এবার ভার্চুয়াল কোর্টে দায়ের হবে অর্থ সংক্রান্ত মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
এবার ভার্চুয়াল কোটে অর্থ সংক্রান্ত (এনআইঅ্যাক্ট) মামলা দায়ের করা যাবে। ৭ জুন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচার শাখা থেকে নির্দেশনা জারির এ সংক্রান্ত মামলা গ্রহণ করতে গত বুধবার আদেশ জারি করেছে চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ওই আদেশে ইমেইলে মামলা দায়ের করার কথা বলা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, মামলা গ্রহণের জন্য ৭টি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৭ জন ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্বও দিয়েছেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ওসমান গনি। প্রসঙ্গত, গত ১১ মে চট্টগ্রাম আদালতে বসেছিল ‘ভার্চুয়াল কোর্ট’।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ, মুখ্য মহানগর হাকিম, মহানগর হাকিম আদালত, বিচারিক হাকিম আদালতসমূহ, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালসহ বিভিন্ন আদালতে ভার্চুয়াল কোটে শুনানিতে গত এক মাসে অন্তত দুই হাজারের বেশি আসামির জামিন মঞ্জুর হয়। চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান, জামিনের আবেদন করা যেমন আসামির অধিকার। তেমনি জামিন দেওয়া না-দেওয়াও আদালতের এখতিয়ার। তবে ঈদের আগে ১১দিনে আদালতের ভার্চুয়াল শুনানিতে ছিনতাই, ডাকাতি মামলার আসামি বা বড় কোনো সন্ত্রাসীদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস মহামারি রোধ করতে আদালতের কার্যক্রম গত ২৬ মার্চ থেকে স্থগিত ছিল। তবে সাধারণ ছুটিতে ভিডিও কফারেন্সের মাধ্যমে গত ১১ মে থেকে আবার বিচারের কার্যক্রম শুরু হয়।
১০ মে হাইকোর্ট চলমান ছুটির দিনে জরুরি মামলাগুলো শুনানির জন্য তিনটি বেঞ্চ গঠন করে এবং জরুরি জামিন সম্পর্কিত মামলাগুলো শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট অধঃস্তন আদালতকে নির্দেশনা দেয়।
আদালতকে ভিডিও কনফারেন্স এবং অন্যান্য ডিজিটাল সুবিধার মাধ্যমে বিচারের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়ার জন্য ওইদিন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ একটি অধ্যাদেশ জারি করেন। পরে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি গেজেট প্রকাশ করে জানায় যে, এটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।
এর আগে গত ৭ মে মন্ত্রিসভা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিডিও কনফারেন্স ও অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আদালতের বিচার প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন করে।
ভার্চুয়াল কোট সম্পর্কে আইনজীবীরা জানান, জামিন শুনানি কিম্বা মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে একটি ইমেইল আইডি, জুম, গুগল মিট, মাইক্রোসফট টিম ও স্ক্যানার সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়। স্ক্যানার ইন্সটল করে সেটআপ করে রাখতে হয় ডকুমেন্টস স্ক্যান করার জন্য। আবেদন করতে দরখাস্তে আইনজীবীর শনাক্তকরণ নম্বর, ফোন নম্বর এবং ইমেইল আইডি দিতে হয়। ডকুমেন্টস স্ক্যান করে সংশ্লিষ্ট কোর্টের ইমেইল আইডিতে মেইল করে দিলে একটা ভার্চুয়াল নম্বর পড়ে। ফিরতি মেসেজে পাওয়া যায় শুনানির দিনক্ষণ।