উদ্বোধন করলেন এমপি জাফর আলম
৩শ ৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ
নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :
সড়ক ও জনপথ বিভাগের অর্থায়নে ৩শ৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য একতাবাজার- মগনামা বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাটি পর্যন্ত নতুন সড়ক উন্নয়ন কাজ অবশেষে শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রকল্প এলাকায় উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিক সড়ক উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেছেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া- পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম। এসময় প্রশাসনের কর্মকর্তা, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সুধিজন উপস্থিত ছিলেন।শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে সড়কটির উন্নয়ন কাজ শুরু করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এসময় উপস্থিত থেকে মোনাজাতের মাধ্যমে কাজের সুচনা করলেন এমপি জাফর আলম।জানা গেছে, দেশের একমাত্র কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামায় নির্মিতব্য শেখ হাসিনা বানৌজা সাবমেরিন ঘাঁটিতে যাতায়াত নির্বিঘœ করতে বর্তমান বিদ্যমান চকরিয়া উপজেলার বরইতলী একতাবাজার থেকে মগনামা পর্যন্ত দীর্ঘ ২৩ কিলোমিটার সড়ককে ১০ দশমিক ৩ পয়েন্টে উন্নীত করা হবে। তিন প্যাকেজে সড়কটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে আগামী ২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে। সড়কটির বর্তমান প্রস্থ ৫ দশমিক ৫ পয়েন্ট থেকে ১০ দশমিক ৩ পয়েন্ট উন্নীতের কাজ শেষ হলে আমূল পরিবর্তন ঘটবে উপকূলীয় চারটি উপজেলার।সওজ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক থেকে পশ্চিমে চলমান একতা বাজার-পহরচাঁদা-মগনামাঘাঁট-বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি জেলা মহাসড়কটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক। সড়কটির দৈর্ঘ্য ২৩ কিলোমিটার এবং বিদ্যমান প্রস্থ ৫ দশমিক ৫ মিটার যা ১০ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থে উন্নীত করা হবে।প্রকল্পের আওতায় ১ কিলোমিটার হতে ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কাংশ প্রশস্ত’করণ, ৬ কিলোমিটার হতে ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কাংশের পেভমেন্ট উঁচুকরণ, প্রশস্থতকরণ ও শক্তিশালীকরণ।
আবার ২০ কিলোমিটার থেকে ২৩ কিলোমিটার পর্যন্ত নতুন করে সড়ক নির্মাণ করা হবে। নতুন করে নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত সড়কাংশ সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বানৌজা শেখ হাসিনাতে’ যাতায়াতের জন্য একমাত্র সড়ক এবং যা বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত বেড়িবাঁধ। প্রকল্পের গাইডবুকে উল্লেখ করা হয়েছে, সড়কটি দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার জনসাধারণের যাতায়াতের এবং চকরিয়া, পেকুয়া ও কুতুবদিয়ায় উৎপাদিত লবণ এবং আহরিত চিংড়ি ও সামুদ্রিক সম্পদ দেশের অন্যান্য স্থানে পরিবহনের জন্য একমাত্র এই সড়ক ব্যবহার হবে। এছাড়া মগনামা ঘাঁট হতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে ৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটিতে যাতায়াত একেবারে সহজ হবে। এতে উপকৃত হবেন উপকূলীয় এলাকার অন্তত ১০ লক্ষাধিক জনগোষ্ঠী। প্রকল্পের অন্যতম অঙ্গসমূহ হলো- ২ দশমিক ৮৩ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। সড়ক বাঁধে মাটির কাজ করা হবে ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭৮ দশমিক ৬৮ ঘনমিটার। ৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার নির্মাণ করা হবে নতুন পেভমেন্ট।
প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন পায় ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর।
সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হবে আগামী ২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে। জানতে চাইলে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া- পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজো আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম বলেন, সড়কটির নির্মাণকাজ শেষে সম্ভাবনার নতুন দূয়ার খুলবে কক্সবাজার জেলার ৪টি উপজেলাবাসীর’।