ক্লিনিকগুলোর স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধে পরীবিক্ষণের দাবি

ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের বিবৃতি

বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রোগীদের চিকিৎসায় গলাকাটা ফিস আদায়, চরম স্বেচ্ছাচারিতা, রোগী-স্বজনদের চরম ভোগান্তি ও বিড়ম্বনা বন্ধ ও ভোগান্তি নিরসনে নাগরিক পরীবিক্ষণ জোরদারের দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব নগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান ও ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ উপরোক্ত দাবি জানান।
সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হবার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা শুরুর পর থেকে করোনায় আক্রান্ত ও আক্রান্ত নন-এমন সব রোগীদের চিকিৎসাসেবা পেতে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি সকল হাসপাতালে সকল রোগীর সেবা নিশ্চিতের নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু বেসকারি হাসপাতালগুলোতে সাধারণ রোগীরা ভর্তি হতে ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রতিদিন কোনো না কোনো সাধারণ রোগী চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করছে। চিকিৎসাসেবা পেতে রোগীদের ভোগান্তি-হয়রানি, লাগামহীন সেবামূল্য আদায়, সরকারি নজরদারির অভাবে বেসরকারি হাসপাতালগুলো স্বেচ্ছাচারিতায় মেতেছে। তাই ভোগান্তি নিরসনে নাগরিক পরীবিক্ষণ জোরদার ও চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের বিকল্প নাই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিগত ৩০ মে ২০২০ চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আয়োজিত বৈঠকে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে কোভিড, নন-কোভিড সব ধরনের রোগী ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত হয়। করোনা উপসর্গ কিংবা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া কোনো রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে ফিরিয়ে দিলে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলসহ আইনি ব্যবস্থা নেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে নিয়মিত সেবার মান তদারকিতে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিস যৌথ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কিন্তু বাস্তবে তার কোন প্রতিফলন নগরবাসী দেখতে পায়নি। ফলে সাধারণ রোগী ও স্বজনরা অসহায় এবং অনেক জায়গায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু বরণে বাধ্য হচ্ছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বেসরকারি হাসপাতালে অভিযানের স্বচ্ছতা ও আইনের অপব্যবহার রোধে চলমান ভেজাল বিরোধী অভিযানের আদলে অভিযান চলাকালে ক্লিনিক মালিক সমিতি ও ক্যাব প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের দাবি জানান। বিজ্ঞপ্তি