চসিক ও ট্রাফিক বিভাগ যৌথভাবে কাজ করবে : সুজন

????????????????????????????????????

সুন্দর নগরী গড়ার প্রত্যয়
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, যানজটমুক্ত, পরিচ্ছন্ন সুন্দর ও সুশৃঙ্খল নগরী গড়তে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন যৌথভাবে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। নগরীকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য করে গড়ে তোলাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
গতকাল অপরাহ্নে সিএমপি ট্রাফিক বিভাগের সাথে যানজট নিরসনে চসিক নগর ভবনের কনফারেন্স রুমে বৈঠকে প্রশাসক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম দ্রুত বর্ধমান একটি নগর। এখানে বিবিধ উন্নয়ন ও পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। দেশের সব প্রান্তÍ থেকে মানুষ নানা প্রয়োজনে ছুটছে বন্দরনগরী অভিমুখে। বাড়িয়ে তুলছে নগরীর জনসংখ্যা। এই অতিরিক্ত জনভার নানা কৃত্রিম সমস্যার সৃষ্টি করছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো যানজট। যানজট সৃষ্টিতে রাস্তার মোড়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা, সড়কে বিভিন্ন গতির ও অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করা, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, আইনপ্রয়োগ ও কার্যকরণের অভাব, অপর্যাপ্ত ও অপরিকল্পিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশের অভাব, সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি, লাইসেন্সবিহীন ও অদক্ষ চালক, রাস্তা ও ফুটপাত দখল, অবৈধ রিকশার ছড়াছড়ি, ইচ্ছামতো যানবাহনের চলাচল, যত্রতত্র পার্কিং, ফুটপাত দখল, সড়কে নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখা প্রধান প্রধান কারণ। তিনি বলেন, এসব ছাড়াও রয়েছে অপরিকল্পিভাবে রাস্তা কেটে উন্নয়ন কাজ করা, মোড়ে-মোড়ে রিকশা দাঁড়িয়ে থাকা, সড়কের পাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান, ত্রুটিযুক্ত যানবাহন ও দিনে সড়কে বড় ট্রাক চলাচল করাই মূলত দায়ী। নগরীতে অপরিকল্পিত বাসস্ট্যান্ডের কারণে নগরীর চার প্রবেশমুখ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। নগরীর অক্সিজেন মোড়, শাহ আমানত সেতু চত্বর, কাপ্তাই রাস্তার মাথা এবং সিটি গেট-কর্নেল হাটে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বেশিরভাগ সড়কের দুপাশের ফুটপাত দখল করে চলছে ব্যবসা-বাণিজ্য। যত্রতত্র যানবাহন দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী উঠানামা করানোর কারণে প্রতিটি মোড়েই ধরনের বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, গাড়ির সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, সেভাবে সড়ক বাড়েনি। চালকদের মধ্যে সচেতনতাও বাড়েনি। পরিকল্পিতভাবে টার্মিনালও গড়ে তোলা হয়নি। তিনি শীঘ্রই নগরীতে প্যাডেলচালিত অবৈধ রিকশা উচ্ছেদ করে রিকশা চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট এরিয়া ঠিক করে দেওয়া হবে বলে জানান। সমাজের বিভিন্ন সচেতনমহল যদি শহরের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে কাজে এগিয়ে আসেন তা হলে শহরের চিত্র বদলাতে দেরি হবে না বলে উল্লেখ করে প্রশাসক।
সিএমপি ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে যানজট নিরসনে কিছু প্রস্তাবনা লিখিতভাবে প্রশাসককে দেয়া হয়। প্রশাসক এ ব্যাপারে একমত হয়ে একসাথে কাজ করার পরিকল্পনার কথা জানান। নগরীর ফুটপাতে যেন হকাররা যত্রতত্র বসতে না পারে এবং স্থায়ী কোনো স্থাপনা তৈরি করতে না পারে সেদিকে নজর রাখার তাগিদ দেন প্রশাসক। এছাড়া রাস্তায় জেব্রাক্রসিং ও রোড মার্কিং করা, বিভিন্ন মোড়ে ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন, যাত্রী ওঠানামার স্থান নির্দিষ্ট করার বিষয়ের ওপর জোর দেন প্রশাসক।
বৈঠকে করোনা মহামারিকালে যে-সকল পুলিশ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে প্রশাসক বলেন, করোনাকালে তাদের ভূমিকা জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে।
এ সময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, ডিসি ট্রাফিক (দক্ষিণ) মো. শহিদুল্লাহ, ডিসি ট্রাফিক (পশ্চিম) জয়নুল আবেদীন, এডিসি ট্রাফিক (উত্তর) উ ক্য সিং, এডিসি ট্রাফিক (বন্দর) অলক বিশ্বাস, এডিসি ট্রাফিক (পশ্চিম) ছত্রধর ত্রিপুরা, স্থপতি আবদুল্লাহ ওমর উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি