শফিউল আলম, রাউজান »
হালদা নদীর মা মাছরক্ষায় অভিযান নিয়মিত করা হলেও মাছশিকার বন্ধ হয়নি, বন্ধ করা যায়নি বালু উত্তোলন। এদিকে হালদা নদীরক্ষায় নিয়োজিত আইডিএফ স্বেচ্ছাসেবীরাই মাছশিকারে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার ভরা মৌসুম চললেও মা মাছ এখনও ডিম ছাড়েনি এখানে।
প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে স্রোতের সৃষ্টি হলে যেকোনো সময়ে হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে। মা মাছরক্ষায় হালদা নদীতে সারাবছর মাছশিক্রা নিষিদ্ধ। একই সঙ্গে হালদা নদী থেকে বালু উত্তোলন ও নদীতে যান্ত্রিক নৌযান চলাচলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে প্রতিদিনি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘেরজাল, টেগাজালে, কখনও-বা বড়শি দিয়ে নদী থেকে চলছে মাছশিকার চলছে। নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে বালুৃ।
যান্ত্রিক নৌযানে ইটভাটার ইট, বালু ইত্যাদি পরিবহন করা হচ্ছে। মামাছের প্রজননরক্ষায় প্রতিনিয়ত হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন, রাউজান উপজেলা প্রশাসন. জেলা প্রশাসন, নৌপুলিশ, জেলা মৎস্য অফিস নদীতে অভিযান চালিয়ে মাছধরার জাল উদ্ধার করে আসছে। এসব অভিযানে যান্ত্রিক নৌযানও ধ্বংস করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত অভিযানের পরও হালদা নদীতে থেমে নেই মাছশিকার, থেমে নেই বালু উত্তোলন। চলছে কোথাও কোথাও যান্ত্রিক নৌযানও। ফলে হালদা মা মাছের প্রজনন হুমকির মুখেই আছে। গত ৮ মে রোববার দিবাগত রাতে রাউজানের গহিরা ইউনিয়নের কোতয়ালিঘোনা এলাকায় হালদা নদীতে জাল বসিয়ে মাছশিকার করার সময়ে ১৪ কেজি ওজনের বোয়াল ধরা পড়ে একজনের জালে।
কোতোয়ালিঘোনা এলাকার বাসিন্দা নাজিম উদ্দিন (৫৫) ও সাইদুলকে (৪৫) ওই ১৪ কেজি ওজনের বোয়াল মাছসহ আটক করেছে পুলিশ। গতকাল ৯ মে সোমবার রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগের আদালতে তাদের সোপর্দ করা হয়। রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ হালদা নদীতে অবৈধভাবে মাছশিকার করার অপরাধে নাজিম উদ্দিন ও সাইদুলের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। হালদা নদী থেকে ধরাপড়া ১৪ কেজি ওজনের বোয়ালমাছটি এতিম শিক্ষার্থীদের খাওয়ার জন্য দিয়ে দেয়া হবে বলে জানান উপজেলা নিবাহী অফিসার। হালদা নদী পরিদর্শনকালে এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাউজানের গহিরা কোতোয়ালিঘোনা এলাকায় হালদা নদীরক্ষায় আইডিএফ নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবী জসিম, গিয়াস উদ্দিন, আজিম উদ্দিন, সাইদুল মিলে প্রতিদিন হালদা নদীতে জাল বসিয়ে মাছশিকার করেন। একই সাথে হালদা নদী থেকে বালু উত্তোলনও চলছে প্রতিনিয়িত।