আত্মত্যাগের পথ ধরেই সোনার বাংলা গড়তে হবে

গণহত্যা দিবস পালিত

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চসিক : ‘একাত্তরের অগ্নিঝরা এদিনে বাঙালি জাতি তথা বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছিল ইতিহাসের বিভিষিকাময় ভয়াল ও নৃসংশতম বর্বরতা। ২৫ মার্চ মধ্যরাতে গণহত্যার নীলনকশা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পাকিস্তানী দানবরা মেতে উঠেছিল নির্বিচারে স্বাধীনতাকামী বাঙালি নিধনযজ্ঞে। এই বাঙালির বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ডিসেম্বরে পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বাঙালির সেই আত্মদান ও আত্মত্যাগের পথ ধরে আগামীর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।’
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে চসিক প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এসব কথা বলেন। চসিক ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দীন, আফরোজা জহুর, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো. ওয়াসিম উদ্দীন চৌধুরী, মো. ইলিয়াছ, শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, রুমকি সেনগুপ্ত, আনজুমান আরা, জাহেদা বেগম পপি, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, আঞ্চলিক প্রধান নির্বাহী আফিয়া আখতার, স্পেশাল ম্যাজেস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী, শিক্ষা কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, বিপ্লব দাশ, মির্জা ফজলুল কাদের, আশিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, নগর পরিকল্পনাবিদ আব্দুল্লাহ আল ওমর প্রমুখ।
চবি : গণহত্যা দিবস স্মরণে ২৫ মার্চ চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিশ^বিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চত্বরে আলোচনা সভা ও মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালিত হয়। সভায় সভাপতির ভাষণ দেন এবং মোমবাতি প্রজ্বলন করেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।
উপাচার্য ২৫ মার্চ কালো রাতে নির্মম গণহত্যাকারী কাপুরুষদের ঘৃণাভরে ধিক্কার জানিয়ে বলেন, ‘৭১ এর ২৫ মার্চ নিরস্ত্র বাঙালির ওপর চালিত পাকিস্তানি হায়েনাদের নির্বিচারে গণহত্যা বিশ^ ইতিহাসের এক কলংকজনক অধ্যায়। এ ন্যাক্কারজনক ও পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের জন্য কুখ্যাত হায়েনাদের বিশ^বাসী চিরদিন ঘৃণা করবে। উপাচার্য ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সকলকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধু চত্বরে মোমবাতি প্রজ্বলন করেন।
অনুষ্ঠানে বীর শহীদদের সম্মানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রার, কলেজ পরিদর্শক, আবাসিক হলের প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন : জেলা প্রশাসন আয়োজিত ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আলোচনায় বক্তারা গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় এবং দেশের সকল বধ্যভূমি যথাযথ মর্যাদায় সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, নতুন প্রজন্মের নিকট গণহত্যা ও এর প্রেক্ষাপট এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে পারলে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সহজ হবে। গতকাল নগরীর জিমনেসিয়াম মাঠে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ। মুখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন ও শহিদ পরিবারের সন্তান ড. গাজী সালেহ উদ্দিন। আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিন, নগর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি