্ধ রয়েছে। ইটগুলি উঠে গেছে। এখন পায়ে হাঁটাও দুস্কর। মগনামার বাসিন্দা নুরুল আমিন, বদিউল আলম জানায়, রাস্তাটি সংষ্কার করলে মগনামার পশ্চিম পাশের সাথে পূর্বপাশের লোকজনের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হবে। প্রায় দুই গ্রামের ৫ হাজার মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। আমরা সড়কটির দ্রুত সংস্কার চাই।
স্থানীয়রা জানায়, সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। বিশ বছর আগে সড়কের উপর ইট বসিয়েছে। প্লাবণে সড়কটি এখন অস্তিত্ব বিলীন। উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে দ্রুত সময় ও সহজভাবে যেতে সড়কটি একমাত্র অবলম্বন। সংস্কার না হওয়ায় ফুলতলা হয়ে বাজারপাড়া ঘুরে উপজেলায় যেতে মানুষের ১ ঘন্টারও বেশি সময় লাগে। কিন্তু রাস্তাটি সংষ্কার হলে ওই এলাকার মানুষের মাত্র ১৫ মিনিটে উপজেলায় পৌঁছানো সম্ভব হবে। মগনামা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাংবাদিক হাসেম জানায়, সড়কটি মগনামার প্রাচীন। সংস্কার হয়েছে বহু বছর আগে। জনপ্রতিনিধিরা শুধু আশ্বাস দিয়ে যায়,কিন্তু সংস্কার কাজ হয়না। রাস্তাটি সংষ্কারের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। ইউপির চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম জানায়, দ্রুতসময়ে সড়কটি সংস্কারকাজ বাস্তবায়ন হবে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সরকারিভাবে বাজেট হলে অবশ্যই রাস্তাটি সংষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।