নিজস্ব প্রতিনিধি, রাউজান :
রাউজান উপজেলার ৪ নম্বর গহিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশি পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে গহিরা দলই নগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও জনগণের চলাচলের সড়ক পরাণ কৃষ্ণ মহাজন সড়কের দুই পাশে সড়ক বন্ধ করে কোরবানির পশুর হাট বসায়।
গতকাল ১৮ জুলাই গহিরা দলই নগরে বসানো হয় কোরবানির পশুর হাট। এই হাটে ছিল না কোন সামাজিক দূরত্ব, বিপুল পরিমাণ লোকজন পশুর হাটে গাদাগাদি করে কোরবানির পশুর হাটে কেনাকাটা করতে দেখা যায় । কোন প্রকার ইজারা নেওয়া ছাড়া গহিরা দলই নগরে কোরবানির পশুর হাট বসানো হয় । ইজারা বিহীন গহিরা দলই নগরে কোরবানীর পশুর হাটে দলই নগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, পরাণ কৃষ্ণ মহাজন সড়কের আতুরনীর ঘাটা থেকে গহিলা দলই নগর দৌলত দিঘির পাড় পর্যন্ত কয়েক হাজার বাঁশের খুঁটি পুঁতে গরু বাধার জন্য ।
কোরবানির পশুর হাটে রাউজান, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি উপজেলা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু ব্যবসায়ী, খামারীরা কয়েক হাজার গরু, ছাগল আনে বিক্রয় করার জন্য ।
গহিরা দলই নগরে কোরবানীর পশুর হাটের আয়োজক তার লোকজন দিয়ে গরু বাঁধার জন্য পুঁতে রাখা প্রতিটি খুঁটি থেকে ৪শ টাকা করে আদায় করে গরু বিক্রেতার কাছ থেকে। গহিরা দলই নগর কোরবানীর পশুর হাটে গরু বিক্রয় করার পর প্রতিটি গরু থেকে ৩শ টাকা আদায় করে পশুর হাটের আয়োজক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশির লোকজন । গহিরা দলই নগর কোরবানীর পশুর হাট কোন ইজারা না নিয়ে বাঁশের খুটি ও হাসিল বাবদ দশ লাখ টাকার বেশী হাতিয়ে নেয় গহিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাঁশি ।
গহিরা দলই নগর আলোকন ক্লাবের পাশের বাসিন্দা পারভেজ অভিযোগ করে বলেন, আমি চারটি গরু বিক্রয় করার জন্য দলই নগর কোরবানীর পশুর হাটে এনেছি । প্রতিটি গরু বাশের খুটিতে বাধা বাবদ আমার কাছ থেকে ৪শত টাকা করে ১ হাজার ৪শত টাকা নেয় । ফটিকছড়ির ধর্মপুর এলাকার আবুল হোসেন বলেন, গহিরা দলই নগর কোরবানীর পশুর হাটে গরু বিক্রয় করতে আসলে প্রতিটি খুঁটি বাবদ আমার কাছ থেকে ৪শত টাকা আদায় করে। গহিরা দলই নগর কোরবানীর পশুর হাট থেকে কোরবানীর জন্য গরু ক্রয়কারী কয়েকজন ক্রেতা বলেন, গরু ক্রয় করার পর প্রতিটি গরু থেকে ক্রেতাদের কাছ থেকে ৩শ টাকা করে হাসিল আদায় করে চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশির লোকজন ।
এ ব্যাপারে গহিরা দলই নগরে কোরবানীর পশুর হাটের আয়োজক গহিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাঁশির কাছে জানতে চাইলে, গহিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাঁশি বাজারের পশু বিক্রেতা ও ক্রেতাদের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করে বলেন, প্রতিটি গরু বিক্রয় হওয়ার পর প্রতিটি গরু থেকে ২শত টাকা ও প্রতিটি ছাগল থেকে ১শত টাকা করে নেওয়া হয়েছে । বাশের খুঁটির জন্য কোন টাকা নেওয়া হয়নি ।
গতকাল ১৮ জুলাই রবিবার বিকালে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ র্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে রাউজানের গহিরা দলই নগর কোরবানীর পশুর হাট, রাউজান ফকির হাট কোরবানীর পশুর হাট পরিদর্শন করেন। রাউজান ফকির হাট কোরবানীর পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় ১ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা আদায় করে। কোরবানীর পশুর হাটে বাশের প্রতিটি খুঁটি থেকে ৪শত টাকা, গরু বিক্রয় করার পর ক্রেতাদের কাছ থেকে ৩শত টাকা করে হাসিলের টাকা আদায় করা প্রসঙ্গে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, কোরবানীর পশুর হাট বসানোর বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের সভায় সিদ্বান্ত ছিল প্রতিটি গরু বিক্রয় করার পর ক্রেতা থেকে ২শত টাকা করে প্রতিটি ছাগল বিক্রয় করার পর ১শত টাকা করে হাসিল নেওয়ার ।
উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অমান্য করে রাউজানের ফকির হাট ও গহিরা দলই নগরে কোরবানীর পশুর হাটে প্রতিটি গরু থেকে ক্রেতাদের কাছ থেকে ৩শত টাকা প্রতিটি ছাগল ক্রেতাদের কাছ থেকে ২শ টাকা করে আদায় করছে জেনে পশুর হাটের আয়োজকদের উপজেলা প্রশাসনের সভার সিদ্বান্ত মেনে চলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।