ইদ্রিস আলম ছিলেন দলের সম্পদ

স্মরণসভায় বক্তারা

বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা এবং লেখক ও কলামিস্ট মরহুম ইদ্রিস আলমের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দারুল ফজল মার্কেটস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ইদ্রিস আলম দলের সম্পদ এবং জাতির মানব সম্পদ। তিনি সৃজনে-মননে সৃষ্টিশীলতায় নিমগ্ন ছিলেন। তাঁর মত প্রজ্ঞাবান মানুষেরা কখনও হারিয়ে যান না এবং প্রজন্ম পরম্পরায় চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মহল বিশেষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। স্মরণসভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, আজ এমন একটি সময়ে প্রয়াত জননেতা ইদ্রিস আলমকে স্মরণ করছি যখন অতিমারী করোনাকাল এবং রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন ঘুরে দাঁড়িয়েছেন একটি অপশক্তি সরকারকে ধাক্কা দিয়ে দেশকে পেছনে ঠেলে দিতে চায়। তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচনকে বানচাল করে পেছন দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করা, তাদের এই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। তিনি আরো বলেন, জাতীয় সংসদ অবশ্যই হবে এবং সংবিধান সম্মতভাবেই হবে। এই প্রশ্নে কোন বির্তকের অবকাশ নেই এবং বিদেশি প্রেসক্রিপশন ও মাতব্বরীরও প্রয়োজন নেই।

তিনি বিএনপিসহ কোন কোন দলের কথিত নির্বাচনী জাতীয় সরকার গঠনের দাবীকে অযৌক্তিক ও কল্পনাপ্রসূত আবদার হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এটা কোনভাবেই সংবিধান সম্মত নয়। তিনি বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলামকে প্রশ্ন করেন, মানি লন্ডারিং মামলায় ৭ বছর এবং গ্রেনেড হামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিদেশে পলাতক তারেক জিয়াকে কিভাবে কথিত জাতীয় সরকার প্রধান করবেন?
তিনি আগামী ৪ঠা ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিতব্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে স্মরণকালের বৃহত্তর জনসমুদ্রে পরিণত করার জন্য সর্বস্তরের দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় আরো বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, উপদেষ্টা শফর আলী, থানা আওয়ামী লীগের হাজী ছিদ্দিক আলম, কাজী আলতাফ হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের হাজী মো. হাসান, মরহুমের সন্তান ইফতেখার আলম জাহেদ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপদেষ্টা শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, হাসান মাহমুদ শমসের, এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, হাজী জহুর আহমদ, মানস রক্ষিত, নির্বাহী সদস্য মহব্বত আলী খান, মোহাম্মদ জাবেদ, থানা আওয়ামী লীগের আনসারুল হক, মো. মঈনুদ্দিন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ছৈদয় মোহাম্মদ জাকারিয়া, মোহাম্মদ ইয়াকুব, আবদুল আজিজ মোল্লা, মোহাম্মদ আলী নেওয়াজ, আবুল বশর, আবদুস শুক্কুর ফারুকী, লুৎফুল হক খুশী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি