নিজস্ব প্রতিনিধি, মিরসরাই »
কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে যখন কোন ব্যক্তি মারা যায় তখন তাকে কেহ স্পর্শ কিংবা সৎকার করতে চায় না। এমনকি পরিবারের সদস্যরাও পিছিয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় মিরসরাইয়ে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত সনাতনী ব্যক্তিদের সৎকারে এগিয়ে এসেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘শেষ কৃত্যের সাথী’। সংগঠনটি ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৭ জন ব্যক্তির সৎকার করেছে। সর্বশেষ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া বিজন বিহারী দে’র সৎকার করলেন সংগঠনটি। বিজন বিহারী দে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বুধবার রাতে চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ৮ জুলাই সকাল ১১ টায় তার সৎকার কাজ সম্পন্ন করেন ‘শেষ কৃত্যের সাথী’র একটি টিম। জানা গেছে, মিরসরাই উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় শেষ কৃত্যের সাথীর ৪টি টিম নিয়মিত কাজ করছে। উপজেলার কোথাও করোনা আক্রান্ত হয়ে কোন সনাতনী ব্যক্তি মারা গেলে ছুটে যায় শেষ কৃত্যের সাথী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা।
মারা যাওয়া ব্যক্তি পরিবার কিংবা এলাকাবাসী সৎকার কাজ করতে না চাইলে স্বেচ্ছায় সৎকার কাজ করছে ‘শেষ কৃত্যের সাথী’ সংগঠনের কর্মীরা।
এবিষয়ে সংগঠনের সমন্বয়কারী সুফল চন্দ্র নাথ জানান, গত বছর করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের সৎকারে যখন পরিবার কিংবা এলাকার মানুষ এগিয়ে আসছে না ঠিক তখনি সনাতনি ব্যক্তিদের সৎকারে গঠন করা হয় ‘শেষ কৃত্যের সাথী’ সংগঠনটি। ইতিমধ্যে সংগঠনটি করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা ৭ জন সনাতনী ব্যক্তিকে সৎকার করেছে। তবে অর্থ সংকটের কারণে সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে তাদের অনেক সময় দুর্ভোগ পোহাতে হয় বলে তিনি দাবি করেন।